সরকারি চাকরির সময় বাড়ছে না
প্রকাশিত : ২০:৪৫, ২০ নভেম্বর ২০১৭ | আপডেট: ২৩:২৬, ২০ নভেম্বর ২০১৭
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধির কোনো পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। সোমবার বিকেলে সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য রুস্তম আলী ফরাজীর লিখিত প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান তিনি। মন্ত্রী অনুপস্থিতি থাকায় তার মন্ত্রীর পক্ষে প্রশ্নের জবাব দেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক।
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ থেকে ৩৫ করার দাবির বিষয়ে জনপ্রশাসনমন্ত্রীর পক্ষে সংসদে প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক আরো জানান, আগে বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বড় ধরনের সেশনজট থাকলেও বর্তমানে সেশনজট নেই বললেই চলে। এখন শিক্ষার্থীরা সাধারণত ১৬ বছরে এসএসসি, ১৮ বছরে এইচএসসি এবং ২৩/২৪ বছরে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। ফলে সাধারণ প্রার্থীরা স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করার পরেও সরকারি চাকরিতে আবেদনের জন্য কমপক্ষে ৬/৭ বছর সময় পেয়ে থাকে। এছাড়া ৩০ বছর বয়সসীমার মধ্যে একজন প্রার্থী চাকরির জন্য আবেদন করলে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে ২/১ বছর সময় লাগলেও তা বিবেচনায় নেওয়া হয় না।
তিনি আরো জানান, সম্প্রতি চাকরি হতে অবসরের বয়সসীমা ৫৭ বছর হতে বাড়িয়ে ৫৯ বছর করায় বর্তমানে শূন্যপদের সংখ্যা স্বাভাবিকভাবেই কমে গেছে। এই প্রেক্ষাপটে চাকরিতে ঢোকার বয়সসীমা বাড়ানো হলে বিভিন্ন পদের বিপরীতে চাকরি প্রার্থীদের সংখ্যা ব্যাপক হারে বাড়বে, ফলে নিয়োগের ক্ষেত্রে অনেক বেশি প্রতিযোগিতার সৃষ্টি হতে পারে। এতে করে যাদের বয়স বর্তমানে ৩০ বছরের ঊর্ধ্বে তারা চাকরিতে আবেদন করার সুযোগ পেলেও অনূর্ধ্ব ৩০ বছরের প্রার্থীদের মধ্যে হতাশার সৃষ্টি হতে পারে।
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর জন্য এর আগেও কয়েকজন সংসদ সদস্য দাবি জানিয়েছেন। এছাড়া চাকরির বয়সসীমা বাড়ানোর দাবিতে রাজধানীর শাহবাগে কয়েক দফায় বিক্ষোভ ও আন্দোলন করেছে শিক্ষার্থীরা। সর্বশেষ গত ১৬ নভেম্বর বৃহস্পতিবার জাসদ একাংশের কার্যকরী সভাপতি মঈনুদ্দিন খান বাদল সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার দাবি জানিয়েছিলেন।
/ডিডি/টিকে
আরও পড়ুন