সিদ্ধান্ত নেন, খালেদা জিয়া বড় না বিএনপি : হাছান মাহমুদ
প্রকাশিত : ১৭:১৭, ২৩ জুলাই ২০১৮ | আপডেট: ১৯:৪২, ২৩ জুলাই ২০১৮
আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বিএনপিকে আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, আপনারা সিদ্ধান্ত নেন, খালেদা জিয়া বড় না বিএনপি। সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের উদ্যোগে দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমেদের ৯৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এই আহ্বান জানান।
হাছান মাহমুদ বলেন, আপনারা নির্বাচনে যাবেন এতদিন বলেছিলেন। এখন আবার বলছেন খালেদা জিয়াকে ছাড়া নির্বাচনে যাবেন না। গতবার নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফাঁসির দড়ি ঝুলিয়েছেন। আর এবার নির্বাচনে না গেলে ফাঁসি হয়ে যাবে। ফাঁসি থেকে কেউ রক্ষা করতে পারবে না। সুতরাং আমি অনুরোধ জানাবো আপনারা সিদ্ধান্ত নেন, খালেদা জিয়া বড় না বিএনপি বড়। তারেক রহমানের মতো দুষ্কৃতিকারী বড় না বিএনপি বড়। আমি আশা করবো আপনারা বিএনপি রক্ষা করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের সমালোচনা করে হাছান মাহমুদ বলেন, রাস্তায় যেমন খাবারের উচ্ছিষ্ট ছিটিয়ে দিলে অনেক কাক এসে জড়ো হয়, তেমনি জিয়াউর রহমান একইভাবে ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে দিয়ে রাজনীতির কাক জড়ো করেছিলেন। মির্জা ফখরুল সাহেব বড় বড় কথা বলেন, আপনিও রাজনীতির কাক। কারণ আপনি করতেন বামপন্থী দল। সেখান থেকে ডানপন্থী বিএনপিতে চলে গেলেন। অর্থাৎ আপনি আপনার নীতি বাদ দিয়ে ক্ষমতার উচ্ছিষ্টের লোভে আপনি বিএনপিতে গেছেন। আরও অনেকের নাম বলতে পারি, এরা রাজনৈতিক কাক। এই রাজনৈতিক কাকের সমন্বয়ের দল হচ্ছে বিএনপি। আজকে এই দল নানা কথা বলে।
কোনোরকম হামলার সমর্থন আমরা করি না উল্লেখ করে তিনি বলেন, মাহমুদুর রহমানের ওপর হামলা আজকের পত্রিকার বড় খবর। এই হামলাকে আমি অবশ্যই সমর্থন করি না। কিন্তু মাহমুদুর রহমান, উনি কে? কাবাব শরীফের ছবি বিকৃত করে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের অনুভূতিতে আঘাত আনার জন্য সাঈদীর ছবিসহ আরও অনেকের ছবি জুড়ে দিয়েছিল। তিনি বঙ্গবন্ধু, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার পরিবারকে নিয়ে যেই অকথ্য, অশালীন ভাষায় কথা বলেছেন তিনি আবার একটি পত্রিকার সম্পাদক। বাংলাদেশে দুধরনের বিএনপি নেতা আছে। বিএনপি বাই চান্স আর বিএনপি বাই এক্সিডেন্ট। বিএনপি বাই চ্যান্স মানে তারা কোনো না কোনো ঘটনার কারণে বিএনপি হয়ে গেছেন। আবার অনেকেই আওয়ামী লীগের নমিনেশন চেয়েছিল, পায় নাই বিএনপিতে চলে গেছে। এখন পত্রিকার সম্পাদকও এরকম দেখা গেছে সম্পাদক বাই চ্যান্স অথবা সম্পাদক বাই এক্সিডেন্ট। সুপ্রিম কোর্টে আপিল বিভাগের প্রধান বিচারপতি এই মাহমুদুর রহমান সম্পর্কে বলেছেন, এডিটর বাই চ্যান্স। সুতরাং এরা হচ্ছে মুখোশধারী দুস্কৃতিকারী। মাহমুদুর রহমান সাহেবরা হচ্ছেন সুবেশধারী দুষ্কৃতিকারী। দুষ্কৃতিকারীরা হামলা করেছে আর সেটাকে ছাত্রলীগের ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এখন অবস্থা এরকম কোনও গাড়ি যদি এক্সিডেন্ট হয় সেটার কারণেও ছাত্রলীগের ঘাড়ে দায় দেওয়া হচ্ছে। সবকিছুই যেন ছাত্রলীগের জন্য। ১৪ কোটি মানুষের হাতে ক্যামেরা তারপরও কিছু কিছু মানুষ ছোট্ট একটি ঘটনাকে কিভাবে বড় করে দেখতে হয় এই খেলায় মেতেছে তারা।
আরও কয়দিন এই ইস্যুতে বিএনপি সভা সমাবেশ গরম করবে দাবি করে তিনি বলেন, বিএনপি কোনও ইস্যু পায় নাই। কোটা আন্দোলন নিয়েছিল, কোটা আন্দোলন এখন আর হালে পানি পানি পাচ্ছে না এখন মাহমুদুর রহমানকে নিয়ে নেমেছেন। আজকে দেখলাম ফখরুল সাহেব প্রেসক্লাবে এসেছেন। তিনি কি বলেছেন জানি না। তবে কয়েকটা দিন এই ইস্যুতেই তারা সভা সমাবেশ গরম করবেন। আমি আপনাদের অনুরোধ জানাবো এই সমস্ত ব্যক্তিবর্গের হাত থেকে বিএনপিকে রক্ষা করুন।
অা অা/এসএইচ/
আরও পড়ুন