ঢাকা, সোমবার   ২১ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

সমাজসেবী ঝর্ণা ধারা চৌধুরীর মৃত্যুবার্ষিকী আজ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৩:৪১, ২৭ জুন ২০২০ | আপডেট: ১৪:৪১, ২৭ জুন ২০২০

Ekushey Television Ltd.

বাংলাদেশের প্রখ্যাত সমাজসেবী ঝর্ণা ধারা চৌধুরীর (৮১) প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। বার্ধক্যজনিত কারণে আজকের এই দিনে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। 

৮০ বছর বয়সী এই মহিয়সী নারী ব্যক্তিগত জীবনে অবিবাহিত ছিলেন। আমৃত্যু তিনি সমাজসেবায় নিজেকে জড়িয়ে রাখেন। তিনি নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি উপজেলায় প্রতিষ্ঠিত গান্ধী আশ্রম ট্রাস্টের সচিবের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ঝর্ণাধারা চৌধুরী ২০১৩ সালে ভারতের রাষ্ট্রীয় বেসামরিক সম্মান পদ্মশ্রী খেতাবে ভূষিত হন। 

সমাজসেবক হিসেবে ১৯৯৮ সালে আন্তর্জাতিক বাজাজ পুরষ্কার, ২০০০ সালে শান্তি পুরষ্কার, ২০০১ সালে অনন্যা, ২০০৩ সালে দুর্বার নেটওয়ার্ক পুরষ্কার, ২০১০ সালে কীর্তিমতি নারী পুরষ্কার, ২০০৫ সালে একুশে পদক, ২০১৩ সালে বেগম রোকেয়া পদক, ২০০৭ সালে সাদা মনের মানুষ পদকসহ বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পদক পেয়েছেন।

ঝর্ণাধারা চৌধুরী লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়নের কালুপুর গ্রামে ১৯৩৮ সালের ১৫ অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেন। বাবা গান্ধীয়ান প্রমথ চৌধুরী ও মা আশালতা চৌধুরীর দশম সন্তান।

বাবার মৃত্যুর পর ১৯৫৬ সালে গান্ধীর প্রতিষ্ঠিত অম্বিকা কালিগঙ্গা চ্যারিটেবল ট্রাস্টে (গান্ধী আশ্রম ট্রাস্ট) যোগ দেন ঝর্ণা ধারা চৌধুরী। ১৯৬০ সালে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে সংসারত্যাগীদের সংগঠন চট্টগ্রামের প্রবর্তক সংঘে যোগদানের মাধ্যমে সরাসরি মানবসেবায় নিয়োজিত হন। এর পাশাপাশি তিনি তার পড়ালেখাও চালিয়ে যান। চট্টগ্রামের খাস্তগীর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিকুলেশন, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক ও ঢাকা কলেজ থেকে স্নাতক পাস করেন।

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে আগরতলায় ত্রাণ কাজে তিনি সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। ১৯৭৯ সালে পুনরায় গান্ধী আশ্রম ট্রাস্টে ফিরে আসেন এবং চারু চৌধুরীর মৃত্যুর পর তিনি গান্ধী আশ্রম ট্রাস্টের সচিবের দায়িত্ব পান।

এমবি//
 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি