সুবিধাবঞ্চিতদের মাঝে আলো ছড়াচ্ছে ‘স্বপ্ন স্কুল’
প্রকাশিত : ১৯:১২, ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭ | আপডেট: ১৬:১৪, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭
সুবিধাবঞ্চিত শিশু-কিশোরদের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে ‘স্বপ্ন স্কুল’। এটি গাজীপুরের পূবাইলের নারায়ণকুল গ্রামে অবস্থিত। বাংলা ও ইংরেজি দুই মাধ্যমেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি পরিচালিত হচ্ছে। এখানে গতানুগতিক শিক্ষার নৈতিক শিক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। প্রতিটি শিক্ষার্থীকে সচেতন করে আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে। প্রচলিত শিক্ষার বাইরে গিয়ে ভিন্ন ধাঁচে (যেমন খেলার ছলে পড়া, গ্রুপ স্টাডি, সহশিক্ষা কার্যীক্রম) পাঠদান করানো হয়। বিভিন্ন ক্ষেত্রে সফল ব্যাক্তিদের স্কুলে এনে ড্রিম স্পিচের ব্যবস্থা করে ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের অনুপ্রেরণা যোগানো হয়। প্রতি ক্লাসে প্রতিটি শিক্ষার্থীর জন্য রয়েছে ড্রিম কার্ড। এসব ড্রিম কার্ডে শিক্ষার্থীরা তাদের নিজেদের স্বপ্নের কথা লিখে রাখে। আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষার সঙ্গে এখানকার শিক্ষার সমন্বয় করতে জাপানের সেরা স্কুলের ছাত্রদের সঙ্গে স্কাইপিতে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা বিনিময় করা হয়। দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীদের উন্নত এই শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে সম্পূর্ণ বিনা খরচে। মেধাবী শিক্ষার্থীদের বিদেশে উচ্চশিক্ষায় সহায়তা করতে স্কুলটি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত স্কুলের শ্রেণীকক্ষে ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করানো হয় মাল্টিমিডিয়া পদ্ধতিতে। রয়েছে সুদীর্ঘ খেলার মাঠসহ বৃহৎ হল রুম ও এগ্রিকালচারাল ফার্মও রয়েছে। ছয় হাজার বইয়ের সমৃদ্ধ লাইব্রেরি। শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তিজ্ঞান সম্পন্ন করে গড়ে তোলার জন্য সুবিশাল কম্পিউটার ল্যাব ও বিজ্ঞান গবেষণাগারের সুব্যবস্থাও রয়েছে। মেধাকে শাণিত করার জন্য রয়েছে ডিবেটিং ক্লাব। স্কুলের ক্লাব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে গণিত ক্লাব, ভলেন্টারি ক্লাব, ব্যাডমিন্টন ক্লাব, অ্যাথলেটিক্স ক্লাব ও মিউজিক ক্লাব।
স্কুলের বাংলা বিভাগের শিক্ষক রকিবুল হাসান জানান, শিক্ষার্থীদের নৈতিকতা সম্পন্ন একজন আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলাই স্কুলের লক্ষ্য। এই স্কুলের শিক্ষার্থীরা রাস্তাঘাটে চলার পথে যেখানে সেখানে ময়লা ফেলে না। পাশাপাশি রাস্তায় কোনো ময়লা দেখতে পেলে তা তুলে নিয়ে ময়লা ফেলার নির্ধারিত স্থানে ময়লা রাখে। শিক্ষার্থীদের সচেতন করতে আশেপাশের পরিবেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য বিভিন্ন প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়।
শিক্ষক রকিব জানান, স্কুলের ক্ষুদে এসব শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন একদিন তারা বাংলাদেশকে একটি পরিচ্ছন্ন দেশ হিসেবে গড়ে তুলবে। ছুটির পর স্কুলের শ্রেণিকক্ষসহ স্কুলটি শিক্ষার্থীরা নিজেরাই পরিষ্কার করে। খুব আনন্দের সঙ্গেই তারা এ কাজটি করে থাকে।
