সালামের গুরুত্ব
প্রকাশিত : ১৪:৫০, ১৮ মার্চ ২০১৯ | আপডেট: ১৫:১১, ১৮ মার্চ ২০১৯
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব ও মানবতার মহান মুক্তির দূত হযরত মুহাম্মদ (সা:)কে আল্লাহ ছোবাহানাহু তায়ালা বিশ্ববাসীর জন্য রহমত স্বরূপ এ পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন।
আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে বলেছেন, তেমাদের জন্য রাসুল (স.) এর জীবনীর মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ। তার প্রতিটি কথা, কাজ, অনুমোদন, নির্দেশনা, আদেশ, নিষেধ ও উপদেশ দুনিয়া- আখেরাতের কল্যাণের বার্তাবাহী। তাকে সমগ্র মানব জাতির শিক্ষক রূপে এ ধরাধমে প্রেরণ করা হয়েছে। তার সে কালজ্বয়ী আদর্শ ও অমিয়বাণী দ্যুাতি ছড়িয়ে পথ প্রদর্শন করেছে যুগ যুগান্তরে। তার পরশে আলোকিত হয়েছে বর্বর জাহিলি সমাজ। ঘন ঘোর অন্ধকারে নিমজ্জিত জাতি পরিণত হয়েছে গোটা বিশ্বের অনুকরণীয় আদর্শ।
মহান আল্লাহ ছুবাহানাহু তায়ালা পবিত্র কুরআনুল কারিমে সুরা আন-নুরে ৬১ নং আয়াতে বলেছেন, ‘তোমরা যখন অন্যের ঘরে প্রবেশ করো তখন নিজেদেরকে সালাম করো। এটা আল্লাহর পক্ষ থেকে অত্যন্ত পবিত্র ও বরকতময় তোহফা বিশেষ’।
* সাহাবি হযরত আনাস (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুল্লাহ (সা.) বলেছেন, হে বৎস! যখন তুমি তোমার ঘরে প্রবেশ কর, তখন সালাম দেবে। তোমার সালাম তোমার ঘরের বাসিন্দাদের জন্য বরকতের কারন হবে।
-(ইমাম তিরমিজি বলেন হাদিসটি সহীহ এবং হাসান)
* হযরত জাবির (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুল্লাহ (সা.) বলেছেন- কথাবার্তা বলার পূর্বেই সালাম দিতে হবে।
[ইমাম তিরমিযি (রা.) হাদীসটি বর্ণনা করেছেন এবং তিনি বলেন, এ হাদীসটি মুনকার।]
* সাহাবি হযরত আনাস (রা:) বর্ণনা করেন একদা তিতি শিশু-কিশোরদের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন তিনি তাদেরকে সালাম করলেন। তিনি এ প্রসঙ্গে বল্লেন, রাসলে আকরাম (সা:) এভাবেই করতেন।- (বুখারী ও মুসলিম)
* হযরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, নবী করীম (সা.) বলেছেন- যখন তোমাদের কেউ নিজের কোনও মুসলমান ভাইয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করো, সে যেন প্রথমে সালাম দেয় আর যদি তাদের উভয়ের মধ্যখানে বৃক্ষ, দেওয়াল বা পাথরের আড়াল পড়ে যায়, অত:পর পুনরায় সাক্ষাৎ হয়, তবে যেন দ্বিতীয় বার সালাম দেয়। -(আবু দাউদ)
(ইমাম মুহিউদ্দিন ইয়াহইয়া আন-নববী (রহ:) কতৃক রচিত, হাফেয মুহাম্মদ হাবীবুর রহমান অনুদিত ও রিয়াদুসসালেহীন গ্রন্থ থেকে সংকলিত)
গ্রন্থনা: আনোয়ারুল কাইয়ূম কাজল