সুন্দরবনের কাছে হবে নিবিড় পর্যটন অঞ্চল
প্রকাশিত : ২০:৩১, ৩ এপ্রিল ২০১৯
পর্যটন শিল্পের বিকাশে সুন্দরবনের কাছে একটি নিবিড় পর্যটন অঞ্চল তৈরি করা হবে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মহিবুল হক।
আজ বুধবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে বাংলাদেশ টুরিজম বোর্ড আয়োজিত ‘উন্নয়ন ভাবনায় পর্যটন’ শীর্ষক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
সচিব বলেন, দেশের পর্যটন স্পটগুলো এখনও পর্যটকদের কাছে পূর্ণরূপে তুলে ধরা যায়নি। পর্যটন স্পটগুলো পর্যটকদের কাছে তুলে ধরতে মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি সব স্টেকহোল্ডারকে নিয়ে কাজ করছি। সুন্দরবনকে নিয়ে মাস্টার প্ল্যান তৈরি করা হয়েছে। সুন্দরবনের কাছে পর্যটন বিকাশে একটি নিবিড় পর্যটন অঞ্চল তৈরি করা হবে। এর উন্নয়নে মন্ত্রণালয় বেসরকারি সব স্টেকহোল্ডারকে নিয়ে কাজ করবে।
তিনি বলেন, কক্সবাজার দেশের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র। কিন্তু পরিতাপের বিষয় কক্সবাজারকে এখনও পর্যটকবান্ধব করা যায়নি। এখনো কোনো পর্যটক কক্সবাজার গেলে সমুদ্র দেখা ছাড়া কিছু করণীয় থাকে না।
এ সমস্যা দূর করতে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় কক্সবাজার থেকে টেকনাফ পর্যন্ত রাস্তার দুপাশের সব অঞ্চলকে নিবিড় পর্যটন অঞ্চল ঘোষণা করেছে। সেখানে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বেসরকারি উদ্যোক্তাদের নির্দিষ্ট পরিকল্পনার আওতায় পর্যটন শিল্পের বিকাশে যথাযথ সহায়তা দেয়া হবে। এছাড়া কক্সবাজারে পর্যটকদের বিনোদনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে। কক্সবাজারের বাঁকখালী নদীর মোহনায় পর্যটকদের আকর্ষণ করতে বিশেষ পর্যটন অঞ্চল গড়ে তোলা হচ্ছে। সেখানে পর্যটকদের বিনোদনের সব সুবিধা নিশ্চিত করা হবে।
তিনি আরও বলেন, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়িতে পর্যটন বিকাশে বিশেষ পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এ তিন জেলাকে পর্যটনবান্ধব করতে সব ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিন জেলার পাহাড়, নদী, লেকের সৌন্দর্য এবং উপজাতীয় সংস্কৃতিকে পর্যটকদের কাছে তুলে ধরতে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আতিকুল হকের সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডক্টর ভুবন চন্দ্র বিশ্বাস। বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান খান কবির এবং বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের পরিচালক আবু তাহের মোহাম্মদ জাবের।
আরকে//
আরও পড়ুন