ঢাকা, শুক্রবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

সরকারি চাকরি হওয়ার পর স্ত্রীকে অস্বীকার, স্বীকৃতির দাবি স্ত্রীর

নওগাঁ প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১৫:৪৮, ৯ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

নওগাঁয় স্বামীর স্বীকৃতি চেয়ে মৌসুমী খাতুন নামের এক নারী সংবাদ সন্মেলন করেছেন। ভুক্তভোগি ওই নারী সোহেল রানা চয়েন নামের এক ছেলেকে বিয়ে করেছিলেন। দুই বছর সংসারও করেছেন। তার অভিযোগ, সরকারি চাকরি হওয়ার পর স্ত্রীর স্বীকৃতি দিতে অস্বীকার করছেন সোহেল রানা। 

বুধবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে স্ত্রীর মর্যাদা চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী ওই নারী।

ভূক্তভোগী মৌসুমী খাতুন শহরের কোমাইগাড়া (কাটিয়াপাড়া) মহল্লার মনছুর আলীর মেয়ে। আর অভিযুক্ত সোহেল রানা চয়ন শহরের কোর্ট চত্বরে এলাকার মমিনুল ইসলামের ছেলে। বর্তমানে তিনি হাঁপানিয়া- বক্তারপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের অফিস সহকারি হিসেবে কর্মরত আছেন।

সংবাদ সম্মেলনে মৌসুমী খাতুন বলেন, ২০২২ সালে সোহেল রানার সঙ্গে তার পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর শুরু হয় নির্যাতন। প্রায়ই মারপিটসহ মানসিকভাবে নির্যাতন করতে থাকে স্বামী ও তার পরিবারের সদস্যরা। এমনকি শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়ে একাধিকবার হাসপাতালে চিকিৎসাও নিতে হয়েছে। এসব নির্যাতনের প্রতিবাদ করতে গেলে আমাকে তালাকসহ হত্যার হুমকি দেওয়া হতো। 

তিনি আরও বলেন, পরিবারের সুখের কথা চিন্তা করে সকল অন্যায় নির্যাতন সহ্য করে সংসার করছিলেন। এক পর্যায়ে তার পরিবারের কুপরামর্শে আবারও নির্যাতন ও মারপিট করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। পরে বোনের বাড়ি গিয়ে আশ্রয় নেন। তার কিছুদিন পরে স্বামী সোহেল রানা আবারো যোগাযোগ করে এবং ভুল হয়েছে স্বীকার করে বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দেন।

মৌসুমি বলেন, চাকরি পেলে আলাদাভাবে সংসার শুরু করবে এই আশ্বাসে আমার ফুফুর বাসায় এবং বোনের বাসায় এসে আমার সঙ্গে দেখা করতেন। বিষয়টি তার পরিবারের কাছে গোপন রাখতে বলে। এভাবে এক বছর সংসার করি আমরা। একপর্যায়ে ভূমি অফিসে চাকরির জন্য আমার বাবা ও বোনের কাছ থেকে পাঁচ লাখ টাকা নিয়ে দেই। এর কিছুদিন পরে তার ভূমি অফিসে অফিস সহকারি পদে চাকরি হয়। 

তিনি বলেন, চাকরি পাওয়ার পর তার আসল রূপ শুরু হয়। বৈরী আচরণ শুরু করে। এর মাঝে জানতে পারি আমার স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন। বিষয়টি জানার পর খোঁজ নিতে বড় বোনকে সাথে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি গেলে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজসহ দেড় বছর আগে তালাক দিয়েছেন বলে জানান। কিন্তু এ পর্যন্ত তাকে মোট ৭ লাখ টাকার মত দিয়েছি। এখন ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে বিভিন্নভাবে হেনস্তা করছেন। তাই প্রশাসনের কাছে সঠিক বিচারের দাবি জানান তিনি।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত সোহেল রানা চয়ন বলেন, আমি তাকে তালাক দিয়েছি। সে আমার নামে আদালতে মামলা করেছে বলে জেনেছি। এখন আদালতের মাধ্যমেই বিষয়গুলো সমাধান করা হবে। এছাড়া আমার বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো সঠিক নয়। 

এএইচ


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি