সর্বস্বান্ত কৃষকরা জ্বলছেন ঋণের জ্বালায়
প্রকাশিত : ০৯:১১, ১০ মে ২০১৭ | আপডেট: ০৯:৪৩, ১০ মে ২০১৭
হাওরাঞ্চলে বন্যায় সর্বস্বান্ত কৃষকরা এখন জ্বলছেন এনজিও’র ঋণের জ্বালায়। প্রধানমন্ত্রী’র অনুরোধ স্বত্ত্বেও ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের কাছ থেকে, ঋণের কিস্তি আদায় থেকে বিরত হয়নি এনজিওরা। আয় উর্পাজনের সব রাস্তা বন্ধ থাকায় বিপাকে, অনেক মানুষ। এমনি বাস্তবতায়, সুনামগঞ্জের কোন কোন স্থানে বাড়ছে বিভিন্ন অপরাধমূলক প্রবণতাও। প্রতিনিধি আব্দুস ছালামকে সাথে নিয়ে মুহাম্মদ নূরন নবী’র রিপোর্ট।
এমনিতেই, আগাম বন্যায় জমির ফসল, হাওরের মাছ হারিয়ে, আয় উপাজনের সব পথ বন্ধ। কষ্টে দিনাতিপাত করছে, হাওরাঞ্চলের ক্ষতিগ্রস্তরা। কিন্তু, আগের মতই সক্রিয়, এনজিও কর্মীবাহিনী।
যদিও, সুনামগাঞ্জের শাল্লায় জনসভায় এ ধরনের কিস্তি আদায় সাময়িক বন্ধের আহবান ছিল প্রধানমন্ত্রীর। প্রকাশ্যে একমত হলেও আদতে, সম্মান দেখানো হচ্ছে না। প্রতিদিনই কিস্তি আদায়ের ঝামেরলায় পুরোপুরি বে-কায়দায় অসহায় মানুষগুলো।
পরিস্থিতি যাই হোক, কিস্তি পরিশোধের ভয় তাড়া করে তাদের। কারণ, বেঁচে থাকতে যে আরো ঋণ করতে দারস্ত হতে হবে এসব এনজিও এর কাছে। যেভাবেই হোক টাকা যোগার করতে হবে। আর সেই বাস্তবতায় সুনামগঞ্জের চুরি-সহ বিভিন্ন সামাজিক অপরাধের ঘটনা ঘটছে।
তৎপরতা এতই বেড়েছে যে, আপাতত ঋণের কিস্তি বন্ধ রাখার দাবিতে, সুনামগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলায় বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করছে, ভূক্তভোগীসহ বিভিন্ন সংগঠন।
এনজিও প্রতিনিধিরা যদিও এসব অভিযোগ মানতে একেবারেই নারাজ। তাদের বক্তব্যও কৌশলী।
আর, মাঠ পর্যায়ের প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানান, কিস্তি আদায় বন্ধ রাখতে আনুষ্ঠানিক অনুরোধে কাজ না হলে, প্রয়োজনের অন্য আরো পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
মানুষের ভোগান্তি কমাতে, সরকারের সব ধরনের প্রস্তুতি আছে বলেও মত কারো কারো।
এই পরিস্থিতিতে, কোন মত টিকে থাকতে, লিজ দেওয়া জলমহালগুলো সবার জন্যে উন্মুক্ত করার দাবী অসহায় এসব মানুষের।