জাপানের পার্লামেন্ট ডায়েটের সদস্য মিকি ওয়াতানাবের উদ্যোগে ২০১৩ সালে এ স্কুলটি প্রতিষ্ঠিত হয়। স্কুলটির সহযোগিতায় রয়েছে বেসিক ডেভেলপমেন্ট পাটনার্স, স্কুল এইড জাপান ও টোপিওর ইকুবুনকান গ্লোবাল স্কুল। এখানে বাংলা ও ইংরেজি দুটি মাধ্যমের দুটি স্কুলের মধ্যে একটির নাম নারায়ণকুল ড্রিম মডেল হাই স্কুল (বাংলা মাধ্যম) ও অপরটি নাম জাপান ইন্টারন্যাশনাল ড্রিম স্কুল (ইংরেজি মাধ্যমে)। মোট ১১ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত স্কুল দুটি প্রতিষ্ঠিত। জাপানের অর্থায়নে এটি পরিচালিত হচ্ছে। ইকুবুনকান গ্লোবাল স্কুলের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্কাইপে ক্লাস করে থাকে নারায়ণকুল ড্রিম মডেল হাই স্কুলের শিক্ষার্থীরা। বিশ্বমানের একটি গ্লোবাল স্কুল গড়ে তোলাই নারায়ণকুল ড্রিম মডেল হাই স্কুলের লক্ষ্য।
ভিন্ন আঙ্গিকে পাঠদান
স্কুলের পাঠ দানের কার্যক্রমটা দেশের অন্য সব বিদ্যালয় থেকে আলাদা। এ স্কুলের প্লে, নার্সারি ও ক্লাস ওয়ানের ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের একাডেমিক পড়াশুনায় খুব বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয় না। এই তিন ক্লাসের শিক্ষার্থীদের আগ্রহের বিষয়ের উপর সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। তাই ক্লাসে শিক্ষার্থীদের জন্য বিভিন্ন ধরনের শিক্ষা সংক্রান্ত খেলনা সামগ্রী রাখা হয়। এগুলো দিয়ে তারা খেলাচ্ছলে বিভিন্ন বিষয় শিখে থাকে।
শুধু একাডেমিক পড়াশুনাই নয়, শিক্ষার্থীদের কল্যাণের জন্য স্কুলটি সবর্দা নিবেদিত। এই স্কুলের প্রত্যেকটি শিক্ষার্থী একটি স্বপ্ন ধারণ করে। আর তার স্বপ্ন পূরণের জন্য তাকে গড়ে তোলার দায়িত্ব নিয়েছে এই স্কুলটি। স্কুলের প্রত্যেকটি শিক্ষার্থী স্বপ্ন অন্বেষণ করেন। স্বপ্ন পূরণের জন্য সবর্দা নিরলস চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রাণশক্তি জাগানো ও জোগানোর কাজটিও করে স্কুলটি।
এ লক্ষ্যে প্রতিবছর স্বপ্ন পূরণে সফল ব্যক্তিদের স্কুলে নিয়ে এসে ড্রিম স্পিচ (স্বপ্ন বক্তৃতা)-এর ব্যবস্থা করা হয়। এরই মধ্যে স্কুলটিতে ড্রিম স্পিচ দিয়েছেন ম্যাগসাইসাই পুরস্কারজয়ী অ্যাঞ্জেলা গোমেজ, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান, বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)-এর কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজ প্রমুখ।
এসব সফল ব্যক্তিদের প্রেরণা যোগানো কথা শুনে শিক্ষার্থীরা নিজেদের অনুপ্রেরণা পাওয়ার পাশাপাশি স্বপ্ন পূরণে প্রাণশক্তিও জোগায়। শুধু তাই নয়, বছরের শুরুতে প্রতিটি শিক্ষার্থীকে স্কুলের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে ড্রিম ডাইরি দেওয়া হয়। যাতে তারা নিজেদের স্বপ্নের কথা লিখে রাখতে পারে। প্রতি ক্লাসে প্রতিটি শিক্ষার্থীর জন্য রয়েছে ড্রিম কার্ড। এসব ড্রিম কার্ডেও শিক্ষার্থীরা তাদের নিজেদের স্বপ্নের কথা লিখে রাখে।
সহশিক্ষা কার্যক্রম
প্রতি বছরের ১৬ ডিসেম্বর স্কুলটিতে ড্রিম ডে পালন করা হয়। বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দিনটি পালন করা হয়। আর প্রতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত হয় স্পোর্টস ফেস্টিভ্যাল। এই স্পোর্টস ফেস্টিভ্যাল বাংলাদেশে সম্পূর্ণ ভিন্ন একটি ফেস্টিভ্যাল। সব শিক্ষার্থীদের ছয়টি দলে ভাগ করা হয়। খেলা হয় দলগতভাবে। একটি দলকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।
প্রতি বছরের অক্টোবরে স্কুলে অনুষ্ঠিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে স্কুলের বিভিন্ন শ্রেণির শিক্ষার্থীদের দিয়ে কয়েকটি ক্লাব বানানো হয়। ক্লাবগুলো তাদের বিভিন্ন কার্যক্রম এই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তুলে ধরে। এছাড়া শীতকালে অনুষ্ঠিত হয় পিঠা উৎসব।
বিদ্যালয়ে রয়েছে সমৃদ্ধ একটি সাইন্স ক্লাব। এই ক্লাবে বিশ্বের নতুন নতুন উদ্ভাবন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আসা দর্শকদের সামনে তুলে ধরা হয়। এসব কাজ শিক্ষার্থীরা নিজেরাই করে থাকেন। স্কুলের মাঠে শিক্ষার্থীদের অংশ গ্রহণে স্টেজ পার্ফমেন্স অনুষ্ঠিত হয় । এদিন বহিরাগত দর্শনার্থীদের জন্য স্কুলটি উন্মুক্ত রাখা হয়। অন্য রকম মিলন মেলায় পরিণত হয় দিনটিতে।
বিনা খরচে পড়ালেখা
সম্পূর্ণ বিনা বেতনে এ বিদ্যালয়টিতে পড়ালেখা করে দরিদ্র শিক্ষার্থীরা। সেই সঙ্গে স্কুল ড্রেস, বই, খাতা-কলমও স্কুল থেকেই দেওয়া হয়। শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতিদিন দুপুরের খাবারও সরবহার করা হয় স্কুলের পক্ষ থেকে। স্কুলের নিয়মিত পরীক্ষার ফি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নেওয়া হয়। এমনকি বোর্ড পরীক্ষার ফিও স্কুলের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়।
দারিদ্র্যের কষাঘাতে যেসব ছেলে-মেয়ে কখনো লেখা পড়া করার স্বপ্নও দেখতে পারতো না তাদের মাঝে এই স্কুলের কল্যানে এখন শিক্ষার আলো বিরাজ করছে। কেউ কেউ স্বপ্ন দেখছেন বড় বিজ্ঞানী হওয়ার, কেউ সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার, কেউবা আবার নিজেকে দেশের সেবায় নিয়োজিত করার স্বপ্ন দেখছেন। কেউ স্বপ্ন দেখছেন দেশের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে কাজ করার। এমনই একজন শিক্ষার্থী রাবেয়া খাতুন।
রাবেয়া এই স্কুলের অষ্টম শ্রেণিতে পড়ছে। ছোট বেলায়ই বাবাকে হারায় রাবেয়া। অভাবের সংসারে রাবেয়ার পড়ালেখার কথা চিন্তাই করতে পারত না তার মা। রাবেয়া খাতুন জানান, এই স্কুলে না পড়লে কোনো দিন আমার লেখাপড়াই করা হতো না। কারণ ছোট বেলায় আমার বাবা মারা গেছে। স্কুলের বেতন, পরীক্ষার ফি, স্কুল ড্রেস কেনার মতো সামর্থ্য আমার মায়ের নেই। সম্পূর্ণ বিনা বেতনে ও পড়ালেখার অন্য খরচ কেবল এই স্কুলই আমাকে দিয়েছে।
শুধু রাবেয়ার পড়াশুনার খরচই নয়, তার পরিবারের খরচ চলানোর মতো একটি অবলম্বনও করে দিয়েছে এই স্কুলটি। পরিবারের খরচ মেটানোর জন্য রাবেয়ার মাকে একটি সেলাই মেশিনও কিনে দেওয়া হয়েছে স্কুলের পক্ষ থেকে। রাবেয়া জানায়, আমার মা সেলায়ের কাজ করে কোনো রকমে সংসার চালাচ্ছেন। বড় হয়ে একজন আদর্শ শিক্ষক হতে চায় রাবেয়া। শুধু শিক্ষক হওয়াই নয়, বাংলাদেশে এমন বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করাও তার স্বপ্ন। রাবেয়ার ভাষ্য, ‘যাতে অসহায় ছেলে মেয়েরা শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত না হয় সে জন্য আমি নারায়ণ স্কুল ড্রিম স্কুলের মতো একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করতে চাই।’
