সিজারের মাধ্যমে সন্তান প্রসব মানেই শোষণ: অধ্যাপক আবু সাইয়ীদ
প্রকাশিত : ১৬:৩৯, ১২ আগস্ট ২০১৮ | আপডেট: ১২:২০, ১৪ আগস্ট ২০১৮
সন্তান প্রসাবে সিজারিয়ান পদ্ধতি অবলম্বন মানেই শোষণ বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ আবু সাঈদ। তিনি বলেন, ডাক্তাররা সন্তান প্রসবের ক্ষেত্রে মায়েদেরকে সিজারিয়ান পদ্ধতি নিতে পরামর্শ্ দেয়। তারা একটু কিছু হলেই বলে রোগীর অবস্থা মারাত্মক। তাদের এ পরামর্শের মাধ্যমে রোগীর কাছ থেকে হাতিয়ে নেওয়া হয় মোটা অঙ্কের টাকা। যা এক ধরনের শোষণ ছাড়া কিছুই না।
রোববার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ইমপাল্স হাসপাতালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অধ্যাপক জহির আলামীন, বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘের নির্বাহী পরিচালক রোকেয়া, অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান লাইজু, ডা. নিয়াজ টি পারভীন, ডা. ফারহানা আহমেদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
এ সময় ড. আব্দুল্লাহ আবু সাঈদ আরো বলেন, আমরা এতোদিন বাধ্য হয়ে সিজারিয়ান করেছি। ব্যাথার ভয়ে রোগীরা তো সিজারিয়ান পদ্ধতি চাই। ডাক্তাররা সে সুযোগ কাজে লাগিয়ে আরো উৎসাহিত করে। কিন্তু এখন আর না। আমরাও সারা পৃথিবীর মতো নরমাল ডেলিভারি চাই।
হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অধ্যাপক জহির আলামীন বলেন, প্রসব বেদনা মায়েদের জন্য সবচেয়ে বেশি কষ্টের। মায়েদের এ কষ্টের জন্য কিছু একটা উপয় বের করতে গিয়ে আমরা এ হাসপাতালের প্রতিষ্ঠা করেছি। এখান থেকে মায়েরা ব্যাথা মুক্ত সন্তান প্রসব করতে পারবেন।
বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘের নির্বাহী পরিচালক রোকেয়া বলেন, বর্তমান সভ্যতার এ যুগে ব্যাথামুক্ত সন্তান প্রসবের সুযোগ পাওয়া নারীর অধিকার। আশা করি এ অধিকার বাস্তবায়নে বেসরকারি থেকে সরকারি পর্যায়েও পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, নতুন করে চালু করা এ ব্যাথামুক্ত প্রসবের সুযোগ পেতে একজন মাকে সবমিলিয়ে ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা দিতে হবে। ইনজেকশনের মাধ্যমে ব্যাথা দূর করা হবে। তাতে বাঁচ্চা প্রসবে কোন ক্ষতি হবে না বলে দাবি করা হয়।
আরকে//