সামান্য হেঁটেই পায়ে ব্যথা? হতে পারে কোলেস্টেরল!
প্রকাশিত : ০৯:১১, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২
রক্তে মোম জাতীয় এক ধরনের পদার্থ রয়েছে যাকে কোলেস্টেরল বলে। শরীরে সুস্থ স্বাভাবিক কোষ তৈরির কাজে লাগে এই কোলেস্টেরল। তবে জরুরি কাজে লাগে বলেই সেই জিনিসটি শরীরে বেশি থাকা ভালো নয়। কোলেস্টেরলের সমস্যা অনেক মানুষেরই রয়েছে। এই রোগে আক্রান্ত হলে বেশকিছু উপসর্গ দেখা যায়। নতুন করে জানা গেল কোলেস্টেরলের কারণে হতে পারে পায়ের ব্যথাও।
মূলত দুই ধরনের কোলেস্টেরল নিয়ে আলোচনা হয়- এলডিএল এবং এইচডিএল। এই দুই কোলেস্টেরলের মধ্যে খারাপ হল এলডিএল। এই এলডিএল রক্তনালীর ভিতরে জমে। ফলে সেখানে প্লাক তৈরি হয়। আর এই প্লাক তৈরি হলে দেখা দেয় রক্ত চলাচলে সমস্যা। তখন দেখা দিতে পারে নানা ধরনের সমস্যা। আর এদিকে এইচডিএল হল হার্টের জন্য ভালো। এই কোলেস্টেরল শরীরে বেশি থাকলে সমস্যার আশঙ্কা কম। তাই চিকিৎসকরা এলডিএল কমিয়ে এইচডিএল বাড়ানোর বিষয়ে জোর দেন।
শরীরের কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি থাকাটা খুবই জটিল একটি সমস্যা। এক্ষেত্রে পেরিফেরাল আর্টারি ডিজিজের মতো সমস্যা দেখা দেয়। এই সমস্যা থেকে মাথায় স্ট্রোক এবং হার্ট অ্যাটাক হতে পারে।
তাই কোলেস্টেরলের সমস্যা যাদের রয়েছে তাদের সতর্ক থাকতে বলেন বিশেষজ্ঞরা। তবে অনেক সময় এই সমস্যা শরীরে বাসা বাধার পরও কোনও লক্ষণ দেখা যায় না। তখন দেখা দেয় সমস্যা। তাই সতর্ক থাকা ছাড়া অন্য কোনও উপায় খুঁজে পাচ্ছেন না বিশেষজ্ঞরা।
কোলেস্টেরলের লক্ষণ
>নখ ভেঙে যাওয়া। নখের ভিতরে দাগ হয়ে যাওয়া।
>পায়ের ত্বক অকারণে চকচক করা।
>পায়ে হঠাৎ করে আলসার দেখা দেওয়া।
>ত্বকের রঙে আসে বদল।
>ইরেকটাইল ডিসফাংশন।
>শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি থাকলে চুল পড়তেও দেখা যায়। এক্ষেত্রে রক্তনালীতে প্লাক জমে তৈরি করে সমস্যা। ফলে ভালোমতো পুষ্টিপদার্থ পৌঁছায় না চুলে।
পায়ের সমস্যা
শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা অনেকটা বেড়ে গেলে পায়ে সমস্যা হতে পারে। এক্ষেত্রে পায়ের রক্তনালীতে জমে যায় কোলেস্টেরল। ফলে পায়ে ঠিকমতো রক্ত চলাচল বন্ধ হয়। এই কারণে পায়ে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তি কিছুটা হাঁটলেই সমস্যায় পড়েন। পায়ে ব্যথা হয়। অনেকের আবার পা অবশ হয়ে থাকে। এমনকী চিমটি কাটলেও অনুভূতি মেলে কম। এদিকে পায়ের পেশির উপরও এর প্রভাব পড়ে। এক্ষেত্রে পা পেশি পুষ্টি পায় না। ফলে পায়ের পেশি ক্রমশ নিজের ক্ষমতা হারাতে থাকে।
কী করবেন?
শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি থাকলে ওষুধ খেতে হবে। পাশাপাশি মেনে চলুন এই নিয়মগুলো।
>সিগারেট খাওয়া ছেড়ে দিন।
>নিয়মিত এক্সারসাইজ করুন।
>মদ্যপান থেকে দূরে থাকুন।
>বাইরের তেল, ঝাল, মশলা যুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।
>মিষ্টিজাতীয় খাবার খাওয়া কমান।
সূত্র: এই সময়
এমএম/