সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় হিট স্ট্রোক এড়াতে কী করবেন?
প্রকাশিত : ১০:৪৬, ২৬ এপ্রিল ২০২২
দিনে দিনে যেনো বেড়েই চলেছে তাপমাত্রা। বৃষ্টির দেখা কবে মিলবে, এখনই বলা মুশকিল। অসহ্য গরম থেকে নিস্তার নেই মানুষের। বোঝাই যাচ্ছে, আগামী দিনগুলো অসহ্য তাপপ্রবাহেই কাটাতে হবে। পরিবেশের অবস্থা যেমনই হোক; জীবিকার টানে বাইরে যেতেই হয়। কিন্তু এই অসহনীয় গরমে শরীর খারাপ হতেই পারে। বাইরে তীব্র তাপপ্রবাহে অসুস্থবোধ করতেই পারেন। অনেক সময় হিট স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনাও থেকে যায়।
খুব বেশি তাপপ্রবাহে পানিটান, ডিহাইড্রেশন, রোদ থেকে শরীর শুকিয়ে যাওয়া এবং পেশিতে টান ধরা (হিট ক্র্যাম্প), একটুতেই হাঁপিয়ে যাওয়া বা অতিরিক্ত ক্লান্তি (হিট ফ্যাটিগ) এবং হিট স্ট্রোক হতে পারে।
চলুন দেখে নেওয়া যাক কোন উপসর্গগুলো দেখলে সাবধান হতে হবে-
রোদে শরীর শুকিয়ে গেলে বা হিট ক্র্যাম্প হলে জ্ঞান হারাতে পারেন। পাশাপাশি ১০২ ডিগ্রির কাছাকাছি জ্বর আসতে পারে। শরীরে নানা জায়গা ফুলে যেতে পারে।
বারবার হাঁপিয়ে যাওয়া, খুব বেশি ঘাম হওয়া, বমি হওয়া বা বারবার বমি হওয়ার প্রবণতা তৈরি হওয়া বা মাথা ধরা রোদ থেকে অতিরিক্ত ক্লান্তি বা হিট ফ্যাটিগের লক্ষণ।
হিট স্ট্রোক হলে শরীরের তাপমাত্রা ১০৪ ডিগ্রির কাছাকাছি চলে যেতে পারে। জ্ঞান হারিয়ে যাওয়া এর অন্যতম লক্ষণ। পরিস্থিতির অবনতি হলে রোগী কোমাতেও চলে যেতে পারেন বা মৃত্যুও হতে পারে।
কীভাবে সুরক্ষিত রাখা যায় নিজেকে-
পারলে দুপুর ১২টা থেকে ৩টার মধ্যে বাড়ির বাইরে যাবেন না। ঘরের ভিতরেই থেকে কাজ করুন। এই সময়ে রোদের তাপ সবচেয়ে বেশি থাকে।
সারাদিন ধরে ঘন ঘন পানি খান। শরীর শুকিয়ে যেতে দেবেন না। হালকা সুতির পোশাক পড়ুন যাতে ঘাম হলে দ্রুত শুকিয়ে যায়। আটকা জুতোর বদলে খোলা চপ্পল পড়ুন।
বাইরে গেলে রোদ চশমা, ছাতা অবশ্যই সঙ্গে নেবেন। সূর্যের আলো সরাসরি গায়ে লাগতে দেবেন না। গা ঢাকা পোশাক পরবেন।
সর্বাধিক তাপমাত্রার সময়ে শরীরচর্চা বা অতিরিক্ত ক্লান্তিকর কোনও রকম কাজ এড়িয়ে যাওয়াই ভাল। পরিশ্রমের কাজ দুপুর ১২টার আগে সেরে ফেলাই ভালো।
অনেকেই এই অসহনীয় গরমে প্রচুর বিয়ার, সোডা বা নরম পানীয় খেয়ে ফেলেন। এতে ডিহাইড্রেশনের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। চা বা কফিও খুব বেশি খাবেন না। তার বদলে ওআরএস, লেবুর পানি, ঘোল বা লস্যি খান। ছাতু বা বেলের শরবত বানিয়ে খেতে পারেন। খেয়াল রাখবেন যাতে সারা দিনের খাবারে বেশি প্রোটিন থাকে। বাসি খাবার খাবেন না।
ঠান্ডা পানিতে স্নান করতে পারেন দিনে ২ থেকে ৩ বার।
ঘর ঠান্ডা রাখুন। যদি শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের যন্ত্র বাড়িতে না থাকে, ভারী পরদা দিয়ে ঘর ঠান্ডা রাখুন। ফ্যানের তলায় ঠান্ডা পানির বাটিতে কয়েক টুকরো বরফ রেখে দিতে পারেন।
অসুস্থ লাগলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
সুত্র: আনন্দবাজার অনলাইন
আরএমএ/ এসএ/