সুরের সন্ধানে শিশু বয়সে বাড়ি ছাড়েন ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১১:১০, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২২
সুরের সন্ধানে দশ বছর বয়সে বাড়ি থেকে পালিয়ে যোগ দেন যাত্রাদলে। কালের পরিক্রমায় হয়ে ওঠেন সেতার, সানাই এবং রাগসঙ্গীতের বিখ্যাত মাইহার ঘরানার গুরু। বিশ্বজুড়ে পরিচিতি পান সুরসম্রাট ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ নামে। আজ মঙ্গলবার তার ৫০তম মৃত্যুবার্ষিকী।
সঙ্গীতসাধক ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ, মূলত সরোদই তার শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের বাহন হলেও, সাক্সোফোন, বেহালা, ট্রাম্পেটসহ অনেক বাদ্যযন্ত্রে তার দক্ষতা ছিল অপরিসীম। ১৯৩৫ সালে ইংল্যান্ডের রাণী সুরসম্রাট খেতাব এবং ব্রিটিশ সরকার খাঁ উপাধিতে ভূষিত করেন তাকে।
যাত্রাদলের সঙ্গে ঘুরতে ঘুরতে শিখে নেন জারি, সারি, বাউল, ভাটিয়ালি, কীর্তন, পাঁচালি গান। নামজাদা সঙ্গীতসাধকদের তালিমে হয়ে ওঠেন উজ্জ্বল নক্ষত্র। ছিলেন পণ্ডিত রবিশঙ্কর, পণ্ডিত নিখিল বন্দ্যোপাধ্যায়, বসন্ত রায়, পান্নালাল ঘোষসহ সঙ্গীত দিকপালদের গুরুও।
এ সঙ্গীতসাধকের জন্মভূমি দেখতে আসেন দর্শনার্থীরা। তার নিজ হাতে গড়া মসজিদ ছাড়াও এখানে এলাকাবাসী গড়ে তুলেছেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তবে বেদখল হয়ে যাচ্ছে পৈতৃকভিটাসহ বিপুল সম্পদ।
এলাকাবাসীরা জানান, নিজস্ব সম্পত্তি আছে, সেই সম্পত্তিগুলো বিভিন্ন মানুষের হাতে বেদখল অবস্থায় আছে।”
এলাকাটি ঘিরে সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্স নির্মাণের পরিকল্পনাও বাস্তবায়িত হয়নি।
সুরসম্রাট ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ সঙ্গীতাঙ্গনের সাধারণ সম্পাদক মনজুরুল আলম বলেন, “সেই সঙ্গিতাজ্ঞের স্মৃতি রক্ষার জন্যে সরকারিভাবে কোনো রকমের পৃষ্ঠপোষকতা আজ অবধি পর্যন্ত পাইনি।”
বেহাত সম্পত্তি উদ্ধারসহ স্মৃতি সংরক্ষণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস প্রশাসনের।
নবীনগর নির্বাহী কর্মকর্তা একরামুল সিদ্দিক বলেন, “ভূমিগুলো নিয়ে অনেক মামলা-মোকদ্দমা আছে। আদালতে চলমান মামলার বিষয়ে আমরা হস্তক্ষেপ করতে পারিনা।”
আলাউদ্দিন খাঁর সম্পদ ও স্মৃতিচিহ্নের রক্ষণাবেক্ষণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ চান এলাকাবাসী।
এএইচ