সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তিন ধাপে জ্বালানী তেলের দাম কমানোর ঘোষনার প্রথম ধাপ কার্যকর
প্রকাশিত : ১০:৩৪, ২৯ এপ্রিল ২০১৬ | আপডেট: ১০:৩৪, ২৯ এপ্রিল ২০১৬
সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তিন ধাপে জ্বালানী তেলের দাম কমানোর ঘোষনার প্রথম ধাপ কার্যকর হয়েছে। কিন্তু দূরপাল্লার বাসের ভাড়া কমানোর কোন সিদ্ধান্ত নেয়নি বাস মালিক সমিতি। ফলে, এখনো আগের ভাড়াতেই বেশি টাকা গুণছে যাত্রীরা। আর নানা বাহানায় ভাড়া কমানোর দাবিকে এড়িয়ে যাচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
সিদ্ধান্ত নেয়ার ২৩ দিন পর কমানো দামে বিক্রি হচ্ছে জ্বালানী তেল। ৬৮ টাকার ডিজেল বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকায়। তেলের দামের সাথে সামঞ্জস্য রেখে কমার কথা সব পরিবহনের ভাড়া। অথচ, দূরপাল্লার রুটে আগের ভাড়াই কার্যকর এখনও। যাত্রীরা ক্ষোভ জানালেও কথা কানে তুলছেন না পরিবহন মালিকরা।
কিলোমিটার প্রতি ১ টাকায় ১ পয়সা হারে ভাড়া কমানোর কথা থাকলেও উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গ রুটের কোন পরিবহনেই ভাড়া পুন:নির্ধারণ হয়নি। উল্টো নানা অজুহাত।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের তথ্যমতে সড়ক পথে দূরুত্বের হিসেবে ভাড়ার বর্তমান তালিকা:
ঢাকা থেকে সিলেট ২৭৫ কিলোমিটার ভাড়া ৪০০ টাকা
ঢাকা থেকে চট্রগ্রাম ৩৯৬ কিলোমিটার ভাড়া ৫৮০ টাকা
ঢাকা থেকে বরিশাল ২০৬ কিলোমিটার ভাড়া ৪৫০ টাকা
ঢাকা থেকে রংপুর ৩২৭ কিলোমিটার ভাড়া ৫০০ টাকা
এ ঘোষণা বাস্তবায়িত হলে প্রতি রুটেই ৫০-থেকে ৮০ টাকা কমে যেতে পারে দূরপাল্লার ভাড়া।
দূর পাল্লার রুটে ছুটে চলা এসব গাড়ীর মালিকরা জানাচ্ছেন, তেলের দাম সামান্য কমানোয় কোন লাভ হচ্ছে না তাদের। বরং তেলের দাম আরো কমানোর দাবী তাদের।
এদিকে যাত্রীরা বলছেন, তেলের দাম বাড়ানোর ঘোষনা দিলে কয়েক ধাপে ভাড়া বাড়ানো হয়, দাম কমলে দেখা যায় উল্টো চিত্র।
আর যাত্রী কল্যাণ সমিতি বলছে, কার্যকর পদক্ষেপ নিতে উদ্যোগী হতে হবে সরকারকেই।
দূরপাল্লার সাথে মিল দেখা গেছে রাজধানীর গণপরিবহনের ভাড়ারও। তেলের দামের হিসেবে ভাড়া নেয়া হলেও বাস চলে গ্যাসে। পরিবহন মালিকদের এমন আচরণের বৃত্তে ঘুরপাক খাচ্ছে সাধারণ মানুষ। এ থেকে মুক্তির দাবী তাদের।
আরও পড়ুন