ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪

পুষ্টিক্ষেত্রে কাঙ্খিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে

সমন্বিত কার্যক্রমের বিকল্প নেই : শেখ হাসিনা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:৫১, ২৩ এপ্রিল ২০১৮

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুষ্টিক্ষেত্রে কাঙ্খিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সমন্বিত কার্যক্রমের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন।
তিনি বরেছেন, ‘সামাজিক কুসংস্কার, অজ্ঞতা ও অসচেতনতা আমাদের দেশে পুষ্টিক্ষেত্রে কাঙ্খিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের একটি বড় বাঁধা। এই বাঁধা অতিক্রম করার জন্য পরিকল্পিত, সমন্বিত ও সুসংহত কার্যক্রমের বিকল্প নেই।’
শেখ হাসিনা ‘জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ ২০১৮’ উপলক্ষে এক বাণীতে এ কথা বলেন।
প্রতি বছরের মতো এবারও আজ থেকে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত ‘জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ ২০১৮’ পালন করা হচ্ছে জেনে সন্তোষ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী এ আয়োজনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান।
দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে ‘খাদ্যের কথা ভাবলে পুষ্টির কথাও ভাবতে হবে’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে বলেও তিনি বাণীতে উল্লেখ করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পুষ্টিকর খাবার গ্রহণের বিষয়টিকে মৌলিক মানবাধিকার হিসেবে সংবিধানে স্বীকৃতি প্রদান করেন। প্রাতিষ্ঠানিক উন্নয়নের অংশ হিসেবে তিনি ১৯৭৪ সালে ‘জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠান’ প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তীকালে ১৯৭৫ সালের ২৩ এপ্রিল তিনি ‘বাংলাদেশ জাতীয় পুষ্টি পরিষদ’ গঠনের আদেশে স্বাক্ষর করেন।
তিনি বলেন, একটি সুস্থ, সবল ও মেধাবী প্রজন্ম গড়ে তুলতে ‘আমরা স্বাস্থ্যসেবা ও পুষ্টিজ্ঞান জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। আমরা জাতীয় পুষ্টি নীতি ২০১৫ প্রণয়ন এবং জাতীয় পুষ্টি পরিষদ পুনরুজ্জীবিত করেছি।’ এই পরিষদের নেতৃত্বে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা সামনে রেখে দ্বিতীয় জাতীয় পুষ্টি কর্মপরিকল্পনা (২০১৬-২০২৫) প্রণীত হয়েছে।
প্রদানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের মর্যাদা অর্জন করেছি। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হবে। আর এজন্য প্রয়োজন সাধারণ জনগণের পুষ্টি উন্নয়ন নিশ্চিত করা। কেননা পুষ্টি উন্নয়নের বুনিয়াদ। আমরা সকলেই জানি মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলে শরীরে নানাধরণের জীবাণু সংক্রমিত হয়। ফলে মানুষ বিভিন্ন রকম অসুখে ভোগে এবং কর্মক্ষমতা লোপ পায়।’
তিনি উল্লেখ করেন, পুষ্টি সপ্তাহে গর্ভবতী মহিলা ও দুগ্ধদানকারী মা, ৫ বছরের নিচের শিশুসহ স্নায়ু বিকাশজনিত সমস্যাসম্পন্ন শিশুদের পুষ্টি, স্কুলগামী শিশুদের পুষ্টি, কৈশোরকালীন পুষ্টি, বয়স্কদের পুষ্টি, অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধ ইত্যাদি বিষয়ে সচেতনতা ও সেবা কার্যক্রম গৃহীত হয়েছে।
শেখ হাসিনা বাণীতে আশা প্রকাশ করেন, জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহে গৃহীত কার্যক্রমগুলো বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের মধ্যে ব্যাপক সচেতনতা সৃষ্টি করবে। খাদ্যের মান ও পুষ্টি সম্পর্কে জনগণের জানার আগ্রহ বাড়বে, যা তাদের পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করবে এবং একটি সুস্থ প্রজন্ম গড়ে উঠবে।
তিনি ‘জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ ২০১৮’র সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।

সূত্র : বাসস

এসএ/

 

 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি