সাভারে সৎ বাবা-মায়ের সহযোগিতায় তরুণীকে গণধর্ষণ
প্রকাশিত : ১৮:১৫, ২৭ মে ২০১৯
রাজধানী ঢাকার অদূরে আশুলিয়ার জিরাবো সৎ বাবার সহযোগীতায় তরুণী গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় সৎ বাবাসহ ৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ। ভুক্তভোগী নারীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে পাঠানো হয়েছে।
সোমবার দুপুরে আশুলিয়া থানা পুলিশ এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এর আগে ভোর রাতে আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলো, পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া থানার চরখালী গ্রামের মৃত. জব্বার হাওয়ালাদারের মো. সজিব হাওলাদার, রংপুর জেলার কাওনিয়া থানার গদাই গ্রামের ওসমান শেখের ছেলে মামুন শেখ, বরিশাল জেলার কোতায়ালীর থানর হিজলা গ্রামের গগন আলীর ছেলে নুরে আলম, গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ি থানার হরিনাথপুর গ্রামের মো.আমিরুল ইসলামের ছেলে হাবিব।
ধর্ষিতার স্বামী সোহাগ মিয়া বলেন, বিদ্যুতের কাজ করতে নারায়নগঞ্জে তিন দিনের জন্য চলে যাই। এ সুযোগে তার সৎ মা সালেহা বেগমের অসুস্থতার মিথ্যে সংবাদ দিয়ে স্ত্রীকে ডেকে নেয় তার সৎ পিতা তাইজুল ইসলাম। এ সময় পূর্ব থেকেই তাদের বাসায় কয়েকজন লোক বসিয়ে রাখেন স্ত্রীর খালা ও সৎ মা সালেহা। তার স্ত্রীর মুখে অজ্ঞান করার ঔষধ দিয়ে অচেতন করার পরই পালাক্রমে তাকে ধর্ষণ করে। সে আরও জানায়,গতআড়াই মাস পূর্বে তাদের বিয়ে হয়। স্ত্রীর বয়সও কম। এই ধর্ষণের সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।
এছাড়া সৎ বাবা তাইজুল ইসলামের বাড়ি গাইবান্ধা জেলার সাদুল্লাহপুর থানার পশ্চিমখামার দশেলী গ্রামে।
আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জাবেদ মাসুদ জানান,গতকা দুপুরে খালার অসুস্থতার কথা বলে তরুণীকে কৌশলে সৎ বাবা তাইজুলের সহযোগিতায় জিরাবো নিয়ে পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে গিয়ে তাকে পালাক্রমে গণধর্ষণ করে ৪ বখাটে। ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। অভিযান চালিয়ে কাঠগড়া ও জিরাবো এলাকা থেকে আসামীদের আটক করা হয়। পরে ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে আসামীদের আদালতে পাঠানো হয়।
কেআই/
আরও পড়ুন