অগ্নিঝরা মার্চ
সামরিক ফরমানে চলছিল উস্কানি
প্রকাশিত : ১১:০৪, ১৩ মার্চ ২০১৯
১৯৭১-এর ১৩ মার্চ ছিল শনিবার। এদিনটি ছিল অসহযোগ আন্দোলনের দ্বিতীয় পর্যায়ের ষষ্ঠ দিবস। যথারীতি আজও বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে সরকারি, আধা-সরকারি অফিস-আদালত কর্মচারীদের অনুপস্থিতির কারণে বন্ধ থাকে। বেসরকারি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো বেঁধে দেওয়া নির্দিষ্ট সময়ানুযায়ী স্বাভাবিকভাবে তাদের কাজ চালিয়ে যায়। স্বাধিকার আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে শোক এবং গণহত্যার বিরুদ্ধে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশে আজও সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠান, বাসভবন এবং যানবাহনে কালো পতাকা উত্তোলিত থাকে।
এদিন সিএ ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ, নৌপরিবহন, ডক, পাটকল, সুতাকলের শ্রমিক সংগঠনগুলো এবং ছাত্র ইউনিয়ন বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে বঙ্গবন্ধু ঘোষিত অসহযোগ আন্দোলনের প্রতি পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করে। স্বাধীন বাংলা কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ নেতারা ইকবাল হল (বর্তমানে শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল) প্রাঙ্গণে পরিষদের সব আঞ্চলিক শাখার আহ্বায়ক, সম্পাদক ও সদস্যদের সভা আহ্বান করে। সন্ধ্যায় ছাত্রলীগ লালবাগ আঞ্চলিক শাখার সভা অনুষ্ঠিত হয়। স্বাধীন বাংলাদেশের দাবিতে নিউজপেপার প্রেস ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের একটি বিশাল মিছিল নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বঙ্গবন্ধুর বাসভবনে এসে সমবেত হয়। দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিস্টেম্ফারণের দিকে ধাবমান- এ উপলব্ধি থেকে আজ ৪৫ জন জাতিসংঘ কর্মীসহ ২৬৫ জন বিদেশি নাগরিক ঢাকা ত্যাগ করেন। ক্রমান্বয়ে বিদেশিদের দেশত্যাগ ছিল ঢাকায় আসন্ন গণহত্যার ইঙ্গিতবহ।
অপরদিকে সমগ্র পাকিস্তানে ভুট্টোর পিপলস পার্টি এবং কাইয়ুম মুসলিম লীগ ব্যতীত অন্যান্য রাজনৈতিক দল যেমন ন্যাপ (ওয়ালী), ন্যাপ (ভাসানী), কাউন্সিল মুসলিম লীগ, কনভেনশন লীগ, ইশতেকলাল পার্টি, জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামসহ অন্যান্য দল এবং সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ বঙ্গবন্ধুর কর্মসূচির প্রতি পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করে। পাকিস্তান জাতীয় পরিষদে প্রতিনিধিত্বকারী সংখ্যালঘু দলগুলোর এক যৌথ সভা আজ লাহোরে অনুষ্ঠিত হয়। জমিয়তে ওলামায়ে ইসলাম পার্লামেন্টারি পার্টির নেতা মাওলানা মুফতি মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিল লীগ নেতা মিয়া মমতাজ দৌলতানা ও সরদার শওকত হায়াৎ খান, জমিয়তে ওলামায়ে পাকিস্তানের শাহ আহমেদ দূররানী, জামায়াতে ইসলামীর আবদুল গাফুর, কনভেনশন লীগের জামাল মোহাম্মদ কোরেজা এবং জাতীয় পরিষদে নির্বাচিত স্বতন্ত্র সদস্য মাওলানা জাফর আহমেদ আনসারী ও সরদার মাওলা বক্স সুমরো। এ ছাড়াও সভায় ওয়ালী ন্যাপের কোনো প্রতিনিধি না থাকলেও তারা সভার সিদ্ধান্তের প্রতি তাদের ঐকমত্য জানায়। এদিন এ সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এক গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব গৃহীত হয়। জাতীয় পরিষদে প্রতিনিধিত্বকারী সংখ্যালঘু দলগুলোর সিদ্ধান্তে বলা হয়, `বর্তমান সংকটের মূল কারণ হচ্ছে পারস্পরিক অবিশ্বাস। আমরা মনে করি, অবিলম্বে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ঢাকায় গিয়ে দ্রুত সব রকম অবিশ্বাস, আস্থাহীনতা ও মতদ্বৈধতা দূর করে বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ ফিরিয়ে এনে আন্তরিকভাবে ও মুক্ত মনে শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ৪টি শর্ত মেনে নিয়ে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে আলোচনা শুরু করবে এবং অবিলম্বে সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতার কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করার যথাযথ পরিবেশ তৈরি করবে।` সমগ্র পাকিস্তানের জাতীয় নেতারা প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়াকে যে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে বৈঠকে বসতে বাধ্য করেছিলেন- এ সভায় গৃহীত প্রস্তাবটি এতদসংক্রান্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল। এ সভায় আরও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়, মুফতি মাহমুদের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়ার সঙ্গে এবং শেখ মুজিবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে উদ্ভূত রাজনৈতিক সংকট নিরসনে আলোচনা করবে। প্রয়োজনে তারা ভুট্টোর সঙ্গেও আলোচনা করবে বলে সিদ্ধান্ত নেন। এ ছাড়াও এদিন কাউন্সিল মুসলিম লীগ নেতা মিয়া মমতাজ দৌলতানা পৃথক এক বিবৃতিতে বলেন, `শেখ মুজিব দাবিকৃত ৪ দফা ন্যায়সঙ্গত এবং এ দাবি পরিপূরণ করেই পাকিস্তান বর্তমান রাজনৈতিক সংকট থেকে পরিত্রাণ পেতে পারে।` তিনি এ সংকটের জন্য পুনরায় ভুট্টোকেই দোষারোপ করে বলেন, `জনাব ভুট্টো ৩ মার্চের জাতীয় পরিষদের অধিবেশনে অংশগ্রহণে অস্বীকৃতির কারণেই দেশ আজ এই গভীর সংকটে নিপতিত হয়েছে।` এ রূপ জাতীয় ঐকমত্য বিরাজিত অবস্থায় আজ বিকেলে ন্যাপপ্রধান খান আবদুল ওয়ালী খান দলের সাধারণ সম্পাদক গাউস বক্স বেজেঞ্জোসহ ঢাকায় আগমন করেন। বিমানবন্দরে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, `সামরিক শাসন প্রত্যাহার ও নির্বাচিত গণপ্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর দাবির প্রতি আমার পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। আমার দল দীর্ঘদিন যাবৎ সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে এবং গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করে আসছে। বর্তমান রাজনৈতিক সংকটকে জটিল থেকে জটিলতর দিকে ঠেলে দিয়ে দেশের অখণ্ডতা বিপন্ন করে তোলা হয়েছে।`
দৃশ্যত, সমগ্র পাকিস্তানে মেজরিটি পার্টির নেতা হিসেবে কার্যত বঙ্গবন্ধুর একচ্ছত্র নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হয় এবং পাকিস্তানের সংহতি রক্ষাকল্পে খোদ পশ্চিম পাকিস্তানে দাবি ওঠে প্রেসিডেন্ট যেন অবিলম্বে ঢাকা যান। সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের সব দাবি নিঃশর্তভাবে মেনে নেন। দেশকে খণ্ড-বিখণ্ড হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করেন। পাকিস্তানজুড়ে যখন সব রাজনৈতিক দল জেনারেল ইয়াহিয়াকে চাপ দিচ্ছে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে আলোচনা করার জন্য, তখন সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা হিসেবে বঙ্গবন্ধুও জাতীয় ঐকমত্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে আলোচনার দরজা খোলা রাখেন, যেন কোনো মহল স্বাধিকার সংগ্রামের বিরুদ্ধে বিচ্ছিন্নতাবাদের অভিযোগ তুলতে না পারে। আবার আমাদের তথা তরুণ ছাত্র-যুব নেতাদের নির্দেশ দিয়েছেন সারা দেশে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে `সংগ্রাম পরিষদ` গড়ে তুলতে। কারণ, দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা থেকে বঙ্গবন্ধু জানতেন, পাকিস্তানি সেনাশাসকদের ষাড়যান্ত্রিক ভবিতব্য। তারা ষড়যন্ত্রের পথেই এগিয়ে যাবে। আর তাই নির্বাচিত সংখ্যাগরিষ্ঠের নেতা হিসেবে একদিকে আলোচনার দরজা যেমন খোলা রাখলেন, অপরদিকে সংগ্রামের পথেও দলীয় প্রস্তুতি অব্যাহত থাকল। দীর্ঘকাল পর আজ যখন ফেলে আসা জীবনের রত্নখচিত, সংগ্রামমুখর, গৌরবোজ্জ্বল সেদিনগুলোর কথা স্মরণ করি, তখন ভাবতে অবাক লাগে, কত দূরদর্শী নেতা ছিলেন বঙ্গবন্ধু! কত সুদূরপ্রসারী চিন্তা ছিল তার!
এসব সত্ত্বেও সামরিক সরকার সর্বব্যাপী রাজনৈতিক গণমতকে উপেক্ষা করে নতুন এক সামরিক ফরমান জারি করে। `খ` অঞ্চলের সামরিক আইন প্রশাসকের সদর দপ্তর থেকে ১১৫ নং সামরিক আদেশে বলা হয়, `প্রতিরক্ষা খাতের বেতনভুক বেসামরিক কর্মচারীদের আগামী ১৫ মার্চ সকালের মধ্যে কাজে যোগদানের নির্দেশ প্রদান করা হচ্ছে। যারা এ তারিখের মধ্যে কাজে যোগদানে ব্যর্থ হবেন, তাদেরকে ছাঁটাই করা হবে এবং পলাতক হিসেবে তাদেরকে সামরিক আদালতে বিচার করাও হতে পারে। দেশরক্ষা বিভাগের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান যেমন এমইএস, কম্বাইন্ড ওয়ার্কশপ, অস্ত্রাগার, সিএমএ, এলএও, সিএসডি, বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ এবং সংশ্নিষ্ট সংস্থার সব বেসামরিক কর্মচারী, যারা প্রতিরক্ষা খাত থেকে বেতন পেয়ে থাকেন, তাদেরকে ১৫ মার্চ সকাল ১০টার মধ্যে স্ব-স্ব বিভাগের কাছে কাজে যোগদানের রিপোর্ট করতে হবে। যদি কেউ এ সময়ের মধ্যে কাজে যোগদানে ব্যর্থ হয়, তবে তাকে চাকরিচ্যুত করা এবং পলাতক হিসেবে সামরিক আদালতে বিচার করে সামরিক আইনের ২৫নং বিধি মোতাবেক সর্বোচ্চ ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হবে।`
জেনারেল ইয়াহিয়ার নির্দেশে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের সামরিক প্রশাসক কর্তৃক জারিকৃত এ ফরমান আদেশের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধু মুজিব অগ্নিস্টম্ফুলিঙ্গের মতো গর্জে উঠে বলেন, `সামরিক আইনের আর একটি অধ্যাদেশ জারি হয়েছে জানতে পেরে আমি বিস্মিত হয়েছি। আজ যখন সামরিক আইন প্রত্যাহারের জন্য ইতিমধ্যে বাংলার সমগ্র গণমানুষের প্রচণ্ড দাবির কথা আমরা ঘোষণা করেছি, তখন নতুন করে এরূপ আদেশ জারি করা জনসাধারণকে উস্কানিদানেরই শামিল। এ ধরনের আদেশ যারা জারি করছেন তাদের এ সত্যটি উপলব্ধি করা উচিত, আজ জনসাধারণ তাদের ইস্পাতকঠিন সংকল্পে ঐক্যবদ্ধ। এ ধরনের ভীতি প্রদর্শনের মুখে তারা কিছুতেই নতি স্বীকার করবে না। সংশ্নিষ্ট সবার প্রতি আমি এ ধরনের তৎপরতা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাই। জনসাধারণকে এ ধরনের ভীতি প্রদর্শনের প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তারা তাদের সংগ্রাম চালিয়ে যাবে। কারণ তারা জানে, ঐক্যবদ্ধ মানুষের এ শক্তির বিরুদ্ধে কোনো কিছুরই প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির ক্ষমতা নেই।`
