ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ০৭ নভেম্বর ২০২৪

সুবর্ণচরে মা-মেয়ে ধর্ষণের মূলহোতাসহ গ্রেপ্তার ২

নোয়াখালী প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১৩:৪০, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

চাঞ্চল্যকর নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চরওয়াপদা ইউনিয়নের চরকাজী মোখলেছ গ্রামে বসত ঘরের সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে মা-মেয়েকে ধর্ষণের ঘটনায় মেহেরাজ (৪৮) নামের আরও এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর আগে এ ঘটনার মূলহোতা আবুল খায়ের মুন্সিকে গ্রেপ্তার করা হয়।

বুধবার বেলা ১১টায় নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান।

মামলার প্রধান আসামি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সভাপতি আবুল খায়ের মুন্সি মেম্বারসহ অপর দুই আসামি চুরি করতে নয় গৃহবধূকে ধর্ষণের উদ্দেশ্যে তাদের ঘরে সিঁধ কেটে ডুকেছে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান। চুরিটা ছিল ঘটনাকে ভিন্ন খাতে নিতে আসামিদের কৌশল।

এ মামলায় এ পর্যন্ত গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছেন চরকাজী মোখলেছ গ্রামের গোলাপ রহমানের ছেলে আবুল খায়ের মুন্সি মেম্বার (৬৭) ও একই গ্রামের নুরুল আমিনের ছেলে মেহেরাজ (৪৮)। এ মামলায় এখনও পলাতক রয়েছে হারুন প্রকাশ গরু হারুন নামের আরও এক আসামি। 

তাকে গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন এসপি।

পুলিশ সুপার বলেন, মুন্সি মেম্বার ওই গৃহবধূকে নাতনী বলে সম্মোধন করতেন। দীর্ঘদিন ধরে মুন্সি ওই নারীকে বিভিন্নভাবে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে ছিলেন। নিজের স্ত্রী নেই তাই তার প্রতি খেয়াল রাখতে বলে গৃহবধূকে একাধিকবার কুপ্রস্তাবও দিয়েছেন মুন্সি। কিন্তু ওই নারী কোনো সাড়া না দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হন মুন্সি। 

কিছু দিন আগে গরু বিক্রি করে গৃহবধূর স্বামী এবং ওই টাকা তাদের ঘরে আছে এটাকে কৌশলে কাজে লাগিয়ে মেহেরাজকে লোভ দেখিয়ে মুন্সি ও হারুন তাদের ঘরে প্রবেশের পরিকল্পনা করে। যদিও তাদের দুইজনের উদ্দেশ্য ছিল গৃহবধূকে ধর্ষণ। পরিকল্পনা অনুযায়ি সোমবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে সিঁধ কেটে ওই গৃহবধূর ঘরে প্রবেশ করে তারা। 

এসময় মুন্সি ও হারুন প্রথমে গৃহবধূর হাত-পা ও মুখ বেঁধে ফেলে খাট থেকে নামিয়ে পায়ের বাঁধন খুলে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। একই সময় মেহেরাজ পাশের কক্ষে থাকা গৃহবধূর পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়েকে একই কায়দায় ধর্ষণ করে। 

পরে তারা ঘটনাটি চুরি বলে চালিয়ে নিতে ওই ঘর থেকে নগদ টাকা ও স্বর্ণ লুট করে নিয়ে যায়। কিন্তু গৃহবধূ ও তার মেয়ে মুন্সি ও হারুনকে চিনে ফেলেন বলে জানান এসপি।

পুলিশ সুপার আরও জানান, সিঁধ কাটায় ব্যবহৃত কোদাল, একটি দা এবং ঘটনার সময় ব্যবহৃত মুন্সি মেম্বারের মানকি টুপি ও প্যান্ট জব্দ করা হয়েছে। আসামিদের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করতে এবং রিমান্ডের আবেদন করে আজ বুধবার আদালতে প্রেরণ করা হবে। 

পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি