মুহাম্মদ (সা:)-এর বাণী
সাতটি ধ্বংসকর মহাপাপ থেকে বাঁচুন
প্রকাশিত : ১৬:৫৬, ২৭ মার্চ ২০১৯
মানবতার মহান মুক্তিদূত, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব হযরত মুহাম্মদ (সা:)কে আল্লাহ ছোবাহানাহু তায়ালা বিশ্ববাসীর জন্য রহমত সরুপ এ পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে বলেছেন, তেমাদের জন্য রাসুলের জীবনীর মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ। তাঁর প্রতিটি কথা, কাজ, অনুমোদন, নির্দেশনা, আদেশ,নিষেধ ও উপদেশ গোটা মানব জাতির দুনিয়া–আখেরাতের কল্যাণের বার্তাবাহী। তাঁর সে কালজ্বয়ী আদর্শ ও অমিয়বাণী দ্যুাতি ছড়িয়ে পথ-পদর্শন করেছে যুগ যুগান্তরে আলোকিত হয়েছে মানবমণ্ডলী ।
সাতটি মহাপাপ:
সর্বাধিক হাদিস বর্ণনাকারী সাহাবী হযরত আবু হুরাইরা (রা:) হতে বর্ণিত বলেন, রাসুলুল্লাহ ( সা: ) বলেছেন- সাতটি ধ্বংসকর মহাপাপ থেকে বাঁচো । সাহাবীগণ জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসুল, সে পাপগুলো কিকি? রাসুল (সা:) বলেন -
১. আল্লাহর তালার সাথে শরীক করা।
২. যাদু করা।
৩. অন্যায়ভাবে. কোন ব্যক্তিকে হত্যা করা ।
৪. সুদ খ্ওায়া ।
৫. ইয়াতিমের সম্পদ আত্মসাধ করা।
৬, জিহাদের ময়দান থেকে পলায়ন করা।
৭. সাদাসিধা সৎচরিত্রা মুমিন মহিলার প্রতি ব্যাভিচারের অপবাদ দেওয়া।
---(বুখারী,মুসলিম,আবুদাউদ,নাসায়ী)
তিনটি নাজায়েজ কাজ:
সাহাবী হযরত সাওবান স্ওারী (রা:) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন রাসুল (সা:) বলেন- তিনটি এমন কাজ রয়েছে যা করা জায়েজ নয়-
১. ইমামের উচিৎ (নেতার) উচিৎ নয় মুক্তাদিদেও (অনুসারীদের) বাদ দিয়ে কেবল মাত্র নিজের জন্য দোয়া করা। ইমাম (নেতা) যদি কেবল নিজের জন্য দোয়া করে, তবে সে আমানতের খিয়ানত করলো।
২. দ্বিতীয় অবৈধ কাজ হলো কারোর বাড়ির দড়জায় গিয়ে বিনা অনুমতিতে ভিতরের দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করা। এমনটি যে করে তার এ কাজ বিনা অনুমতিতে ঘরের মধ্যে প্রবেশ করার তুল্য । (যা নিষিদ্ধ)
৩. তৃতীয় অবৈধ কাজ হচ্ছে প্রস্রাব্ ও পায়খানার বেগ হ্ওয়া সত্ত্বেও তাতে সাড়া না দিয়ে তা ধারণ করে নামাজ শুরু ও দোয়া বা জামাতে শামিল হওয়া।
(আবু দাউদ)
আললামা জলীল আহসান নদভী কতৃক রচিত ’ যাদেরাহ’ হাদীস গ্রন্থ থেকে সংকলিত -( আনোয়ারুল কাইয়ূম কাজল)
কেআই/