ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪

সালমানের স্ত্রী সামিরা এখন কোথায়

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৬:৪৪, ৮ আগস্ট ২০১৭ | আপডেট: ১৭:৪১, ৮ আগস্ট ২০১৭

ছবি সংগৃহিত

ছবি সংগৃহিত

বাংলা চলচ্চিত্রের সর্বকালের জনপ্রিয় নায়কদের একজন সালমান শাহ। ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ইস্কাটন রোডে নিজের ফ্ল্যাট থেকে সালমানের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সেই সময় থেকেই সালমানের পরিবারের অভিযোগ, আত্মহত্যা নয়, সালমানকে হত্যা করা হয়েছে। স্ত্রী সামিরা এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত।

তখন আত্মহত্যা হিসেবে দেখিয়ে পুলিশ অপমৃত্যুর মামলা নথিভুক্ত করলেও তাতে আপত্তি জানায় সালমান শাহর পরিবার। সালমানের বাবা কমরুদ্দীন আহমেদ হত্যার অভিযোগ তোলেন। কমরউদ্দিনের মৃত্যুর পর সালমানের মা নীলা চৌধুরী ওই মামলা চালাচ্ছেন।

পুত্রবধূ সামিরা হক, চলচ্চিত্র প্রযোজক ও ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাইসহ, ১১ জনকে আসামি করে আদালতে আবেদন করেন নীলা চৌধুরী। সেই আসামিদের একজন সালমান শাহর বিউটিশিয়ান রাবেয়া সুলতানা রুবি সালমানের মৃত্যুর দুই দশকেরও বেশি সময় পর সোমবার ফেসবুকে এক ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘আত্মহত্যা নয়, সালমানকে হত্যা করা হয়। তারই স্ত্রী সামিরা ভাড়াটে খুনিদের দিয়ে সালমানকে খুন করায়। রুবির চাঞ্চল্যকর বক্তব্যের পর তোলপাড় শুরু হয়। আবারো আলোচনায় আসেন সালমান শাহর স্ত্রী সামিরা হক। কিন্তু কোথায় আছেন এই সামিরা?

সামিরার বাবা জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক। মা থাইল্যান্ডের নাগরিক যিনি চট্টগ্রামের একজন বিউটি পার্লার ব্যবসায়ী।


মাত্র ২১ বছর বয়সে মা নীলা চৌধুরীর বান্ধবীর মেয়ে সামিরাকে বিয়ে করেন সালমান শাহ। বিয়ের পর বেশ ভালোভাবেই তাদের সংসার জীবন কাটছিল। মায়ের মতো সামিরাও বিউটি পার্লারের কাজে বেশ আগ্রহী ছিলেন এবং ঢাকায় একটি বিউটি পার্লারও খুলেছিলেন সামিরা। একটা সময় সালমান-শাবনুর জুটি নিয়ে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির ভেতরে-বাইরে কানাঘুষা শুরু হয়। দুজনের ছবিগুলো হিট করতে থাকে। শাবনূরের সঙ্গে ছবিতে একের পর এক সাফল্য সালমানকে অনন্য এক উচ্চতায় নিয়ে যায়। এরপর থেকেই সালমানকে সন্দেহ করা শুরু করেন সামিরা। এতে করে সালমানের সঙ্গে সামিরার মনোমালিন্য ঘটতে থাকে।

এরপর সালমানের মৃত্যু হলে তার মা নীলা চৌধুরী অভিযোগ করেন, সামিরার সঙ্গে বিতর্কিত ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের অবৈধ সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল এবং এ দু’জন মিলে সালমানকে হত্যা করেছে।

সে সময় সামিরাও পাল্টা অভিযোগ করেন, নীলা চৌধুরীই আজিজ ভাইসহ অনেক পুরুষকে তার বাড়িতে নিয়ে আসত এবং এটা নিয়ে সালমান ও তার বাবা নীলার উপর ক্ষুদ্ধ ছিলেন। এছাড়া সামিরা পুরো ঘটনার জন্য সালমান-শাবনুরের প্রেমকেও দায়ী করেন।

এক পর্যায়ে একেবারে আড়ালে চলে যান সামিরা। সালমানের মৃত্যুর কয়েক বছর পর ব্যবসায়ী মুস্তাক ওয়াইজকে বিয়ে করেন তিনি। দ্বিতীয় বিয়ের পর দেশ ছেড়ে চলে যান থাইল্যান্ড। সেখানে সামিরার নতুন সংসারে একটি ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে।

থাইল্যান্ডে সামিরার ছোট দুই বোন ফাহরিয়া হক ও হুনায়জা শেখ তাদের স্বামী সন্তান নিয়ে বাস করেন। জানা গেছে, সামিরা বাংলাদেশে তেমন আসেন না বললেই চলে। আসলেও শুধু নিকট আত্মীয়দের সঙ্গেই দেখা করেন।

 

//এআর


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি