ঢাকা, বুধবার   ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪

সাদপন্থিদের নিষিদ্ধের দাবি জোবায়েরপন্থিদের

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৬:২৩, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪

তাবলীগ জামাতের সাদপন্থিদের সন্ত্রাসী সংগঠন আখ্যা দিয়ে তাদের নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছেন জুবায়েরপন্থি আলেমরা। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাসহ সাতজন উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে মাওলানা মামুনুল হক এ দাবি জানান। 

ব্রিফিংয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জে. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মাওলানা মামুনুল হক বলেন, জোবায়েরপন্থিদের ইজতেমা অবশ্যই হবে কিন্তু সাদপন্থিদের ইজতেমার আর কোনো সুযোগ নেই।

আগামীকাল বৃহস্পতিবার টঙ্গীর তুরাগতীর অভিমুখে যে লংমার্চ কর্মসূচি ছিল তা হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, কাকরাইলে মুরুব্বি আলেমদের সম্মেলন চলছে। সেখানে গিয়ে আলোচনার পর সিদ্ধান্ত জানানো যাবে।

ইজতেমা হবে কি হবে না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে ওলামা সম্মেলনে। ইজতেমা ময়দান সংঘাত সম্পর্কে এটা দুপক্ষের সংঘর্ষ নয়, ঘুমন্ত সাথী ভাইদের ওপর একতরফা হামলা। 

এ বিষয়ে মিডিয়া মিথ্যা সংবাদ প্রচার করলে তাদেরও খেসারত দিতে হবে বলে হুঁশিয়ার করে দেন তিনি। 

মামুনুল হক বলেন, হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করা না হলে, পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সম্ভব হবে না। 

তিনি জানান, ওসামা বিন ওয়াসিফ-এর নেতৃত্বে যে হামলা হয়েছে, তার সব সিসিটিভি ফুটেজ আছে। তখন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলম কাকরাইল মসজিদে দু'পক্ষের মীমাংসার জন্য অবস্থান করছিলেন। তারা চেষ্টা করেছিলেন, হামলা বন্ধের।

এর আগে গাজীপুরের টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে দুগ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় ৩ জন নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন- বাচ্চু মিয়া (৭০), তাইজুল (৬৫) ও বেলাল (৬০)। বাচ্চু মিয়ার বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া থানার এগারসিন্দু গ্রামে। বেলালের বাড়ি ঢাকার দক্ষিণ খানের বেড়াইদ এলাকায় ও তাইজুল ইসলাম বগুড়া জেলার বাসিন্দা। 

বুধবার ভোর ৪টার দিকে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. ফারুক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ব ইজতেমার আগে আগামী ২০ ডিসেম্বর থেকে পাঁচ দিনের জোড় ইজতেমা করার জন্য সাদ অনুসারী মুসল্লিরা ইজতেমা ময়দানে প্রবেশের চেষ্টা করছিলেন। আর সাদপন্থীরা যেন ইজতেমা ময়দানে প্রবেশ করতে না পারেন সেজন্য আগে থেকেই ময়দানে অবস্থান করছিলেন জুবায়েরপন্থীরা।

উল্লেখ্য, গতকাল মঙ্গলবার (১৮ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত সোয়া ৩টার দিকে মাওলানা সাদ অনুসারী শত শত মুসল্লি কামারপাড়া ব্রিজ পার হয়ে ইজতেমা ময়দানের বিদেশি নিবাসের গেট দিয়ে ময়দানে প্রবেশ করেন। এসময় ইজতেমা ময়দানের ফটকে জুবায়ের অনুসারীরা পাহারায় থাকায় তাদের মারধর করে ফটক খুলে ময়দানে প্রবেশ করেন সাদপন্থীরা। ময়দানের বিভিন্ন স্থানে ঘুমিয়ে থাকা জুবায়েরপন্থী মুসল্লিদের ওপর হামলা চালান মাওলানা সাদের অনুসারীরা। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের বেশ কিছু মুসল্লি আহত হন। তাদের উদ্ধার করে টঙ্গী শহিদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতাল ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

এসএস//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি