ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪

সুইজারল্যান্ডের হামলার শিকার নেইমার!

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৩:৫২, ১৮ জুন ২০১৮

খানিক আগেই শেষ হলো এবারের ফুটবল বিশ্বকাপে ব্রাজিল বনাম সুইজারল্যান্ডের মধ্যেকার গ্রুপ পর্বের ম্যাচ। গ্রুপ-ই এর দ্বিতীয় ম্যাচে খাতা কলমে প্রতিপক্ষ দুই দল ব্রাজিল আর সুইজারল্যান্ড হলেও মাঠের খেলায় মনে হয়েছে সুইজারল্যান্ডের প্রতিপক্ষ শুধুই নেইমার। ইনজুরি নিয়েও খেলতে আসা নেইমার শিকার হয়েছেন সুইস খেলোয়াড়দের একের পর এক আক্রমণের।

রবিবার মধ্যরাত ১২টায় রাশিয়ার রস্তোভ অ্যারিনা স্টেডিয়ামে ‘হাই ভোল্টেজ’ ম্যাচে মুখোমুখি হয় এই দুই দল। ইনজুরির কারণে মূল একাদশে অনিশ্চিত নেইমারকে শেষ পর্যন্ত মাঠে নামান তিতে। ম্যাচ শুরু পর থেকেই সুইজারল্যান্ডের খেলোয়াড়দের ‘রীতিমত’ টার্গেটে পরিণত হন ব্রাজিলিয়ান এই তারকা ফুটবলার। আর নেইমারকে টার্গেট করা এসব প্রতিরোধের বেশিরভাগই ছিল ফুটবলের ভাষায় ‘রেকলেস’।

ম্যাচ পরিসংখ্যান

ম্যাচের পরিসংখ্যান বলছে পুরোটা ম্যাচে ব্রাজিলের খেলোয়াড়দের মোট ১৯ বার ফাউল করেছে সুইস খেলোয়াড়েরা। এরমধ্যে নয় বারই ফাউল করা হয়েছে নেইমারকে। ১৯ বার ফাউলের মধ্যে তিনটি ফাউলের জন্য হলুদ কার্ড দেখেছেন সুইস খেলোয়াড়েরা। রেফারির পকেট থেকে এই তিনটি হলুদ কার্ডই বের হয়েছে শুধু নেইমারকে ফাউলের বেলায়। এছাড়াও ম্যাচের বিভিন্ন সময় সুইসদের অবৈধ ট্যাকেলের জন্য বারবার রেফারির কাছে আবেদন করতে দেখা গেছে নেইমারকে।

হামলার শুরু ও তিন হলুদ কার্ড

নেইমারকে ‘হামলা’র শুরুটা করা হয় ম্যাচের চতুর্থ মিনিট থেকেই। সুইস মিডফিল্ডার ভ্যালন বেহরামি মধ্যরেখার ব্রাজিলিয় অংশে প্রথম ফাউল করেন নেইমারকে। ঠিক ১০ মিনিট পর মধ্যরেখার সুইস অংশে আবারও নেইমারকে ফাউল করে বসেন বেহরামি।

নেইমারকে ফাউল করার জন্য প্রথম হলুদ কার্ডটি দেখেন সুইস অধিনায়ক স্টিফেন লিচস্টেইনার। ৩১ তম মিনিটে নেইমারের পায়ে আঘাত করে স্টিফেন।

অধিনায়কের পথ অনুসরণ করে নেইমারকে পরপর দুই বার গুরুতর ফাউল করে ফাবিয়ান সাচার এবং আক্রমণের শুরু করা ভ্যালন বেহরামি। দুইবারই হলুদ কার্ড বের করেন মেক্সিকান রেফারি সিজার রামোস।

এরমধ্যে ৬৫ মিনিটে সাচার নেইমারের প্যান্ট টেনে উলঙ্গই করে দিচ্ছিলেন। ঠিক তিন মিনিট পরে মাঝ মাঠের কাছে নেইমারের ওপর আবারও ঝাপিয়ে পরেন ভ্যালন। রেফারির হলুদ কার্ডের পরেও নেইমারের দিকে তাচ্ছিল্যমূলক শারীরিক ভঙ্গি করতে দেখা যায় এই মিডফিল্ডারকে। বিষয়টি এতটা গুরুতর ছিল যে, ভ্যালনকে মাঠ থেকে উঠিয়ে নিতে বাধ্য হন সুইস কোচ ভ্লাদিমির পেটকোভিচ।

এরপরেও নেইমারকে অন্তত আরও চারবার ফাউল করা হয়। ৭৫ মিনিটে জেমালি, ৮৬ মিনিটে জাকা, নির্ধারিত ৯০ মিনিটের পর অতিরিক্ত চতুর্থ মিনিটে মাইকেল ল্যাং এবং সর্বশেষ ৯৫ মিনিটে ডেনিস জাকারিয়ার করা ফাউলের কারণে বাঁশি বাজাতে হয় রেফারিকে।

এতসব আঘাত সহ্যের পর ইনজুরি আক্রান্ত নেইমারকে পরবর্তী ম্যাচে ব্রাজিল পাবে কি না সেটাই এখন দেখার বিষয়।         


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি