সেবাদানের ক্ষেত্রে রক্তদাতারা উজ্জ্বল নক্ষত্র
প্রকাশিত : ২১:২৮, ১৫ এপ্রিল ২০২৫

স্বেচ্ছা রক্তদানের মাধ্যমে কেবল অন্যের উপকারই হয় না, রক্তদাতার নিজেরও শারীরিক ও আত্মিক পরিশুদ্ধতা লাভ হয়। সেবাদানের ক্ষেত্রে স্বেচ্ছা রক্তদাতারা হচ্ছেন উজ্জ্বল নক্ষত্র।
সম্প্রতি রাজধানীর কাকরাইলস্থ ইনস্টিটিউট অফ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইডিইবি) মিলনায়তনে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন আয়োজিত স্বেচ্ছা রক্তদাতা সম্মাননা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন আহ্ছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আশরাফুল হক।
অনুষ্ঠানে কমপক্ষে ৩ বার রক্তদান করে লাইফ লং, ১০ বারের দানে সিলভার, ২৫ বারে গোল্ডেন এবং ৫০ বার রক্তদান করে প্লাটিনাম ক্লাবের সদস্য হয়েছেন- এমন তিন শতাধিক স্বেচ্ছা রক্তদাতাকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। স্বেচ্ছা রক্তদাতাদের উদ্বুদ্ধ করতে প্রধান অতিথি এসময় তাদের হাতে সম্মাননা সনদ, ক্রেস্ট ও মেডেল তুলে দেন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা জানান, দেশে স্বেচ্ছা রক্তদাতার সংখ্যা প্রায় ৩০-৩৫ শতাংশ। বাকি ৬০-৭০ শতাংশ রক্তদাতা আত্মীয়-পরিজন। স্বেচ্ছা রক্তদাতার সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।
কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন স্বেচ্ছা রক্তদান কার্যক্রমের পরিচালক মোটিভেশন এম রেজাউল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্বেচ্ছা রক্তদান কার্যক্রমের কো-অর্ডিনেটর ডা. মনিরুজ্জামান।
প্রসঙ্গত, কোয়ান্টামের নিয়মিত-অনিয়মিত স্বেচ্ছা রক্তদাতার বর্তমান সংখ্যা ৫ লাখেরও বেশি। দুই যুগে প্রায় ১৭ লক্ষ ইউনিট রক্ত ও রক্ত উপাদান দিয়ে সেবা দিতে পেরেছে কোয়ান্টাম। এর মধ্যে শুরু থেকে এ বছর মার্চ পর্যন্ত প্রায় ৪ লাখ থ্যালাসেমিয়া রোগীদেরকে রক্ত সরবরাহ করা হয়েছে।
আআ/