ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪

চট্টগ্রামে জন্ডিসের বিস্তার

সিভিল সার্জন-ওয়াসার পাল্টাপাল্টি বক্তব্য (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২২:৫৫, ২৮ জুন ২০১৮ | আপডেট: ২৩:০২, ২৮ জুন ২০১৮

চট্টগ্রামে গত দু মাস ধরে জন্ডিস আক্রান্তদের সংখ্যা বেড়েই চলছে। জন্ডিসে আক্রান্ত হয়ে ইতোমধ্যে তিনজন মারাও গেছে বলে সির্ভিল সার্জন জানায়। চট্টগ্রামে জন্ডিসের বিস্তার নিয়ে সিভিল সার্জন ও ওয়াসা পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দিয়েছে। চট্টগ্রামের হালিশহরে প্রাণঘাতি পানিবাহিত রোগের জন্য ওয়াসার সঞ্চালন লাইনের ত্রুটিসহ অপরিচ্ছন্ন রিজার্ভারকে দায়ী করেছেন চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন।

অপরদিকে চট্টগ্রাম ওয়াসার পানিতে কোনো ধরনের জীবাণু নেই দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন ওয়াসার কর্মকর্তারা। প্রাণঘাতি এ রোগের জন্য নগরবাসীকে দায়ি করেছে ওয়াসা।  একই সঙ্গে সিভিল সার্জনের বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে নগরবাসীর অসচেতনতাকে দায়ী করেছে ওয়াসা কর্তৃপক্ষ।

চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়ের হিসেবে, গত দুই মাসে নগরীর হালিশহর এলাকার ১৭৮ জন জন্ডিস ও হেপাটাইটিস-ই রোগে আক্রান্ত হয়ে সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে আরও প্রায় এক হাজার রোগী। এ ঘটনার পর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিদর্শক দল জন্ডিস আক্রান্ত ব্যক্তিদের রক্ত ও ওই এলাকার পানির নমুনা সংগ্রহ করতে চট্টগ্রাম আসে। সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন জেলার সিভিল সার্জন।

স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, এরই মধ্যে আক্রান্ত এলাকায় দুই লাখ পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, ৫০ হাজার খাবার স্যালাইন বিতরণ করা হয়েছে।

ওয়াসার পানিতে জীবানু পাওয়া গেছে দাবি করে সিভিল সার্জন আজিজুর রহমান বলছেন, পানি স্থায়ীভাবে বিশুদ্ধ না করা পর্যন্ত এসব রোগ থেকে মুক্তি নাই।

এদিকে  সিভিল সার্জনের অভিযোগকে অস্বীকার করে হালিশহর এলাকার জলাবদ্ধতা এবং নগরবাসীর অসচেতনতা, অপরিচ্ছনতাকে দায়ী করেছেন চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী একেএম ফজলুল্লাহ।

সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত ১ মে থেকে আজ (বৃহস্পতিবার) দুপুর পর্যন্ত পানিবাহিত রোগ জন্ডিসে আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন ওই এলাকার ৩৯৬ জন।

যার মধ্যে ১৭৮ জন এ রোগে আক্রান্ত হয়ে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে পানিবাহিত রোগে আক্রান্তদের স্বাস্থ্য অধিদফতর আলাদাভাবে চিকিৎসাসেবা দেওয়ার কথা জানিয়েছে চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন।

ডা. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী বলেন, সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমরা জন্ডিসে তিনজনের মারা যাওয়ার খবর জানতে পেরেছি। প্রাণঘাতি রোগের কারণ অনুসন্ধানে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ।

চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন ডা. আজিজুল রহমান সিদ্দিকী বলেন, তিনি ওয়াসার পানিতেও সমস্যা আছে জানিয়ে বলেন পানির সমস্যা সমাধান না করলে জন্ডিস (হেপাটাইটিস ই ভাইরাস) ও পানিবাহিত রোগের সমাধান করা সম্ভব নয়। ওই এলাকায় প্রশাসনকে দ্রুত পানির সমস্যা সমাধান করার তাগিদ দেন। অন্যথায় এ সমস্যা স্বাস্থ্য অধিদফতরের নাগালের বাইরে চলে যাবে।

সিভিল সার্জন আরও  বলেন, শুধু হালিশহর নয়, পানিবাহিত এ রোগ এখন নগরীর অন্যত্রও ছড়িয়ে পড়ছে। তবে আমরা যে এলাকায় এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার খবর পেলে দ্রুত সেখানে টিম পাঠিয়ে তাদেরকে বিনামূল্যে চিকিৎসা ও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট দিচ্ছি।

এদিকে, তার এ বক্তব্যে বিস্মিত ওয়াসা কর্মকর্তারা। দুঃখ প্রকাশ করে ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক একেএম ফজলুল্লাহ বলছেন বিশেষজ্ঞ প্রতিবেদনের উদ্বৃতি ছাড়া এ ধরণের বক্তব্য খুবই দুঃখজনক।

তিনি বলেন, বিশেষজ্ঞ দল যেখানে ওয়াসার পানির স্যাম্পল নানাভাবে পরীক্ষা নীরিক্ষা করে জানিয়েছে পানিতে কোন সমস্যা নেই সেখানে ওয়াসার পানিতে জীবাণু আছে চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কীভাবে জানলেন?

বুধবার ওয়াসার পানিতে জীবাণু নিয়ে সিভিল সার্জন অফিসে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনের পর উভয় পক্ষের বক্তব্যে পাল্টা পালটি বক্তব্য উঠে আসে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার  চৌধুরী,  ঢাকা থেকে তদন্ত করতে আসা রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) দুই সদস্য ডা. হুসাম ও ডা. মারুফ।

তারপর ঢাকার রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইডিসিআর) কর্মকর্তারা ওয়াসার পানির নমুনা সংগ্রহ করেন। তাদের সংগৃহীত পানিতে জীবাণুর উপস্থিতি পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী।

তবে সিভিল সার্জনের এই বক্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ওয়াসার দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা। গতকাল সন্ধ্যায় জেলা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জেলা সিভিল সার্জন আজিজুর রহমান সিদ্দিকী ওয়াসার পানিতে জীবাণু নেই গণমাধ্যমে এই ধরনের বক্তব্য না দিয়ে পানির পাইপলাইনের কোথাও লিকেজ (ছিদ্র) আছে কিনা সেটি খতিয়ে দেখতে চট্টগ্রাম ওয়াসার প্রতি আহ্বান জানান।

সংবাদ সম্মেলনে সিভিল সার্জন আরও বলেন, এতোদিন চুপ ছিলাম। সাধারণ জনগণের কথা ভেবে আর চুপ থাকতে পারছি না। ওয়াসার পানিতে সমস্যা আছে। পানির সমস্যা সমাধান না করলে জন্ডিস ও পানিবাহিত রোগের সমাধান করা সম্ভব নয়।

আমি ওয়াসাকে বলবো সাংবাদিকদের কাছে পানিতে জীবাণু নেই বলে দাবি করছেন তারা হালিশহর এলাকায় ঘরে ঘরে যান, সেখানে দেখুন মানুষের কি অবস্থা? ঘরে ঘরে রোগী । মানুষের কষ্টের চিত্র দেখতে হলে এলাকার মানুষজনের সঙ্গে কথা বলেন। এলাকার মানুষজন ওয়াসার পানিতে দুর্গন্ধ আছে সেটা খতিয়ে দেখুন।

এদিকে সিভিল সার্জনের বক্তব্যকে ভিত্তিহীন দাবি করে ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) একেএম ফজলুল্লাহ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সিভিল সার্জনের বক্তব্য অত্যন্ত দুঃখজনক। তিনি এই ধরণের বক্তব্য দিতে পারেন না। আমাদের পাঁচটি স্যাম্পলের মধ্যে শুধু একটি স্যাম্পলে অ্যারোবিক প্লেট কাউন্ট (এপিসি) এক হাজারের মধ্যে ১৩শ’ পাওয়া গেছে। এপিসি’র কারণে কখনো জন্ডিস হতে পারে না। তাই তার বক্তব্য ভিত্তিহীন।’

সংবাদ সম্মেলনে সিভিল সার্জন আরও বলেন, পানিবাহিত রোগ ছড়িয়ে পরার  পেছনে হালিশহরের মানুষের দায়ও কম নয়। একটি ভবনে আমরা খোঁজ নিয়ে জেনেছি, সেই ভবনের প্রতিটি মানুষ জন্ডিসে আক্রান্ত। কিন্তু তাদের যে পানির ট্যাংক আছে সেগুলো গত ১০ বছরে একবারও পরিস্কার করা হয়নি। এক্ষেত্রে প্রয়োজনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে সেগুলো পরিষ্কার করার ব্যবস্থা করা দরকার। এছাড়া একটু করে বৃষ্টি হলে জলাবদ্ধতা হয়ে যায়। এ সময় টয়লেটের পানি আর খাবার পানি একাকার হয়ে যায়। এছাড়া বার বার রাস্তা কাটার ফলে ওয়াসার লাইনে লিকেজ হতে

সিভিল সার্জন আরও বলেন, জন্ডিসে আক্রান্ত হওয়ার খবর আসার প্রথম থেকেই হালিশহরের বাসিন্দাদের সচেতন করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি । হালিশহরে ২ লাখ পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে ১ লাখ ৮৫ হাজার ট্যাবলেট বিতরণ শেষ হয়েছে। সচেতনতামূলক বিভিন্ন নির্দেশনা সম্বলিত লিফলেট ছাপা হয়েছে  ৫০ হাজার। এর মধ্যে ৪৩ হাজার লিফলেট বিতরণ শেষ হয়েছে। এছাড়া ৫০ হাজার ওরস্যালাইনের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৩০ হাজার বিতরণ করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, গত মঙ্গলবার সকালে আমরা সিডিএ আবাসিক এলাকা, হালিশহর বড়পোল ও হালিশহর এইচ ব্লকের ২ নম্বর সড়কের ৩ নম্বর লেন থেকে ওয়াসা পানির নমুনা সংগ্রহ করেছি। আমরা প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা নেওয়া হাসপাতালগুলো থেকে মৃত রোগীদের বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য–উপাত্ত সংগ্রহের  কাজ শুরু করেছি।

তিনি আরও বলেন, মেয়রের নির্দেশে চসিকের স্বাস্থ্য বিভাগ জন্ডিসের কারণ নির্ণয়ে কাজ করছে। চসিকের ৪১টি ওয়ার্ডে ৫৮টি স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র ও ৪টি মাতৃসদন  হাসপাতাল রয়েছে। প্রতিটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রের দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের জনসচেতনতা সৃষ্টির জন্য নির্দেশ দেওয়া  হয়েছে।

এ দিকে সংবাদ সম্মেলনের পর সিভিল সার্জনের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় গণমাধ্যমে বিবৃতি পাঠিয়েছে চট্টগ্রাম ওয়াসা কর্তৃপক্ষ।

 বিবৃতিতে ওয়াসা উল্লেখ করেছে, হালিশহর এলাকায় জন্ডিসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়া প্রসঙ্গে সিভিল সার্জনের বক্তব্য অত্যন্ত দুঃখজনক। পাবলিক হেলথ ল্যাবেরেটরি রিপোর্টে (সংযুক্ত) দেখা যায়, গৃহীত পাঁচটি পানির স্যাম্পলের কোনটিতেই ক্ষতিকর এবং পানিবাহিত রোগের জন্য দায়ী মোট কোলিফর্ম বাসিলি এবং মোট ফেসাল টাইপ কোলিফর্ম পাওয়া যায়নি। শুধু একটি স্যাম্পলে অ্যারোবিক প্লেট কাউন্ট (এপিসি) মাত্রার চেয়ে বেশি পাওয়া গেছে যা স্বাস্থ্যঝুঁকি কিংবা হেপাটাইটিস–ই ভাইরাসের জন্য দায়ী নয়। ইতোপূর্বে চট্টগ্রাম ওয়াসার পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে সম্মানিত নগরবাসীকে সংবাদ সম্মেলন এবং পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে অবহিত করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন ডা. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী একুশে টেলিভিশন অনলাইনকে বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে হালিশহরে জন্ডিসের প্রকোপ ছড়িয়ে পরার কারণে জন মনে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। জনসাধারণের এমন দুর্ভোগের কারণে ওয়াসা এর দায় এড়িয়ে যেতে পারে না। এই দুর্ভোগের কারণে ওয়াসার দায় কম না। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজন প্রাণ হারিয়েছে। এখনও অনেকে জন্ডিসের জীবাণু নিয়ে লড়াই করছে। অনতিবিলম্বে ওয়াসা পানি চেক করা উচিৎ। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে মেয়য়ের সঙ্গে পানির সমস্যা নিরসনে একটা বৈঠক হয়েছে।

চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ জ ম নাসির উদ্দিন একুশে টেলিভিশন অনলাইনকে বলেন, পানিতে জন্ডিস জীবাণু ছড়ানোর জন্য ওয়াসাকে এককভাবে দায়ী করার সুযোগ নেই। কারণ যারা ওয়াসার লাইন ব্যবহার করে না, সেখানেও জন্ডিস দেখা দিয়েছে। পানির নমুনা পরীক্ষা করে ব্যাকটেরিয়া পাওয়া গেছে, ব্যাকটেরিয়ার ফলে আমাশয় হয়, জন্ডিস হয় না। যেহেতু অভিযোগ উঠেছে, তাই ওয়াসা এবং চসিক প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে দিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দিয়েছি। কমিটি রিপোর্ট দাখিল করার পর পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। সে মর্মে সিভিল সার্জনকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া হালিশহরে জন্ডিস প্রতিরোধে আমরা সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত লিফলেট বিলি করেছি, সচেতনতা সৃষ্টির জন্য মাইকিং করেছি। পানি বিশুদ্ধকরণ টেবলেট বিতরণ করেছি।

তিনি আরও বলেন, যে ছেলেটি মারা গেছে, তার পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা হয়েছে। জানা গেছে, তাদের বাড়ির পানির ট্যাংকি গত ১০ বছর পরিস্কার করেনি। এছাড়া হালিশহরে জোয়ারের পানি প্রবেশ করে। সেটাও দেখার বিষয়।’  

সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আক্তার চৌধুরীকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী সাত দিনের মধ্যে এই কমিটিকে তদন্ত রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।’

হালিশহর জে ব্লক সমাজ কল্যাণ পরিষদের সভাপতি কাজী মিনহাজ উদ্দিন রুদভি বলেন, চট্টগ্রাম হালিশহর সন্দ্বীপ অধ্যুষিত একটি এলাকা। এখানে পানির সমস্যা প্রকট। পানিতে দুর্গন্ধ আর জীবাণুর কারণে ঘরে ঘরে জন্ডিস মহামারি আকার ধারণ করেছে। শত শত লোক জন্ডিসের জীবাণু বহন করে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছে। কয়েকজন ইতোমধ্যে প্রাণ হারিয়েছে। ওয়াসার পানির সঞ্চালন লাইনের লিকেজের কারণে এর জীবাণু ছড়িয়েছে এই মর্মে সিভিল সার্জন রিপোর্টও দিয়েছে। সুতরাং ওয়াসা এর দায় থেকে এড়িয়ে যেতে পারে না। আমাদের জে ব্লকে অসংখ্য লোক এখনো অসুস্থ। এ যুগে এসে নিরাপদ পানির জন্য আন্দোলন করতে হবে এটা আমি বিশ্বাস করি না। কারণ এটা পুরোটাই ওয়াসার আন্তরিকতার ওপর নির্ভর করছে।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- আইডিসিআরের ডা. পারভেজ, ডা. হুসাম ও স্যানিটারি ইন্সপেক্টর মো. হাবিবুর রহমানসহ প্রমুখ।

 

 

 

এসএইচ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি