সিলেট সংস্কৃতি ভান্ডারে বড় অংশজুড়ে ‘ধামাইল গান’
প্রকাশিত : ০৯:৩০, ২৯ এপ্রিল ২০১৭ | আপডেট: ১৬:১৯, ২৯ এপ্রিল ২০১৭
সিলেট অঞ্চলের সমৃদ্ধ সংস্কৃতি ভান্ডারে বড় অংশজুড়ে ‘ধামাইল গান’। গ্রামীণ কিংবা হাওর জনপদের নারীদের বিনোদনের এ মাধ্যম দিন দিন নগরজীবনেও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এতদিন ধামাইল গানের কলি মুখে মুখে ফিরলেও, সম্প্রতি এ নিয়ে শুরু হয়েছে গবেষণা ও গান সংরক্ষণ।
ধামাইল গান ও নাচ সিলেটের প্রচলিত কাহিনীমুলক নাচ, যা এই অঞ্চলের লোকসংস্কৃতির অংশও। ময়মনসিংহ জেলার কিছু এলাকা এবং ভারতের ত্রিপুরা, আসাম, শিলচরে ধামাইলের প্রচলন রয়েছে।
যে কোন মাঙ্গলিক অনুষ্ঠানে সব ধর্মের মানুষেরা এই গান ও নাচ পরিবেশন করেন।
ধামাইল গানের উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে শ্রীকৃষ্ণকীর্তনে বেশ কয়েকবার ‘ধামালী’ শব্দটির ব্যবহার হয়েছে। আবার মধ্যযুগের বিভিন্ন লোক কাব্যে ধামালী সম্পর্কিত তথ্য পাওয়া যায়।
হাওর ও গ্রামীণ জনপদে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ধামাইল গান সংরক্ষণ করা প্রয়োজন বলে মনে করেন ভাটি অঞ্চলের সর্বস্তরের মানুষ।
দীর্ঘ দিন পর ধামাইল গান ও নাচ নিয়ে গবেষণা শুরু হয়েছে সিলেটে। এরিমধ্যে লোক সঙ্গীত শিল্পী রাধা রমন, প্রতাপ রঞ্জন তালুকদারসহ অনেক শিল্পীর প্রায় এক হাজার গান সংরক্ষণ করা হয়েছে।
সময় পরিক্রমায় সিলেটের ধামাইল বিশে^র যে প্রান্তে এ অঞ্চলের স্থানীয়রা রয়েছেন সেখানেই জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি ধামাইল সংরক্ষণে সরকারী উদ্যোগ প্রয়োজন বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
আরও পড়ুন