প্রধান শিক্ষক যা বললেন
অসহায় এসব ছেলে-মেয়েরা শিক্ষার আলো পাচ্ছে এতেই খুশি স্কুলটির পরিচালনায় নিয়োজিত জাপানি শিক্ষকরা। স্কুলের প্রধান শিক্ষক কাতসুসি ফুরুসাওয়া। স্কুলটিকে শিক্ষার মডেল হিসেবে তৈরি করার জন্য কাজ করছেন তিনি। কাতসুসি বলেন, নারায়ণকুল ড্রিম মডেল হাই স্কুলকে স্বপ্নের স্কুল হিসেবে গড়ে তোলার জন্য মোট ৬৮ জন শিক্ষক নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। প্রতি বছর তিন জন শিক্ষককে জাপান থেকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। জাপান থেকে ও ঢাকাস্থ জাপান দূতাবাস থেকে প্রতিবছর স্কুলটি পরিদর্শন করা হয়।
তিনি আরও বলেন, আমরা পৃথিবীর সুবিধা বঞ্চিত ছেলে-মেয়েদের শিক্ষার জন্য সাহায্য করে থাকি। বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা দেখে আমাদের মনে হয়েছে এটি আসলে প্রকৃত শিক্ষা ব্যবস্থা নয়। শিক্ষার্থীদেরকে স্কুলে না পড়িয়ে কোচিংয়ে পড়ানো হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়ানোর কালচার এদেশে খুব বেশি।
জাপান বাংলাদেশের বন্ধু রাষ্ট্র-উল্লেখ্য করে তিনি আরও বলেন, এদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন ও গরীব ছেলে-মেয়েদের সাহায্য করার জন্যই আমরা গাজীপুরে নারায়ণকুল ড্রিম মডেল হাই স্কুল প্রতিষ্ঠা করি। আমাদের উদ্দেশ্য উপযুক্ত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ শিক্ষক ও শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলা যাতে স্বপ্নের শিক্ষা এদেশের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে।
ভর্তি প্রক্রিয়া
বাংলা মাধ্যমে ৬ষ্ঠ শ্রেণী থেকে ভর্তির কার্য ক্রম শুরু হয়। ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থী বাছাই করা হয়। বাংলা, ইংরেজি, গণিত বিষয়ে মোট ১০০ নম্বরের ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হয়। এদের মধ্যে শতকরা ৬০ ভাগ শিক্ষার্থি দরিদ্র পরিবার থেকে নেওয়া হয়। ৪০ ভাগ নেওয়া মেধা কোটায়। ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণী পর্যয়ন্ত প্রতি ক্লাসে ১২৯ জন করে শিক্ষার্থী। প্রতি ক্লাসে তিনটি সেকশন। বর্তমানে ৬৮৭ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। এদের কারো কোনো বেতন বা ফি দিতে হয় না। বই-খাতা, স্কুলড্রেস, ডায়েরি, দুপুরের খাবার সব স্কুল থেকে দেওয়া হয়।
প্লে থেকে ৫ম শ্রেণী পর্যরন্ত ইংরেজি মাধ্যম। এই মাধ্যমেও ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থী বাছাই করা হয়। তবে প্লে, নার্সারী ও ক্লাস ওয়ানের শিক্ষার্থী বাছাইয়ে তাদের বাবা-মায়ের সাক্ষাৎকার নিয়ে। অন্যদের ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থী বাছাই করা হয়। প্রতি ক্লাসে ৩০ জন করে শিক্ষার্থী। তবে এ বছর ৬ষ্ঠ শ্রেণীতেও শিক্ষার্থী নেওয়া হবে। ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষার্থীদের শিক্ষাব্যয় তাদের বাবা-মায়ের বহন করতে হয়।
//এআর