সারাদিনের ক্লান্তি কাটাবে ‘ফুট বাথ’
প্রকাশিত : ১৮:৫৭, ৪ নভেম্বর ২০২১ | আপডেট: ১৯:০২, ৪ নভেম্বর ২০২১
কর্মব্যস্ত জীবনে শরীরের সমস্ত ভার যে অঙ্গ বহন করে তার জন্য কতটা সময় দিচ্ছেন? সেই পদযুগল নিয়ে কোনওদিনও ভেবেছেন? নয় মাসে ছয় মাসে একটা পেডিকিওর নয়। মাঝে মধ্যে পায়েরও একটু ‘মি-টাইম’ চাই। যেটা দিতে পারেন আপনি নিজেই।
পায়ের আরামের জন্য কিন্তু বেশি কিছুর প্রয়োজন নেই। একটু লবন, একটু শ্যাম্পু কিংবা স্কিন কন্ডিশনারই যথেষ্ট। এতেই আরাম পাবে আপনার পা দু’টি।
কিছুদিন আগেও বেশিরভাগ নারী পা নিয়ে এতটা ভাবতেন না। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিজেদের শরীর নিয়ে সচেতন হয়েছেন সবাই।
পেডিকিওর, ম্যানিকিওরের পাশাপাশি ফুট বাথের চলও বেড়েছে। এর জন্য ১৫ থেকে ২০ মিনিটই যথেষ্ঠ।
একটি গামলায় হালকা গরম পানিতে কয়েক চিমটি লবন আর শ্যাম্পু মিশিয়ে পা ডুবিয়ে রাখুন। সঙ্গে এক টুকরা লেবুও চিপে দিতে পারেন।
১০ থেকে ১৫ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানিতে পা ধুয়ে মুছে ময়শ্চারাইজার লাগিয়ে নিন।
রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ফুট বাথ নিলে ফল পাওয়া যায় সবচেয়ে ভাল। কারণ ফুটবাথের পর লম্বা ঘুম দিলেই পরেরদিন সকালের কাজের জন্য একদম রেডি আপনার শরীর।
সামনেই তো আবার শীতকাল। পা ফাটার সমস্যাতেও খুব কাজে দেয় ফুটবাথ। এ জন্য শুধু ঠাণ্ডা পানিতে পা ধোয়ার আগে গোড়ালি ঘষে পায়ের মরা কোষ গুলো তুলে ফেলুন।
ফুটবাথের কারণে পায়ের রক্ত সঞ্চালন বাড়ে, তাই মন ভাল থাকে। আর দুশ্চিন্তা কমে। পায়ের পেশিতে ব্যথা থাকলে তাতেও আরাম মেলে। ত্বক উজ্জ্বল হয় এবং ছত্রাকজাতীয় সংক্রমণ হলে তাও রোধ করে।
অনেকের আবার মোজায় দুর্গন্ধ হয়। পা ঢাকা জুতা পরলে আঙুলের ফাঁকে ঘাম জমে। এ সমস্যাও দূর হবে ফুটবাথে।
সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন
এসবি