ঢাকা, শনিবার   ২১ ডিসেম্বর ২০২৪

সারাদেশে ১০১০টি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে: ধর্মমন্ত্রী

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৮:৫১, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ | আপডেট: ২৩:৪৮, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান বলেছেন, দ্বীনি শিক্ষার জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে সারাদেশে ১০১০টি দারুল আরকাম মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। শনিবার সকালে ইসলামিক ফাউন্ডেশন আগারগাঁও সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথি বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

ইসলামিক ফাউন্ডেশন এবং বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক ইস্তাম্বুল ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘বদিউজ্জামান সাঈদ নুরসীর জীবন ও চিন্তা এবং দ্বীনি শিক্ষা ও দাওয়াতের মাধ্যমে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বজলুল হক হারুন এমপি এবং তুরস্কের সংসদ সদস্য ও ইস্তাম্বুল ফাউন্ডেশনের পরিচালক সাঈদ ইউসি ।

মতিউর রহমান বলেন, মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষার মাধ্যমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কার্যক্রমকে তৃণমূল পর্যায়ে ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে। ইসলামের প্রচার-প্রসার এবং ইসলামী মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৫ সালে ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের অতুলনীয় দৃষ্টান্ত। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে বাংলাদেশ সারাবিশ্বে রোল মডেল। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু-কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে।

তুরস্কের সংসদ সদস্য সাঈদ ইউসি বলেন, অজ্ঞতা, দরিদ্রতা ও অনৈক মুসলমানদের প্রধান শত্রু। শারীরিক নয়, কলমের মাধ্যমে জিহাদ করে মুসলমানদের এসব শত্রুদের নিশ্চিহ্ন করতে হবে। বস্তুগত নয়, বুদ্ধিভিত্তিক কাজে আত্মনিয়াগ করা মুসলমানদের প্রধান কাজ। বদিউজ্জামান সাঈদ নুরসী বিংশ শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ চিন্তাবিদ যিনি ‘কুরআন’ নামক চিকিৎসালয় থেকে মানুষের মুক্তির জন্য ‘ঔষধ’-এর ব্যবস্থা করেছেন। যিনি নৃতাত্ত্বিক জাতীয়তাবাদকে প্রত্যাখ্যান করে ইসলামি জাতীয়তাবাদের মাধ্যমে দেড়শ’ কোটি মুসলমানকে একতাবদ্ধ হওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করেছেন বলে তিনি উল্লেখ করেন।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক সামীম মোহাম্মদ আফজাল বলেন, রাষ্ট্র ক্ষমতা দখলের জন্য ইসলামিক স্টেট ও মুসলিম স্টেট নামে যে দর্শন আবিষ্কৃত হয়েছে তার সাথে কুরআন-সুন্নাহর কোন সম্পর্ক নেই। ওহাবী, মওদুদী, ব্রাদারহুড ও ফতেহগুল দর্শন বিশ্ব শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি। এলেম ও আমলওয়ালা আলেম তৈরির জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশন কাজ করে যাচ্ছে। বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের আলেমগণ নেতৃত্ব দিবেন বলে তিনি উল্লেখ করেন।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক সামীম মোহাম্মদ আফজালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন যুক্তরাজ্যের দুরহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. কলিন টার্নার, তুরস্কের সুলেমান ডেমিরেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. ইসহাক ওজাল, উসকুদার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর আলপারসলান এসিকজেন, সিঙ্গাপুর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. সৈয়দ ফরিদ অ্যালাতাস ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সাবেক পরিচালক ডা. খিজির হায়াত খান। সভায় বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, গবেষক ও আলেম-ওলামা অংশ নেন।

/ আর / এআর

 

 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি