ঢাকা, শুক্রবার   ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪

অগ্নিঝরা মার্চ

সামরিক ফরমান বনাম বঙ্গবন্ধুর নির্দেশ

প্রকাশিত : ১০:৪১, ১৪ মার্চ ২০১৯

১৯৭১-এর ১৪ মার্চ ছিল রোববার। আজ অসহযোগ আন্দোলনের দ্বিতীয় পর্যায়ের সপ্তম দিবস। সামরিক সরকার কর্তৃক গতকাল জারি করা ১১৫নং সামরিক ফরমানের বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারীরাসহ সারাদেশের মানুষ এর বিরুদ্ধে ফুঁসে ওঠে। অ্যাসোসিয়েশন অব পাবলিক এমপ্লয়িজ অব পাকিস্তানের সমন্বয় কাউন্সিলের সভায় বক্তারা অবিলম্বে এ আইন বাতিলের দাবি জানান। এর পর তারা এক বিশাল বিক্ষোভ মিছিল সহকারে বঙ্গবন্ধুর বাসভবনে এসে তাঁর সঙ্গে দেখা করে চলমান অসহযোগের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ এবং অফিস বর্জনের দৃঢ় অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন। এদিকে গণতান্ত্রিক রীতি অনুযায়ী সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর না করায় এবং জাতীয় পরিষদ অধিবেশন স্থগিত ঘোষণায় বঙ্গবন্ধু আহূত অহিংস-অসহযোগের আজকের দিনটিও সাফল্যজনকভাবে শেষ হয়। এদিনও রাজধানী ঢাকা নগরীসহ সারাদেশ ছিল উত্তাল।

আজ সকাল সাড়ে ৯টায় ধানমণ্ডির ৩২নং বাসভবনে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে এক রুদ্ধদ্বার বৈঠকে মিলিত হন ন্যাপ নেতা ওয়ালী খান। প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী এই বৈঠকে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে ছিলেন প্রাদেশিক আওয়ামী লীগ সহসভাপতি ও জাতীয় পরিষদে আওয়ামী লীগ পার্লামেন্টারি পার্টির উপনেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম এবং দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এএইচএম কামারুজ্জামান। অপরদিকে ন্যাপ নেতার সঙ্গে ছিলেন ন্যাপের সাধারণ সম্পাদক গাউস বক্স বেজেঞ্জো। আলোচনা শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রথমে ওয়ালী খান বলেন, `আমরা দেশের রাজনৈতিক সমস্যাবলি নিয়ে আলোচনা করছি। আমরা একে অপরকে চিনি ও জানি। একইভাবে আমরা নির্যাতিত হয়েছি। আমাদের আরও আলোচনা হবে।` জাতীয় পরিষদে যোগদানে তার দলের আগ্রহ সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, `আমার দলই সর্বপ্রথম জাতীয় পরিষদে যোগদানের সিদ্ধান্ত ব্যক্ত করে। কেননা আমরা মনে করি, শাসনতান্ত্রিক সমস্যা আলোচনা ও সুরাহার জন্য জাতীয় পরিষদই উপযুক্ত স্থান। আর সে জন্যই আমি এসেছি পাকিস্তানের ভাবি প্রধানমন্ত্রী, সংখ্যগরিষ্ঠ দলের নেতার সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করার জন্য।` অতঃপর বঙ্গবন্ধু মুজিব সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে বলেন, `আমাদের সংগ্রাম স্বাধীন বাংলাদেশের স্বাধীন নাগরিক হিসেবে বেঁচে থাকার সংগ্রাম। জনগণের সার্বিক স্বাধীনতা অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত এ সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে। বাংলার জনগণ আজ ঐক্যবদ্ধ। এই ঐক্যবদ্ধ মুক্তিপিপাসু গণমানুষকে পৃথিবীর কোনো শক্তিই দাবিয়ে রাখতে পারবে না।`

