ঢাকা, রবিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

সাগরে ফেলা বর্জ্যে সয়লাব স্বর্ণদ্বীপ খ্যাত সোনাদিয়া (ভিডিও)

আবদুল আজিজ, কক্সবাজার থেকে

প্রকাশিত : ১২:৪৮, ২৬ জানুয়ারি ২০২৩ | আপডেট: ১২:৪৯, ২৬ জানুয়ারি ২০২৩

Ekushey Television Ltd.

সাগর থেকে ভেসে আসা বর্জ্যে সয়লাব দেশের স্বর্ণদ্বীপ হিসেবে পরিচিত মহেশখালীর সোনাদিয়া। এতে দ্বীপের পরিবেশ প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র্য পড়েছে হুমকির মুখে। দ্রুত এসব বর্জ্য অপসারণ জরুরি, বলছেন সমুদ্র বিজ্ঞানীরা। 

কক্সবাজারের মহেশখালীর কুতুবজুম ইউনিয়নের একটি ওয়ার্ড সোনাদিয়া। এর উত্তর-পূর্বদিকে গভীর প্যারাবন বা ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট, দক্ষিণ-পশ্চিম এবং উত্তর পাশে বিশাল ঝাউবিথি ও সৈকত।

তিন দিকে সমুদ্র হওয়ায় সামুদ্রিক জোয়ার ও ঘূর্ণিঝড়-জলোচ্ছ্বাসে ভেসে আসা ময়লা-আবর্জনা জমা হচ্ছে সোনাদিয়ায়। সৈকতের উচ্চজোয়ারে প্লাবিত অঞ্চল জুড়ে কাঁচের বাতল, প্লাস্টিকের স্যান্ডেল, ব্যাগ, মাছ ধরার জাল ও মেডিকেল বর্জ্যসহ অপচনশীল বর্জ্যের স্তূপ মিলছে দ্বীপটিতে।

সোনাদিয়া পরিদর্শনে গিয়ে সম্প্রতি বর্জ্যের উৎস সন্ধান, দ্বীপের জীববৈচিত্র্য ও প্রাকৃতিক সম্পদ বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করেন বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইন্সটিটিউটের পরিবেশবিজ্ঞানীরা।

বাংলাদেশ সমুদ্র বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট মহাপরিচালক সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর বলেন, “অধিকাংশ বর্জ্য এসেছে ভারত, থাইল্যান্ড এবং মায়ানমার থেকে। অনেক বর্জ্য দূরবর্তী দেশের।”

অপচনশীল এসব বর্জ্য সোনাদিয়ার প্রাণবৈচিত্র্য নষ্ট করছে, বলছেন পরিবেশ বিজ্ঞানীরা।

সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর বলেন, “এই বর্জ্যগুলো যদি এখান থেকে অপসারণ করা না হয় এই প্লাস্টিকগুলো ভেঙ্গে মাইক্রো প্লাস্টিকে পরিণত হবে এবং বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আমাদের শরীরে প্রবেশ করবে। তাতে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হবে।”

নেচার কনজার্ভেশন ম্যানেজমেন্টের গবেষণা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুল কাইয়ুম বলেন, “কচ্ছপের ডাইজেস্টিপ সিস্টেমের মধ্যে মাইক্রো প্লাস্টিক ঢুকে যাচ্ছে। এতে করে তাদের বংশ বিস্তারে সমস্যা হচ্ছে, মারা যাচ্ছে এবং বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।”

ইকো ট্যুরিজমের অন্যতম স্থান হতে পারে সোনাদিয়া, বলছে ইউএনডিপি। 

ইউএনডিপি ঢাকার গবেষণা বিভাগের প্রধান ড. রমিজ উদ্দিন বলেন, “এই ইকো সিস্টেমটা যাতে নষ্ট না হয় এবং যতোটুকু নষ্ট হয়ে গেছে সেটাকে যাতে রক্ষা করতে আমরা সবাই মিলে।”

সোনাদিয়া দ্বীপের পাখিসহ জীববৈচিত্র্য রক্ষায় স্থানীয় জনগণ, স্থানীয় সরকার এবং উন্নয়ন সংস্থাগুলোকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান বিশেষজ্ঞরা।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি