সার্ক সম্মেলনে বাংলাদেশের অংশ না নেয়ার সিদ্ধান্তকে যৌক্তিক বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা
প্রকাশিত : ১১:২৭, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬ | আপডেট: ১১:২৭, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬
যুদ্ধাপরীদের বিচার নিয়ে পাকিস্তানের ওদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের প্রতিবাদে ইসলামাবাদে সার্ক সম্মেলনে বাংলাদেশের অংশ না নেয়ার সিদ্ধান্তকে যৌক্তিক বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। পাকিস্তানে জঙ্গীবাদের উত্থান হচ্ছে উল্লেখ করে, সেখানে রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে বলে মত দিয়েছেন তারা।
দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা- সার্ক এর যাত্রা শুরু হয় ১৯৮৫ সালে। মানুষে মানুষে যোগাযোগ বৃদ্ধি, আঞ্চলিক সম্প্রীতির প্রসার, সন্ত্রাস দমন, ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি, সাম্প্রদায়িকতা আর ধর্মীয় উগ্রতার বিরুদ্ধে ঐক্যমতে পৌঁছানোসহ বিভিন্ন বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়নই এ সংস্থার লক্ষ্য।
তবে নানা কারণে দীর্ঘ ৩২ বছরেও আশার সঞ্চার ঘটাতে পারেনি এই জোট। বলা চলে, সমঝোতার অভাবে গেলো ১৮টি শীর্ষ সম্মেলন কাংখিত লক্ষ্য পূরণের পথে বারবারই পথ হারিয়েছে।
এবার যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে পাকিস্তান প্রশ্ন তোলায় ৯ ও ১০ নভেম্বর ইসলামাবাদ সম্মেলনে অংশ না নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ। কাশ্মীরে সেনা ব্রিগেডে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় ভারতও না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদ বাড়ার কারণে আফগানিস্তান ও ভুটানও অংশ নিতে অপারগতা জানায়। এমন পরিস্থিতিতে স্থগিত করা হয়েছে ইসলামাবাদ সম্মেলন।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে পাকিস্তানের অবস্থানের প্রতিবাদে বাংলাদেশের সিদ্ধান্তকে যৌক্তিক, মনে করছেন কুটনীতি বিশ্লেষকরা।
পাকিস্তানকে জঙ্গিবাদের সূতিকাগার উল্লেখ করে বিশ্লেষকরা বলেন, যে দেশে জঙ্গীবাদের উত্থান, সেখানে রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে।
তবে সার্কভুক্ত দেশগুলোর পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়নে জোর তাগিদ দিয়েছেন বিশ্লেষকরা। নইলে এই জোট অচিরেই অকার্যকর সংস্থায় পরিনত হবে বলেও আশংকা করেন তারা।
আরও পড়ুন