সারাদেশে শুধু নয়; বিশ্বের বিভিন্ন দেশে স্বাধিকার সংগ্রামে বাংলাদেশের মানুষের বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়ে অপার আগ্রহ লক্ষ্য করা যায়। এ সময় প্রচুর বিদেশি সাংবাদিক খবর সংগ্রহের জন্য দেশে আসেন। প্রায় প্রতিদিনই বঙ্গবন্ধু কোনো না কোনো বিদেশি সংবাদমাধ্যমকে অব্যাহতভাবে সাক্ষাৎকার দিয়ে যান। এদিন অসহযোগ আন্দোলন অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়ে সর্বসাধারণের উদ্দেশে এক দীর্ঘ বিবৃতিতে বঙ্গবন্ধু বলেন, `জনগণের বীরত্বপূর্ণ সংগ্রাম এগিয়ে চলছে। সমগ্র বিশ্বে যারা মুক্তিকামী এবং জাতীয় মুক্তির জন্য সংগ্রাম করে চলছে, তারা আমাদের দাবিকে তাদের নিজেদের দাবি বলে গ্রহণ করেছে। যারা শক্তি দ্বারা শাসন করার চক্রান্ত করে, তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের দুর্গ তৈরি করতে কতটুকু দৃঢপ্রতিজ্ঞ ও ঐক্যবদ্ধ হওয়া প্রয়োজন, আমাদের জনগণ তা প্রমাণ করেছে। আজ বাংলাদেশের নারী-পুরুষ-শিশু নির্বিশেষে প্রত্যেকেই মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার যোগ্যতা অর্জন করেছে। যারা ভেবেছিল, শক্তিমত্তার নগ্ন প্রয়োগের মাধ্যমে বাংলার জনগণকে দমানো যাবে; বাংলার মানুষ তাদেরকে চূড়ান্তভাবে পর্যুদস্ত করেছে। সরকারি চাকুরে, অফিসার, কর্মচারী, কারখানার শ্রমিক, কৃষক ও ছাত্রসহ বাংলাদেশের সর্বস্তরের জনগণ অকুণ্ঠ চিত্তে জানিয়ে দিয়েছে যে, তারা আত্মসমর্পণ অপেক্ষা আত্মবলিদানে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক যে, এমতাবস্থায়ও কোনো কোনো অবিবেচক সামরিক আইন নির্দেশ জারি করে বেসামরিক কর্মচারীদের একাংশকে দমিয়ে দিতে চাচ্ছে। কিন্তু আজ ঐক্যবদ্ধ আপামর জনগণ সামরিক আইনের কাছে নতি স্বীকার না করার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। কাজেই যাদের প্রতি সামরিক আইনের সর্বশেষ আদেশ দেওয়া হয়েছে, তাদের প্রতি আমার অনুরোধ- তারা যেন কোনো প্রকার হুমকির মুখে মাথা নত না করেন। বাংলাদেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষ তাদের ও তাদের পরিবারের পেছনে রয়েছে। তাদেরকে ভয় দেখাবার বর্তমান প্রয়াসও বাংলাদেশের জনগণকে ভ্রূকুটি করার প্রচেষ্টার মতোই প্রতিহত করা হবে। বাংলাদেশের মুক্তির আকাঙ্ক্ষাকে নির্মূল করা যাবে না। আমরা অজেয়।

