ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪

সবুজের মাঝে আধুনিক ক্যাম্পাস

মুহাম্মদ আতিকুর রহমান

প্রকাশিত : ১৮:২১, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২

ইস্টার্নের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়েছিল ২০০৩ সালে। দেশের কয়েকজন প্রথিতযশা শিক্ষাবিদ, ব্যবসায়ী ও সমাজসেবকের আন্তরিক প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠিত হয় বিশ্ববিদ্যালয়টি। পৃথিবী সেরা সব বিশ্ববিদ্যালয়ের কারিকুলাম নিবিঢ়ভাবে পর্যবেক্ষণ করে দেশেই বিশ্বমানের শিক্ষা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গড়ে তুলেছেন এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি।

ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি ইউজিসির নির্দেশনা অনুযায়ী স্থায়ী ক্যাম্পাসে ২০১৮ সাল থেকে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করেছে। সাভারের আশুলিয়া মডেল টাউনে ২০ বিঘা জমির উপরে নির্মিত হয়েছে ক্যাম্পাসটি। নিরিবিলি, সবুজ পরিবেশের মাঝে ও একটি দৃষ্টিনন্দন লেকের পাশে মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে এই ক্যাম্পাস। ক্যাম্পাসে রয়েছে একটি জাতীয় মানের খেলার মাঠও, সারাদিনই শিক্ষার্থীদের খেলাধুলায় ও পদচারনায় যা মুখরিত থাকে।

মাত্র আঠারো বছরেই শিক্ষার্থীদের কাছে শিক্ষার গুনগত মানে নির্ভরযোগ্য একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসাবে শক্ত অবস্থান গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে ইস্টার্ন। একজন আদর্শ নাগরিক ও সর্বোপরি একজন ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে ও বর্তমান প্রতিযোগীতামূলক বাজারে টিকে থাকার উপযোগী শিক্ষা কার্যক্রম চালাচ্ছে এই বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়টির চার বছরের স্নাতক প্রোগ্রামগুলো হলো- ব্যাচেলর অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (বিবিএ), বিএ ইন ইংলিশ, ব্যাচেলর অব ল, বিএসসি ইন কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) ও ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড ইলেট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) এবং স্নাতকোত্তর প্রোগ্রামগুলো হলো- এমবিএ, ইএমবিএ, এল এল এম এবং এমএ ইন ইংলিশ। ইস্টার্নের ইইই প্রোগ্রামে আইইবি (ওঊই) এক্রিডিটেশন রয়েছে। এছাড়াও ইস্টার্নের আইন অনুষদ বাংলাদেশের সেরা বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে একটি। গত ২০২১ সালে বার কাউন্সিল পরীক্ষায় শতভাগ পাশের রেকর্ডও এই বিশ্ববিদ্যালয়ের।

এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগন তাদের কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের দক্ষ ও যোগ্য করে গড়ে তোলার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে বর্তমানে ২৫জন পি এই ডি ডিগ্রীধারী শিক্ষক ছাড়াও প্রায় শতভাগ পূর্ণকালীন শিক্ষক রয়েছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড. শহিদ আকতার হুসাইন বর্তমানে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। 

এছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. আব্বাস আলী খান বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়টির বিজনেস অনুষদের ডিন ও ট্রেজারার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন অধ্যাপক ড. মু মাহফুজুর রহমান। আইন অনুষদের ডিন হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন অধ্যাপক ড. মু আনোয়ার জাহিদ। রেজিস্ট্রার হিসেবে আছেন ড. আবুল বাশার খান। বুয়েটের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সাবেক ডিন প্রফেসর ড. আমিনুল হক, বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়টির ইইই প্রোগ্রামে অধ্যাপনা করছেন। অভিজ্ঞ অধ্যাপকদের পাশাপাশি বিশ্বের প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি অর্জনকারী এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বুয়েটসহ দেশের সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকেই ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয়। 

ইস্টার্নের শ্রেণিকক্ষগুলোতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সন্নিবেশ করা হয়েছে। প্রতিটি শ্রেণিকক্ষে বোর্ড, প্রজেক্টরসহ প্রয়োজনীয় শিক্ষা উপকরণ রয়েছে। লাইব্রেরিটি অটোমেশন প্রযুক্তিসম্পন্ন। লাইব্রেরিটিতে দেশি-বিদেশি প্রয়োজনীয় সব পুস্তকসহ জার্নাল, ম্যাগাজিন, গবেষণাপত্র ও প্রয়োজনীয় অডিও ও ভিজ্যুয়াল তথ্য-উপাত্ত রয়েছে। 

ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগগুলোর শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ল্যাব। এসব ল্যাবে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয় রয়েছে, রয়েছে আধুনিক মানসম্পন্ন যন্ত্রপাতি। একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের বাস্তবমুখী জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জনে এ ল্যাবগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। 

লেখাপড়ার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে এবং সামাজিক ও সাংস্কৃতিক গুনাবলী অর্জনে এই বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ১৯ ক্লাব রয়েছে। শিক্ষার্থীরা প্রোগ্রামভিত্তিক ক্লাব ছাড়াও তাদের পছন্দ অনুযায়ী অন্য যেকোনো ক্লাবের সদস্য হয়ে ক্লাব কার্যক্রমে অংশগ্রহন করতে পারে। ক্লাবগুলোর মধ্যে রয়েছে ডিবেটিং ক্লাব, কম্পিউটিং ক্লাব, ইঞ্জিনিয়ারিং ক্লাব, বিজনেস এন্ড সোশ্যাল এন্টরপ্রেনরশীপ ক্লাব, ল্যাংগুয়েজ ক্লাব, গেমস এন্ড স্পোর্টস ক্লাব, ভিজুয়াল আর্কাইভ ক্লাব, প্রথম আলো বন্ধুসভা, কালচারাল ক্লাব, ক্রিয়েটিভ রাইটার্স ফোরাম, মুট কোর্ট সোসাইটি, ড্রামা এন্ড থিয়েটার ফোরাম, আর্থ কেয়ার ক্লাব, জার্নালিষ্ট ফোরাম, সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার ক্লাব।

বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতি বছর বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে শিক্ষার্থীদের প্রায় ৯ কোটি টাকা শিক্ষাবৃত্তি দিয়ে থাকে। ভর্তির ক্ষেত্রে এসএসসি, এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে শিক্ষার্থীরা ১০০ শতাংশ পর্যন্ত শিক্ষাবৃত্তি পেয়ে থাকে। মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান, নারী, উপজাতী ও প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে বিশেষ ছাড়। এ ছাড়াও শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতি সেমিস্টারের ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন ধরনের শিক্ষাবৃত্তি পেয়ে থাকে।

ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য পৃথক হোস্টেল সুবিধাসহ, ঢাকার ৬টি রুটে এবং গাজীপুরের ডুয়েট ও সাভার থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের আনা নেয়ার জন্য রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থা। আধুনিক ও গুনগত শিক্ষা এবং সকল সুযোগ-সুবিধার সমন্বয়ে ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি একটি আদর্শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসাবে দেশের মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিতে সক্ষম হয়েছে।

এসি
 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি