ঢাকা, সোমবার   ২১ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

সিরিয়ার ‘হট কেটে’ ছুরি চালাবে কোন কোন দেশ?

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৬:০৬, ৮ ডিসেম্বর ২০২৪

Ekushey Television Ltd.

সিরিয়ার বাশার-আল-আসাদ সরকারের পতনকে অনেকেই আমেরিকার সাফল্য এবং রাশিয়ার পরাজয় হিসাবে দেখছেন। দামাস্কাস বিদ্রোহীদের দখলে যাওয়ায় ‘লাভের গুড়’ খেতে পারে ইসরায়েল এবং তুরস্ক।

এদিকে পশ্চিম এশিয়ার রণাঙ্গনে প্রতিটা চাল যেন পড়ছে যুক্তরাষ্ট্রের মর্জিমাফিক। আপাতত সেখান থেকে ‘ল্যাজ গুটিয়ে’ পালানো ছাড়া মস্কোর সামনে দ্বিতীয় রাস্তা খোলা নেই। ইরানের অবস্থাও তথৈবচ।

অন্যদিকে, এই পরিস্থিতিতে ‘লাভের গুড়’ কতটা খাওয়া যায়, তার হিসাব কষতে শুরু করেছে ওয়াশিংটন।

শুধু তাই নয়, আসাদ সরকারের পতনে সিরিয়া থেকে রুশ সেনাছাউনি সরাতে বাধ্য হবে মস্কো। এতদিন ভূমধ্যসাগরের তীরে ছিল সেগুলির অবস্থান। কৌশলগত দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় সিরিয়ার রুশ সেনা ঘাঁটিগুলিকে সমঝে চলছিল যুক্তরাষ্ট্রের নৌসেনাও। দামাস্কাসের দখল বিদ্রোহীদের হাতে যাওয়ায় সেদিক থেকেও হাঁফ ছেড়ে বাঁচল আমেরিকা।

তবে পশ্চিম এশিয়ার দেশটিতে বিদ্রোহীরা ক্ষমতায় আসায় সবচেয়ে প্যাঁচে পড়েছে ইরান। যুক্তরাষ্ট্রের ‘পয়লা নম্বর দুশমন’ এই দেশটি এতদিন সিরিয়াকে বাফার রাষ্ট্র হিসাবে ব্যবহার করছিল। দামাস্কাসের মাটির উপর দিয়েই লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী ‘হিজবুল্লাহ’র কাছে পৌঁছাচ্ছিল তেহরানের উন্নত ও সেরা হাতিয়ার।

ইসরায়েলের একেবারে উত্তর দিকে লেবাননের অবস্থান। দীর্ঘ দিন ধরেই সেখানে হিজ়বুল্লার বাড়বাড়ন্ত রয়েছে। ইরানের মদতে প্রায়ই শিয়াপন্থী এই সশস্ত্র গোষ্ঠী ইহুদি ভূমিতে আক্রমণ শানিয়ে থাকে। তেহরানের হাতিয়ার আসা বন্ধ হলে সেই পরিকল্পনা থেকে পিছু হটতে হবে তাদের।

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের দাবি, সিরিয়ার সঙ্কটে পোয়াবারো হতে পারে ইসরায়েল এবং তুরস্কের। দুই রাষ্ট্রর কাছেই পশ্চিম এশিয়ার দেশটির বেশ কিছুটা জমি হাতিয়ে নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। এতে এক দিকে যেমন ‘গ্রেটার ইহুদিভূমি’ তৈরির স্বপ্নপূরণের দিকে এক কদম এগোবে তেলআবিব, অন্যদিকে তেমনই আরবে আধিপত্য বাড়বে আঙ্কারার।

প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞেরা আবার দামাস্কাসের পতনকে আমেরিকার বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ‘মাস্টারস্ট্রোক’ বলে উল্লেখ করেছেন। এর মাধ্যমে আরব দুনিয়া থেকে রাশিয়াকে বিচ্ছিন্ন করতে সক্ষম হলেন তিনি। এর ফলে আগামী দিনে পশ্চিম এশিয়ায় নিজেদের প্রভাব ওয়াশিংটন কয়েক গুণ বাড়িয়ে নিতে পারবে, তা বলাই বাহুল্য।

২০১১ সালে প্রথম বার সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আসাদের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলিকে মদত দেওয়া শুরু করে আমেরিকা। 

সূত্র: আনন্দবাজার

এসএস//


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি