সৌদি আরবের অবরোধে মরছে শত শত উট
প্রকাশিত : ১৮:০১, ১২ জুলাই ২০১৭ | আপডেট: ১৯:৫০, ১২ জুলাই ২০১৭
সৌদি আরবের অবরোধের কারণে কাতারের শত শত উট অবলিলায় মারা যাচ্ছে। কাতারের কৃষকদের সৌদি ভূখণ্ড থেকে বহিষ্কারের কারণে পানির অভাবে মারা যাচ্ছে মরুভূমির জাহাজ খ্যাত এসব প্রাণি।
সম্প্রতি কাতারের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কাজে সহায়তার অভিযোগে সৌদি আরবের নেতৃত্বে অবরোধ আরোপ করে ছয়টি দেশ। আর সৌদি আরবের সঙ্গে স্থল সীমানা থাকায় এবং কাতারে স্থান সংকুলান না হওয়ায় কৃষকেরা উটগুলো সৌদি ভূখণ্ডে পালন করত। কিন্তু অবরোধ আরোপের পর সৌদি আরব কাতারের কৃষকদের সরে যেতে বলে। এই টানাপোড়েনের মধ্যে পড়ে পানির অভাবে মারা যাচ্ছে অবলা এই প্রাণিগুলো।
সম্প্রতি দুই দেশের সীমান্তে মৃত অবস্থায় অনেক উটকে পড়ে থাকতে দেখা যায়। অবরোধ শুরু হওয়ার পর সৌদি সীমান্ত থেকে উটগুলো ফিরিয়ে নিয়ে আসতেও কাতারের কৃষকদের বেশ ঝামেলায় পড়তে হয়।
খুব অল্প সময়ের নোটিশে সৌদি ছাড়ার নির্দেশনা আসলে উট নিয়ে কাতারের কৃষকরা বেশ বিপাকে পড়েন। নিজেদের উট চিহ্নিত করতে বেশ কষ্ট পোহাতে হয়। আর অল্প সময়ের মধ্যে বিশাল সংখ্যক উট নিরাপদ জায়গায় নিয়ে আসা যায়নি।
প্রতিদিন মাত্র কয়েকশ’ উটকে সীমান্ত পার হতে দেওয়া হতো। বেশিরভাগ উটকেই এমন একটি জায়গায় জড়ো করা হয়েছিল যেখানে তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রির উপরে।
কাতারের উপর অবরোধ আরোপ করা হলে সৌদি আরব থেকে কাতারি কৃষকদের কিছু অংশ প্রথম দিকেই ফিরে আসে। কিন্তু বেশিরভাগ কৃষকই দুই সপ্তাহেও ফিরতে পারেননি।
কাতারের আবু সামরার এলাকার হুসেইন এল মারি নামে একজন উট মালিক বলেন, ‘আমি সৌদি আরব থেকে ফিরেছি। দেখেছি রাস্তার পাশে একশ’রও বেশি মৃত উট। এছাড়া রয়েছে মালিকবিহীন শত শত উট ও ভেড়া।’
বিভিন্ন প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, কাতার অবরোধের ফলে ১২ হাজার থেকে ২৫ হাজার প্রাণির উপর প্রভাব পড়েছে। অনেক প্রাণি হারিয়ে গেছে। খাবার ও পানির অভাবে কয়েকশ’ মারা গেছে।
সৌদি আরবের সঙ্গে প্রায় ৪৪০০ কিলোমিটার সীমান্তে উট ও ভেড়াকে ঘাস খাওয়ানোর জন্য প্রতিবেশী দেশটির ভূখণ্ডও ব্যবহার করতেন কাতারের কৃষকরা।
কিন্তু সন্ত্রাসবাদের সমর্থন দেয়ার কথিত অভিযোগ এনে গত ৫ জুন কাতারের ওপর সর্বাত্মক অবরোধ আরোপ করে সৌদি জোট। বন্ধ করে দেয়া হয় সীমান্ত। এর প্রভাব পড়ে উট ও ভেড়ার মতো নিরীহ প্রাণীর উপরও। সূত্র : আল-জাজিরা।
ডব্লিউএন
আরও পড়ুন