ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪

সুস্থ, স্বাভাবিক জীবনের জন্য দরকার সুস্থ হৃদযন্ত্র

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:১০, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০

বাংলাদেশে প্রতিবছর দুই লাখ ৭৭ হাজার মানুষ হৃদরোগে মারা যান, যার ৪ দশমিক ৪১ শতাংশের জন্য দায়ী ট্রান্সফ্যাট। যেসব কারণে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে তার মধ্যে ট্রান্সফ্যাট অন্যতম।

ট্রান্সফ্যাটজনিত হৃদরোগে মৃত্যুর সর্বাধিক ঝুঁকিপূর্ণ ১৫টি দেশের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ। বিশ্বে ট্রান্সফ্যাটের কারণে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান প্রায় আড়াই লাখ মানুষ।

কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ বা হৃদরোগ পৃথিবীব্যাপী মৃত্যুর একক কারণ হিসেবে শীর্ষে। ট্রান্সফ্যাটের প্রধান উৎস পারশিয়ালি হাইড্রোজেনেটেড অয়েল (পিএইচও) যা বাংলাদেশে ডালডা বা বনস্পতি ঘি নামে পরিচিত।

দেশের ৯৭ ভাগ মানুষ কোনো না কোনোভাবে হৃদরোগ ঝুঁকিতে রয়েছে। হৃদরোগে মৃত্যুর কারণ ৯টি রিসক ফ্যাক্টর। যদিও ধুমপান, অ্যালকোহল, খাদ্যে ট্রান্সফাট গ্রহণের মতো রিসক ফ্যাক্টরগুলো প্রতিরোধযোগ্য।

এ বিষয়ে অধ্যাপক ডক্টর মোহাম্মদ আব্দুল আলিম বলেন, ‘আমাদের শরীরের যতগুলো অর্গ্যান রয়েছে তার মধ্যে হার্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যতক্ষণ আমাদের হৃদয় সচল ততক্ষণ আমরা বেঁচে থাকি। খাদ্যের সঙ্গে হৃদয়ের সম্পর্কটা নিবিড়। আমাদের হার্ট ডিজিজের জন্য ট্রান্স ফ্যাট একটা বড় ফ্যাক্টর। শরীরের জন্য খুব ক্ষতিকর এটি।’

ডা. আব্দুল আলিম বলেন, ‘সুস্থ, স্বাভাবিক ও আনন্দপূর্ণ জীবনের জন্য দরকার একটি সুস্থ হৃদযন্ত্র। কিন্তু এ যন্ত্রটিকে সুস্থ রাখাটাই একটা বড় চ্যালেঞ্জ। আধুনিক বিশ্বে জীবনযাত্রার নানামুখী পরিবর্তন, কাজের পরিবেশ সব কিছুই যেন প্রতিনিয়ত হৃদযন্ত্রকে প্রতিকূলতার মধ্যে ঠেলে দিচ্ছে। তাই সুশৃঙ্খল জীবনযাপনের কোনো বিকল্প নেই।’

একইভাবে ডা. সৈয়দ মাহফুজুল হক বলেন, ‘আমাদের কার্ডিওভাস কুলার ডিজিজ প্রিভেন্ট করতে হলে মূলত দুটি বিষয় লক্ষ রাখতে হবে। একটা হল মানুষ নিজেই কিন্তু তার খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনযাপন প্রণালী পরিবর্তনের মাধ্যমে সুস্থ থাকতে পারে। বিহেভিয়ার, ডায়েট, টোব্যাকো এগুলো মানুষ নিজে নিজেই পরিবর্তন করতে পারে। এজন্য হাসপাতাল বা চিকিৎসকের প্রয়োজন নেই। তারপরও কিছু রিস্ক ফ্যাক্টর থাকে যেমন হাইপারটেনশন, ডায়াবেটিস সেটার জন্য তাকে হাসপাতালে বা চিকিৎসকের কাছে যেতে হয়। তবে আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করলে রিস্ক ফ্যাক্টরগুলো অ্যাড্রেস করা সম্ভব।’

ডা. মনজুর শওকত বলেন, ‘বাংলাদেশে যেসব ফুডস আছে সেগুলোর ক্যালরি লেবেলটা দেখতে হবে। এ বিষয়ে সচেতন হতে পারলে রোগ প্রতিরোধে বড় কাজ হবে বলে আমি মনে করি। দেশে জেনেটিক্স নিয়ে কোনো কাজ হয়নি। হার্টের জিনোম সিকোয়েন্স নিয়ে কাজ হয়নি। এসব নিয়ে ভাবতে হবে।’

অধ্যাপক ডা. মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের হেলদি বিহেভিয়ারের বিয়টি খুব গুরুত্ব দিয়ে ভাবতে হবে। আমাদের রিস্ক ফ্যাক্টরগুলো দমন করতে হব। তাহলে হয়তো রোগ হবে না। আর হয়ে গেলে যেনো ভালো চিকিৎসা করতে পারি সে বিষয়ে লক্ষ রাখতে হবে।’

এসএ/
 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি