সারের জন্য কৃষক হত্যা, ২৮ বছরে বিচার পায়নি স্বজনরা (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১২:২৮, ১৫ মার্চ ২০২৩ | আপডেট: ১২:৩১, ১৫ মার্চ ২০২৩
কৃষক হত্যা দিবস আজ। ১৯৯৫ সালের এদিন সার, জ্বালানি তেল, কীটনাশক এবং কৃষি পণ্যের সংকট ও মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে আন্দোলনরত কৃষকদের উপর গুলি চালায় বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের পুলিশ। সারের জন্য আন্দোলনে সে বছর এক মাসে সারাদেশে প্রাণ হারায় ১২ জন।
১৯৯৫ সালের মার্চ মাস। বোরো আবাদের ভরা মৌসুম। ডিজেল সংকটে সেচ দিতে পারছেন না কৃষক। কীটনাশকের দামও চড়া। সারের অভাবে ফিকে হয়ে গেছে বোরোর চারা।
তৎকালীন বিএনপি সরকারের সিন্ডিকেটের ফলে ১৮৬ টাকা বস্তা দরের সার বিক্রি হচ্ছিল ১৫-১৬শ’ টাকায়। ন্যায্যমূল্যে সার কিনতে জামালপুর, গাইবান্ধা, নাটোর, কুড়িগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ শুরু করেন কৃষকরা।
আন্দোলন দমাতে গুলি চালায় পুলিশ। গুলিতে ১৫ মার্চ জামালপুর সদরের রশিদপুর গ্রামের আব্দুল খালেক এবং ২৯ মার্চ মেলান্দহ বাজারে কবির হোসেন নিহত হন। পরিস্থিতি ধামাচাপা দিতে লাশ গুম করারও চেষ্টা করা হয়।
জামালপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য মির্জা আজম বলেন, “সকাল থেকেই সেই লাশ উদ্ধারের জন্য আমরা আন্দোলন করি এবং পরবর্তীতে দুপুরের পর সেই লাশ আমাদের কাছে হস্তান্তর করে।”
২২ মার্চ গাইাবান্ধার সরকারি গোডাউনে স্লিপের মাধ্যমে সার আনতে জমায়েত হয় কৃষক। সার না পেয়ে বিক্ষোভ করলে গুলি চালায় পুলিশ। নিহত হন সদর উপজেলার বলমঝাড়ের কৃষক মমিন মণ্ডল এবং গোবিন্দগঞ্জের মহিমাগঞ্জের টুকু মিয়া। ২৮ বছরেও বিচার বা ক্ষতিপূরণ পায়নি তাদের স্বজনরা।
গাইবান্ধা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, “সরকার কর্তৃক কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে অর্থ আত্মসাতের লক্ষ্যে একটি সিন্ডিকেট এই কাজটি করে।”
কৃষি উপকরণের জন্য এমন নিষ্ঠুর হতাহতের পুনরাবৃত্তি এই বাংলায় যেন আর দেখতে না হয়, তেমনটাই প্রত্যাশা কৃষকদের।
এএইচ
আরও পড়ুন