সেন্টমার্টিন নিয়ে ডিক্যাপ্রিওর অভিনন্দন
প্রকাশিত : ১০:২৪, ২২ জানুয়ারি ২০২২ | আপডেট: ১১:৩২, ২২ জানুয়ারি ২০২২
বাংলাদেশের প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনকে ‘সামুদ্রিক সুরক্ষিত অঞ্চল’ বা ‘মেরিন প্রটেক্টেড এরিয়া’ হিসেবে ঘোষণা করেছে সরকার। আর এ জন্য বাংলাদেশ সরকার, স্থানীয় জনগণ এবং সংশ্লিষ্ট এনজিওদের অভিনন্দন জানিয়েছেন হলিউড তারকা লিওনার্দো ডি ক্যাপ্রিও।
এক টুইট বার্তায় অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, “এই উদ্যোগ বিস্ময়কর জীববৈচিত্র্যকে সুরক্ষা দেবে এবং বাংলাদেশের একমাত্র প্রবালপ্রাচীরকে দেবে আবাসভূমি।”
সেন্টমার্টিনের একটি দৃষ্টিনন্দন ছবিও টুইটে শেয়ার করেছেন ডিক্যাপ্রিও। ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশন সোসাইটির সৌজন্যে এটি পাওয়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
ভবিষ্যৎ পৃথিবীর কথা চিন্তা করে, ১৯৯৮ সালে, অস্কার বিজয়ী অভিনেতা, ‘লিওনার্দো ডি ক্যাপ্রিও ফাউন্ডেশন’ প্রতিষ্ঠা করেন। জলবায়ু পরিবর্তন, জীববৈচিত্র্যকে রক্ষা, সমুদ্র সংরক্ষণসহ নানা বিষয়ে সচেতনতা তৈরিতে তিনি সক্রিয় ভূমিকা রেখে আসছেন। এছাড়া, তিনি তার ওয়েবসাইট ও সামাজিক মাধ্যমগুলোও নিয়মিত ব্যবহার করেন পরিবেশ নিয়ে সচেতনতা তৈরিতে।
সেন্টমার্টিন সংলগ্ন প্রবাল প্রতিবেশের সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য রক্ষার উদ্যোগ হিসেবে বাংলাদেশ সরকার একে ৪ জানুয়ারি ‘সামুদ্রিক সুরক্ষিত অঞ্চল’ বা ‘মেরিন প্রটেক্টেড এরিয়া’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে ১৯৯৯ সালে এ দ্বীপকে ইকোলজিক্যালি ক্রিটিকাল এরিয়া বা প্রতিবেশগতভাবে সংকটাপূর্ণ এলাকা ঘোষণা করা হয়েছিল।
নতুন ঘোষিত সংরক্ষিত এলাকার সুবাদে বিপন্ন গোলাপি ডলফিন, হাঙর, রে মাছ, সামুদ্রিক কচ্ছপ, সামুদ্রিক পাখি, প্রবাল, সামুদ্রিক ঘাস এবং সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য ও এগুলোর আবাসস্থল সংরক্ষণে সহায়ক হবে। এছাড়া সামুদ্রিক সম্পদ টেকসই হওয়ার মাধ্যমে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রার মান বাড়বে, জাতীয় সমুদ্র অর্থনীতি সমৃদ্ধ হবে এবং বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতা ও লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা যাবে।
সামুদ্রিক সংরক্ষিত এলাকা ঘোষণার ফলে দ্বীপের চারপাশে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সহায়তায় আইনের যথাযথ প্রয়োগ এবং সামুদ্রিক সম্পদের সঠিক ব্যবস্থাপনা সহজতর হবে। একই সঙ্গে সংরক্ষিত এলাকার বাইরে সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদের প্রাচুর্য ও জলজ প্রাণীর অস্তিত্ব বৃদ্ধির সম্ভাবনা বহু গুণ বেড়ে যাবে বলে মনে করছেন পরিবেশবিদরা।
এসএ/