ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪

সিংহী হত্যা করল তাঁর আট বছরের পুরুষ সঙ্গীকে

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:২৭, ২৩ অক্টোবর ২০১৮

যুক্তরাষ্ট্রের একটি চিড়িয়াখানায় আট বছর ধরে একই খাঁচায় থাকার পর একটি সিংহী তার সঙ্গী পুরুষ সিংহকে হত্যা করেছে। এই সিংহীর নিজের তিন বাচ্চা বা শাবকের বাবা ছিল পুরুষ সিংহটি।

যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডিয়ানাপোলিস চিড়িয়াখানায় ১২ বছর বয়সী জুরি নামের সিংহী এবং ১০ বছর বয়সী নায়াক নামের পুরুষ সিংহ আট বছর ধরে একসাথে ছিল। তারা তিনটি শাবকের জন্ম দেয় ২০১৫ সালে।

চিড়িয়াখানার কর্মিরা ঘটনার কারণ সম্পর্কে এখনও কিছু ধারণা করতে পারছেন না। তারা কারণ অনুসন্ধান করার কথা বলছেন।

কর্মকর্তারা বলেছেন, সিংহীটি তার চোয়াল দিয়ে সঙ্গী পুরুষ সিংহের ঘাড় চেপে ধরে রেখে মৃত্যু নিশ্চিত করেছে বলে তাদের মনে হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে দেওয়া এক বার্তায় চিড়িয়াখানার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সব বিষয় পর্যালোচনা করে তারা কারণ খুঁজে বের করার চেষ্টা চালাবে।

ফেসবুকে কতৃপক্ষ আরও লিখেছে যে, আফ্রিকান সিংহ নায়াক ছিল অসাধারণ একটা সিংহ এবং তারা তাকে আর পাবে না।

চিড়িয়াখানাটির একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, হঠাৎ করেই এই দুই সিংহের খাঁচায় অস্বাভাবিক গর্জন শুনতে পেয়ে তারা কর্মিরা সেখানে ছুটে যান। তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখেন যে, সিংহী জুরি সঙ্গী পুরুষ সিংহ নায়াকের ঘাড় শক্ত করে ধরে রেখেছে। তারা অনেক চেষ্টা করেও সিংহ দু`টিকে আলাদা করতে পারেননি।

কর্তৃপক্ষ বলেছে, এই দু`জনের মধ্যে তারা কখনও আক্রমণাত্বক স্বভাব তারা দেখেনি। ঘটনার ব্যাপারে তাদের শোক যেনো কাটছে না।

চিড়িয়াখানাটির কিউরেটর ডেভিড হাগান সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, চিড়িয়াখানায় যেসব প্রাণী বাস করছে, প্রত্যেকের সাথে তাদের গভীর সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

ফলে এই ঘটনাটি অনেকটা পরিবারের কোন সদস্যকে হারানোর মতো শোকে তারা রয়েছেন। ঘটনার সময় শাবক বা বাচ্চা তিনটি খাঁচার বাইরে অন্য জায়গায় ছিল।

কর্তৃপক্ষের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চিড়িয়াখানায় সিংহদের যেভাবে রাখা হয়, এখনই তাতে কোন পরিবর্তন আনা হচ্ছে না।

সাফারি পার্কে সিংহীরা প্রায়ই সিংহদের তাড়া করে থাকে, কিন্তু এই জুটির ক্ষেত্রে হঠাৎ কি হলো, সেটা কর্তৃপক্ষ বুঝতে পারছে না।

ঘাড়ের জখমের কারণে দমবন্ধ হয়ে সিংহটির মৃত্যু হয়েছে বলে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে দেখা গেছে।

তথ্যসূত্র: বিবিসি

 

এমএইচ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি