ঢাকা, শনিবার   ২১ ডিসেম্বর ২০২৪

সাগরপথে ইউরোপ যাওয়ার তালিকার শীর্ষে বাংলাদেশ

দুলি মল্লিক

প্রকাশিত : ১৫:১০, ৯ মে ২০২৪

সাগরপথে অবৈধভাবে ইউরোপে যাওয়ার তালিকায় ফের শীর্ষে বাংলাদেশ। জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের তথ্য মতে, চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে সাগরপথে ইতালি প্রবেশকারীদের মধ্যে ২৩ শতাংশই বাংলাদেশী। ঝুঁকিপূর্ণ এ পথ পাড়ি দেয়ার সময় মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যেও বাংলাদেশি নাগরিকদের সংখ্যা কম নয়।

বিশ্লেষকরা বলছেন, দক্ষ জনশক্তি তৈরির পাশাপাশি মানবপাচারকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপই পারে অবৈধ অভিবাসন বন্ধ করতে।

উত্তাল সাগরে ছোট্ট ভঙ্গুর নৌকায় গাদাগাদি করে অনেক মানুষ, সবাই লক্ষ্য ইউরোপের উন্নত কোনো দেশ। তাই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিচ্ছেন এই অভিবাসন প্রত্যাশীরা। বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের সঙ্গে এই নৌকায় রয়েছেন বাংলাদেশীরাও। 

ইউএনএইচসিআর বলছে, চলতি বছর জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত ১৭ হাজার ১৬৯ জন সমুদ্রপথে ইতালি প্রবেশ করেছেন। এরমধ্যে বাংলাদেশি নাগরিকের সংখ্যা ২ হাজার ৬৭০ জন। এই পরিসংখ্যান বাংলাদেশকে সমুদ্র পাড়ি দেয়ার তালিকায় শীর্ষে রেখেছে। 

তবে সবাই সাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে পৌঁছাতে পারে না। পথেই নৌকা ডুবে বা উত্তাল ঢেউয়ের তোড়ে অনেকেরই মৃত্যু হয় ভূমধ্যসাগরে। আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা-আইওএম’র প্রতিবেদন বলছে, সাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে যাওয়ার সময় মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ১২ শতাংশ বাংলাদেশি।  

অবৈধভাবে সাগর পাড়ি দেয়ার ক্ষেত্রে তরুণদের সংখ্যাই বেশি। কারণ জানান সাবেক এই রাষ্ট্রদূত।

৩ থেকে ১৫ লাখ টাকার বিনিময়ে দালাল চক্রের হাত ধরে নানা পথ ঘুরে ইউরোপের পথে পা বাড়ায় বাংলাদেশীরা। বিশ্লেষকরা বলছেন, অবৈধ এই পথ বন্ধ করতে প্রয়োজন কঠোর পদক্ষেপ।

দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার ওপরও জোর দেন তিনি।

২০২৩ সালে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপ প্রবেশে বাংলাদেশের অবস্থান চতুর্থ ছিল। ২০২২ সালে ছিল তৃতীয়। এবার ফের তিন মাসে আবার শীর্ষে বাংলাদেশ।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি