ঢাকা, শনিবার   ০২ নভেম্বর ২০২৪

সুন্দরবনে মাছ ধরতে গিয়ে বড় ভাই জেলে, ছোট ভাই নিখোঁজ

মোংলা প্রতিনিধি 

প্রকাশিত : ১০:৩৩, ১১ এপ্রিল ২০২৩

সুন্দরবনে মাছ ধরতে গত ৭ এপ্রিল বাড়ি থেকে রওনা হয়েছিল সাগর নাথ (২৫) ও হিলটন নাথ (১৮) নামে আপন দুই ভাই। এসময় অবৈধভাবে মাছ শিকারের দায়ে বড়ো ভাই সাগর নাথসহ তিন জেলে বন রক্ষীদের হাতে আটক হলেও নিখোঁজ রয়েছেন ছোট ভাই হিলটন নাথ। 

নিখোঁজ হিলটন নাথ মোংলা উপজেলার চিলা গ্রামের দিনমজুর মিঠু নাথের ছেলে। নিখোঁজ হিলটনের সন্ধানে তার পরিবারসহ এলাকাবাসী পশুর নদী ও সুন্দরবনের আশপাশে তাকে খুঁজে বেড়াচ্ছেন।

হিলটন নাথের চাচা স্বপন নাথ জানান, হিলটন মোংলা ইপিজেডের একজন শ্রমিক। শুক্রবার রাতে তার বড়ো ভাইসহ আরও দুজন সুন্দরবনের খালে মাছ ধরতে রওনা হলে তাদের সাথে মাছ ধরতে যায় হিলটন। পরদিন শনিবার সকাল বেলা জানতে পারি, সুন্দরবনে মাছ ধরার অপরাধে সাগর নাথসহ বাকি দুজনকে বনরক্ষীরা আটক করে। আটকের সময় হিলটন ভয়ে নদীতে ঝাঁপ দেয়। 

পরিবারের লোকজনসহ এলাকাবাসী হিলটনকে নদী এবং সুন্দরবনে অনেক খোঁজাখুজি করে এখনও তার কোন সন্ধান পায়নি। নিখোঁজ হিলটন মরে গেছে, নাকি বেঁচে আছে তাও বলতে পারছেনা তারা।

পূর্ব সুন্দরবনের চাদঁপাই রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) মাহাবুব হাসান জানান, অবৈধভাবে সুন্দরবনের করমজলের ৮নং খালে মাছ শিকারকালে বনরক্ষীদের হাতে অসিম শেখ, জাকির শেখ ও সাগর নাথ নামে তিন জেলে নৌকাসহ আটক হয়। এসময় আর কাউকে নৌকায় পাওয়া যায়নি। আটককৃত ব্যক্তিদের সঙ্গে আর কেউ আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন তাদের সঙ্গে আর কেউ ছিলনা।

সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবির জানান, সোমবার (১০ এপ্রিল) উপজেলার চিলা এলাকার কিছু লোক এসে তাকে জানায় মাছ ধরতে এসে হিলটন নামে তাদের একজন লোক নিখোঁজ রয়েছেন। তার সন্ধান পেতে সহায়তা চাইলে ঊর্ধতন কর্মকর্তাদের সম্মতিতে তাদের সঙ্গে বনরক্ষীদের বনে এবং নদীতে পাঠানো হয়েছে।

নিখোঁজ হিলটনের বাবা মিঠুনাথ কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, “আমার দুইটা ছেলে বড় ছেলেটা মাছ ধরতে গিয়ে মামলা খেয়ে জেলে আছে, আর ছোট ছেলেটা নিখোঁজ। জানিনা, আমার বুকের মানিক বেঁচে আছে নাকি মরে গেছে। গত শনিবার থেকে এখন পর্যন্ত আমার মানিককে খুঁজে পাচ্ছিনা। জীবিত না পারলেও লাশটা অন্তত আমাকে এনে দিন।”

এএইচ


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি