সেট টপ বক্স: কেনো কিনবেন? কোথায় পাবেন? (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১৪:৪৬, ২৬ নভেম্বর ২০২১ | আপডেট: ১৯:০০, ২৬ নভেম্বর ২০২১
৩০শে নভেম্বরের মধ্যে ঢাকা এবং চট্টগ্রামে এবং ৩১শে ডিসেম্বরের মধ্যে সারাদেশে কেবল গ্রাহকদের টিভির সঙ্গে সেট টপ বক্স লাগাতে হবে। এমনটাই নির্দেশ রয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। তবে বেশিরভাগ গ্রাহকই পরিচিত নন সেট টপ বক্স সম্পর্কে।
সেট-টপ বক্স কী?
সেট-টপ বক্স হলো এমন এক রিসিভার যা কেবল টিভির গ্রাহক প্রান্তে থাকে। এই রিসিভার অ্যানালগ সিগন্যালকে ডিজিটাল সিগন্যালে রূপান্তর করে। এতে গ্রাহক ঝকঝকে ছবি ও ভালো মানের শব্দ উপভোগ করতে পারেন।
সেট টপ বক্স কেনো প্রয়োজন?
সরকার এবং কেবল অপারেটর প্রতিনিধিরা বলছেন সেট টপ বক্সের সুবিধা গ্রাহক অর্থাৎ দর্শক, সরকার এবং কেবল অপারেটর সবাই পাবেন।
গ্রাহকদের সুবিধা:
১.গ্রাহকরা এইচডি (হাই ডেফিনিশন) কোয়ালিটির পরিচ্ছন্ন অনুষ্ঠান দেখতে পাবেন।
২. বিদেশি চ্যানেলের ক্লিন ফিড বা বিজ্ঞাপন ছাড়া অনুষ্ঠান দেখতে পাবেন।
৩.পছন্দ মত অনুষ্ঠান এবং চ্যানেলের তালিকা তৈরি করা হবে, যাতে করে দর্শক তার পছন্দের অনুষ্ঠান বা চ্যানেল সহজেই দেখতে পাবেন।
সরকারের সুবিধা:
সেট টপ বক্স সংযুক্ত করার ফলে সরকার কেবল অপারেটরদের কাছ থেকে রাজস্ব আদায় করতে পারবে।
সেটা টাকার অংকে প্রতিমাসে প্রায় দেড় কোটি টাকা।
কেবল অপারেটরদের সুবিধা:
যারা পাড়া-মহল্লায় বিভিন্ন বাসা বাড়িতে কেবল সংযোগ দেন, সেসব অপারেটরদের কাছ থেকে কোয়াব একটা তালিকা পাবে।
অনেকে আছেন যারা ২০টা বাসায় কেবল সংযোগ দেন কিন্তু বলেন ১০টা বাসা। এ ক্ষেত্রে সেটা তারা করতে পারবে না। কারণ সেট টপ বক্স নিলে অ্যানালগ থেকে ডিজিটাল হবে প্রক্রিয়াটি।
কোথা থেকে সেট টপ বক্স কিনতে হবে?
একজন গ্রাহক যেখান থেকে কেবল কানেকশন নিয়েছেন তাদের কাছ থেকেই সেট টপ বক্স কিনতে হবে। ঐ প্রতিষ্ঠান আবার কেবল অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ‘কোয়াব’ এর কাছ থেকে এই সেট টপ বক্স কিনবে। এর বাইরে কোন জায়গা থেকে এটি কেনা যাবে না।
৯৫ শতাংশ সেট টপ বক্স চীন থেকে আমদানি করা হয়। বাংলাদেশে কোন সেট টপ বক্স প্রস্তুত করা হয় না।
সেট টপ বক্সের দাম সর্বনিম্ন ১৬শ টাকা থেকে সর্বোচ্চ সাড়ে তিন হাজার টাকা পর্যন্ত।
দেশে কেবল গ্রাহকের সংখ্যা কত তার কোন হিসেব নেই। তবে আনুমানিক দেড় কোটি গ্রাহক আছেন। তাহলে এই দেড় কোটি সেট টপ বক্স আমদানি করতে প্রায় তিন কোটি টাকা এবং ১২০ দিনের মত সময় লাগবে বলে জানিয়েছে কোয়াব।
সূত্র: বিবিসি বাংলা অনলাইন
এসবি
আরও পড়ুন