সত্যিকার অর্থেই পরিস্থিতি এমন আকার ধারণ করেছে যে, সর্বাত্মক অসহযোগের ফলে সরকারের প্রশাসনযন্ত্র সম্পূর্ণরূপে বিকল হয়ে পড়েছে। এমনকি কেন্দ্রীয় সরকারের স্টেট ব্যাংকও বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতে বাধ্য হচ্ছে। সমস্যা সমাধানের পথও বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চের ভাষণেই বাতলে দিয়েছিলেন। তবুও তাতে কোনোরূপ কর্ণপাত না করে সামরিক সরকার উস্কানিমূলক ও একতরফাভাবে সামরিক আইন আদেশ জারি করে রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে আরও ঘোলাটে করে তুলেছে। এমন পরিস্থিতিতে আমরা নেতার নির্দেশে আমাদের কাজ এগিয়ে নিতে থাকি। কোথাও যাতে শান্তি-শৃঙ্খলা ভঙ্গ না হয়, কেউ যেন কোনো উস্কানিমূলক কার্যকলাপ দ্বারা সামাজিক স্থিতিশীলতা বিনষ্ট করতে না পারে। অর্থাৎ ৭ মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধু যে আশঙ্কা ব্যক্ত করেছিলেন- `শত্রুবাহিনী ঢুকেছে; নিজেদের মধ্যে আত্মকলহ সৃষ্টি করবে, লুটতরাজ করবে। এই বাংলায় হিন্দু-মুসলমান, বাঙ্গালি, নন্-বাঙ্গালি যারা আছে তারা আমাদের ভাই। তাদের রক্ষার দায়িত্ব আমাদের উপরে।` বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে আওয়ামী লীগ ও এর সব সহযোগী সংগঠন এবং সমমনা মিত্র সংগঠনগুলোকে সঙ্গে নিয়ে, আস্থায় নিয়ে, ঐক্যবদ্ধভাবে সে দায়িত্ব আমরা পালন করেছি। রাজধানী ঢাকা শুধু নয়, সারা বাংলাদেশে সেদিন বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমাদের নিরঙ্কুশ কর্তৃত্ব স্থাপিত হয়েছিল। আর কীভাবে এ কাজটি সম্পন্ন করতে হয় তার ড্রেস রিহার্সেলটি আমরা `৬৯-এর মহান গণঅভ্যুত্থান সংঘটিত করার মধ্য দিয়ে পূর্বেই অর্জন করেছিলাম। ফলে অভিজ্ঞতা আমাদের চেতনাকে করেছিল আরও শানিত ও সমৃদ্ধ।
অসহযোগ চলাকালে আমাদের কাছে সংবাদ আসে, কিছু মানুষ বাংলাদেশ ত্যাগ করে অন্যত্র চলে যাচ্ছে এবং এ সুযোগে কতিপয় স্বার্থান্বেষী টাউট, দালাল শ্রেণির লোক তাদের কাছ থেকে এসব সম্পত্তি খরিদ করে পশ্চিম পাকিস্তানে অর্থ পাচারে সাহায্য করছে। সঙ্গে সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে এ ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হয় এবং স্বাধীন বাংলা কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের নেতাদের স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, `আমরা বাংলাদেশের মানুষের প্রতি আহ্বান জানাই যে, এখন থেকে বাংলাদেশ ত্যাগকারী কারও কাছ থেকে কোনো প্রকার জিনিসপত্র খরিদ করে কেউ যাতে অর্থ পাচারের মতো সমাজবিরোধী কাজে সহায়তা না করেন।` কেননা, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণেই নির্দেশ ছিল- `পূর্ব বাংলা থেকে পশ্চিম পাকিস্তানে এক পয়সাও চালান হতে পারবে না।` আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সব আদেশ-নির্দেশ-দিকনির্দেশনা অক্ষরে অক্ষরে পালন করে অসহযোগ আন্দোলনকে সাফল্যের শীর্ষবিন্দু সর্বাত্মক সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের দিকে এগিয়ে নিয়েছি।
এসএ/