সুস্বাদু গুড় তৈরিতে ব্যস্ত চলনবিলের গাছীরা (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১২:১৩, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩
খেজুরের গুড় তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন সিরাজগঞ্জের চলনবিল এলাকার গাছীরা। সুর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে গাছ থেকে রস নামিয়ে চুলায় জাল দিয়ে তৈরি করছেন সুস্বাদু খেজুর গুড়। গাছীরা বলছেন, গুণগত মান ও স্বাদে অনন্য হওয়ায় এই অঞ্চলের তৈরি খেজুর গুড়ের চাহিদা আছে দেশজুড়ে।
সিরাজগঞ্জের চলনবিল এলাকার তাড়াশ ও রায়গঞ্জে খেজুর রস জাল দিয়ে তৈরি হচ্ছে গুড়।
এর আগে রাস্তা ও পুকুর পাড়ের সারি-সারি খেজুর গাছ থেকে সংগ্রহ করা হয় রস। এসব গাছ লিজ নিয়ে রাজশাহী, চাপাইনবাবগঞ্জের গাছীরা উৎপাদন করছেন সুস্বাদু ও হরেক রকমের গুড়।
৫-৬ সদস্যের গাছীদল দিনে প্রায় দুই থেকে আড়াই মণ গুড় উৎপাদন করে। তারা জানান, মানে ভাল হওয়ায় স্থানীয়দের পাশাপাশি বিভিন্ন এলাকার পাইকাররা এখান থেকে গুড় কিনে নেন।
গাছীরা জানান, ফজরের আজানের পর থেকে আমরা রস সংগ্রহে নেমে পড়ি। কোনো গাছে ৪ থেকে ৫ কেজি রস পাওয়া যায়। পরে জাল দিয়ে গুড় বানানো হয়। বিভিন্ন এলাকা থেকে পাইকাররা এসে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা ধরে গুড় নিয়ে যায়।
খেজুরের গুড় দিয়ে তৈরি পিঠা-পায়েস সুস্বাদু হওয়ায় চলমান নবান্ন উৎসবে বেড়েছে গুড়ের চাহিদা। গুড়ের উৎপাদন বাড়াতে সব রাস্তার ধারে খেজুর গাছ লাগানোর দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
তারা জানান, এই গুড় অনেক সুস্বাদু। সরকারভাবেই যদি চারা রোপণ করা হয় তাহলে গুড়ের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।
এদিকে, গুড়ের উৎপাদন বৃদ্ধির স্বার্থে অধিকহারে খেজুর গাছ রোপণে স্থানীয়দের উদ্বুদ্ধ করছে কৃষি বিভাগ। পাশাপশি ছোট গাছ থেকে রস সংগ্রহ না করার পরামর্শ কর্মকর্তাদের।
সিরাজগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপ-পরিচালক বাবলু কুমার সুত্রধর বলেন, “রাস্তার উভয় পাশে যেন বেশি বেশি খেজুর গাছ লাগানো হয় এই পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।”
খেজুর রস, গুড় আবহমান বাংলার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির অংশ। রয়েছে এর অর্থনৈতিক গুরুত্বও।
এএইচ
আরও পড়ুন