সবাইকে নৌকায় তোলার প্রয়োজন নেই : তথ্যমন্ত্রী
প্রকাশিত : ০০:০৫, ২৮ আগস্ট ২০১৯ | আপডেট: ০৯:২১, ২৮ আগস্ট ২০১৯
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘সবাইকে আওয়ামী লীগের নৌকায় তোলার প্রয়োজন নেই।
তিনি বলেন, “আমাদেরকে দেখতে হবে কারা দু:সময়ে দলের সাথে ছিল, শেখ হাসিনার সাথে ছিল, তাদেরকেই নেতৃত্বে রাখতে হবে, তাদেরকেই নিয়ে পথ চলতে হবে।”
আজ মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকায় সচিবালয়ে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারি ঐক্যপরিষদ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
শোক দিবস উদযাপন কমিটির আহবায়ক মোহাম্মদ মঈনুল ইসলামের সভাপতিত্বে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ও স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম, পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম ও স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বিশেষ অতিথি হিসেবে সভায় যোগ দেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আওয়ামী লীগ আজ পরপর তিনবার ক্ষমতায়। সবাই আওয়ামী লীগের নৌকায় উঠতে চায়, যারা অতীতে ও দু:সময়ে আওয়ামী লীগের বিরোধিতা করেছে, তারাও আওয়ামী লীগের নৌকায় উঠতে চায়। সবাইকে আওয়ামী লীগের নৌকায় নেবার প্রয়োজন নেই।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে তারা হত্যা করে, যারা বাংলাদেশ চায়নি, যারা একাত্তরের পরাজিত শক্তি, তাদের এদেশি এজেন্টরা এবং যে আন্তর্জাতিক শক্তি বাংলাদেশের অভ্যুদয় চায়নি, তারাই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল।’
তিনি বলেন, আজকের সময়ের দাবি হচ্ছে জিয়াউর রহমানসহ যারা বঙ্গবন্ধু হত্যার কুশীলব ছিল তাদের বিচার করা। জাতির দাবি হচ্ছে, শতবর্ষ পরের প্রজন্মকে সত্য জানানোর স্বার্থে তাদের মুখোশ উন্মোচন করা, যারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে রাষ্ট্রকে হত্যা করতে চেয়েছিল। এজন্য আজকে জনগণের দাবি হচ্ছে একটি কমিশন গঠন করে তাদের বিচার করা।’
‘বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে একটি উন্নত রাষ্ট্রে রূপান্তরিত করার স্বপ্নে এঁকেছিলেন’ উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে যখন হত্যা করা হয় ১৯৭৫ সালে তখন বাংলাদেশে যে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ছিল বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ডের ৪২ বছর পর পর্যন্ত আমরা অতিক্রম করতে পারিনি।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সেটি অতিক্রম করতে পেরেছেন। বঙ্গবন্ধুকে যখন ১৯৭৫ সালে হত্যা করা হয় সেই বছর ২৬ হাজার মেট্রিক টন চাল উদ্বৃত্ত। বঙ্গবন্ধু ক’দিন পরেই ঘোষণা করতেন বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। অর্থাৎ বঙ্গবন্ধু একটি যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশকে পুনর্গঠিত করে যখন বাংলাদেশকে একটি সমৃদ্ধশালী রাষ্ট্রে রূপান্তরিত করার স্বপ্ন দেখছিলেন এবং সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছিলেন তখন বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়।
এসি
আরও পড়ুন