এই বিবৃতির সঙ্গে জারি করা হয় বঙ্গবন্ধু কর্তৃক নতুন নির্দেশ, যা ঐতিহাসিক অসহযোগ আন্দোলনের ৩৫নং নির্দেশনামা বলে বিবেচিত। নতুন এ নির্দেশের মাধ্যমে পূর্ববর্তী সব নির্দেশ ও তার ব্যাখ্যা এ নির্দেশের অংশ বলে গণ্য হবে এবং এই নির্দেশ আগামীকাল অর্থাৎ ১৫ মার্চ সোমবার থেকে কার্যকর হবে। বাংলাদেশের জনগণের নামে প্রদত্ত নির্দেশে বলা হয়, বাংলাদেশের সর্বত্র কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক সরকারের সেক্রেটারিয়েট ও দপ্তর, আধা-সরকারি প্রতিষ্ঠান, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, হাইকোর্ট এবং অন্যান্য আদালতে হরতাল বর্ণিত নির্দেশানুসারে পালিত হবে। বিভিন্ন সময় নির্দেশের যেসব ব্যাখ্যা প্রদান করা হয়েছে তা এই নির্দেশের অংশ বলে পরিগণিত হবে। বাংলাদেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। ডিসি এবং মহকুমা প্রশাসকরা অফিস বন্ধ রেখে স্ব-স্ব এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষাকল্পে কাজ করবেন। প্রয়োজন হলে উন্নয়নমূলক কাজসহ অন্যান্য কাজও করবেন এবং আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সংগ্রাম পরিষদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রেখে সহযোগিতা করবেন। পুলিশ বিভাগ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব পালন করবে; প্রয়োজনানুযায়ী আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীর সাহায্য গ্রহণ করবে। এ ছাড়াও আনসার বাহিনী, বন্দরগুলো, রেলওয়ে, আমদানিকৃত পণ্য খালাস, শুল্ক্ক বিভাগের করণীয়, ব্যাংকসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠান পরিচালনা, সৈন্য যাতায়াত ও তাদের রসদপত্রে সহযোগিতা না করা, ডাক ও তার বিভাগের প্রতি নতুন নির্দেশনামায় সময়সূচি নির্ধারণ, শুধু স্থানীয় ও আন্তঃজেলা টেলিফোন চালু রাখা; রেডিও, টেলিভিশন, সংবাদপত্রে গণআন্দোলন সংক্রান্ত সংবাদ পরিবেশন না করলে ধর্মঘট। খাদ্যশস্য আমদানি, গুদামজাতকরণ, সরবরাহ ও প্রয়োজনীয় স্থানান্তরের বিষয়গুলোকে প্রাধান্য দিতে হবে এবং সব রকম কর-খাজনা প্রদান সম্পূর্ণরূপে বন্ধ ইত্যাদি। আজ জারি করা বঙ্গবন্ধুর এই নির্দেশ অসহযোগ আন্দোলনের ক্ষেত্রে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করে। কেননা, আগের দিন উস্কানিমূলক যখন ১১৫নং সামরিক আইন জারি হয়েছে জনগণকে দমিয়ে দেওয়ার জন্য; ঠিক তার পরের দিনই সে আইনের বিপরীতে বঙ্গবন্ধু নতুন নির্দেশ দিচ্ছেন। এতে জনগণের মনোবল আরও সংগ্রামী হয়ে ওঠে।

এদিকে এদিনে করাচির নিসতার পার্কে এক জনসভায় ভুট্টো `এক পাকিস্তান এবং দুই অঞ্চলে দুই দলের হাতে ক্ষমতা` এরূপ একটি ফর্মুলা উপস্থাপন করে বলেন, `যে কোনো ধরনের সাংবিধানিক নিষ্পত্তির পূর্বে শেখ মুজিবুর রহমানের দাবি মতে যদি জনগণের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হয়; তবে এটি অতি অবশ্যই হতে হবে পূর্ব পাকিস্তানে সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের কাছে এবং পশ্চিম পাকিস্তানেও অনুরূপভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের কাছে।` অর্থাৎ পূর্বাংশে আওয়ামী লীগ এবং পশ্চিমাংশে পিপলস্‌ পার্টি সরকার গঠন করবে। জনাব ভুট্টোর এ রূপ প্রস্তাবের তীব্র বিরোধিতা করে এদিনেই বাহওয়ালপুর ইউনাইটেড ফ্রন্টের নেত্রী বেগম তাহেরা মাসুদ বলেন, `জনগণ কর্তৃক নির্বাচিত সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর না করে, জাতীয় পরিষদ অধিবেশনে যোগদানের বিরোধিতা করে মি. ভুট্টো অগণতান্ত্রিক ও উস্কানিমূলক আচরণ অব্যাহত রেখেছেন এবং রাজনৈতিক সংকটকে ঘনীভূত করেছেন। ইতিহাস ভুট্টোকে ক্ষমা করবে না। আমার বাহওয়ালপুরের ৩২ লাখ মানুষ পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের যৌক্তিক দাবি ও শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জ্ঞাপন করছি।`

ভুট্টোর এহেন প্রস্তাব বা ফর্মুলার বিরুদ্ধে খোদ পশ্চিম পাকিস্তানে সমালোচনার ঝড় আরও বেগবান হয়ে ওঠে। বেলুচিস্তানের রাজনৈতিক নেতা নওয়াব আকবর খান বুগতি তাৎক্ষণিক এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, `আমি আশা করি, সাংবিধানিক সংকট নিরসনে যত দ্রুত সম্ভব প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান আওয়ামী লীগ নেতার সঙ্গে জীর্ণ সম্পর্ক পুনরুদ্ধারে আলোচনা শুরু করবেন।` সংবাদ সম্মেলনে মি. বুগতি সম্প্রতি তার ঢাকা সফরের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে আরও বলেন, `এখনও সময় আছে; ঐক্যবদ্ধ পাকিস্তান টিকিয়ে রাখতে শেখ মুজিবের দাবিগুলো মেনে নিন এবং যত দ্রুত সম্ভব সংখ্যাগরিষ্ঠ নেতার কাছে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন। পরিস্থিতি যা দাঁড়িয়েছে তাতে শেখ মুজিবই একমাত্র ব্যক্তি, যিনি দেশকে টিকিয়ে রাখতে পারেন।` ভুট্টোর ফর্মুলার তীব্র বিরোধিতা করে সবার উদ্দেশে প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, `যখন শেখ মুজিব সমগ্র দেশ শাসনে জনগণের রায় অর্জন করেছেন, তখন কেন তাঁকে অর্ধেকাংশে ক্ষমতা দেওয়া হবে?` খোদ পশ্চিম পাকিস্তানে বঙ্গবন্ধুর দাবির সমর্থনে জনমত জোরদার হতে থাকে। শুধু রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দই নন, শিল্পপতি-ব্যবসায়ীরাও তাদের শিল্প-ব্যবসা চালু রাখার স্বার্থে সরকারের কাছে প্রদত্ত এক স্মারকলিপিতে বলেন, `দেশের অখণ্ডতা ও অর্থনৈতিক অগ্রগতির স্বার্থে অবিলম্বে শেখ মুজিবুর রহমানের ৪ দফা মেনে নেওয়া হোক।` স্মারকলিপিতে শিল্পপতিরা আরও বলেন, `আওয়ামী লীগপ্রধানের সাম্প্রতিক নির্দেশের ফলে তাদের সমুদয় অর্থ-সম্পদ আটকা পড়েছে এবং অর্থাভাবে অচিরেই তাদের কাপড়ের মিলসহ অন্যান্য কল-কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে।`

বঙ্গবন্ধু ঘোষিত কর্মসূচি কতটা সুদূরপ্রসারী হয়েছিল, সমগ্র পাকিস্তানের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে কী গভীর পরিবর্তনের সূচনা করেছিল, তা উপরোল্লিখিত রাজনৈতিক ও ব্যবসায়ী নেতাদের বিবৃতি ও ভাষ্যে অনুধাবন করা যায়। আমরা তো তখন বঙ্গবন্ধুর খুব কাছে থেকে দেখেছি কীভাবে কত সুচারুরূপে, সংগঠিতভাবে এ আন্দোলন তিনি পরিচালনা করেছেন! বাঙালি জাতির পক্ষ থেকে সর্বাধিনায়কের দায়িত্ব অর্পিত হয়েছিল বঙ্গবন্ধুর ওপর। তিনি যথাযথভাবেই সে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। বিদেশি সাংবাদিক, পশ্চিম পাকিস্তানের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, দেশের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ প্রত্যেকেই তখন বঙ্গবন্ধুর ৪ দফা মেনে নেওয়ার জন্য প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়াকে জোর চাপ দিয়েছেন। কিন্তু সামরিক বাহিনীর স্বার্থ আর ভুট্টোর একরোখা মনোভাব ষড়যন্ত্রের ক্ষেত্রকে প্রসারিত করে এবং নিয়মতান্ত্রিকতার স্থলে অন্যায়ভাবে গণহত্যার জন্য, বাঙালি হত্যার জন্য অস্ত্র, সৈন্য ও গোলাবারুদ আসতে থাকে। এদিকে চট্টগ্রাম অভিমুখী খাদ্যবাহী জাহাজের গতিপথ পরিবর্তন করে করাচি নিয়ে যাওয়া হয় আর চট্টগ্রামে নোঙর করে অস্ত্রবাহী জাহাজ `সোয়াত`। এর প্রতিবাদে ক্যাপ্টেন এম. মনসুর আলী এক বিবৃতিতে বলেন, `খাদ্যবাহী এক জাহাজের গতি পরিবর্তন করে করাচি অভিমুখে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আমরা অবিলম্বে এহেন অপকর্মের পূর্ণ তদন্ত দাবি করছি।`

এ রকম পরিস্থিতির মধ্যে সর্বমহলে খবর ছড়িয়ে পড়ে- প্রেসিডেন্ট জেনারেল ইয়াহিয়া খান বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে আলোচনার জন্য আজ ঢাকায় এসে পৌঁছবেন। প্রেসিডেন্টের আগমনের চেয়েও বড় প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছিল- খাদ্যের বদলে আসছে অস্ত্র। সামরিক শাসকগোষ্ঠী কর্তৃক গৃহীত এসব ঘটনা ছিল বিশেষ ইঙ্গিতবহ।

এসএ/

 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি