সৌদি জোটের শর্ত মানা অসম্ভব : কাতার
প্রকাশিত : ১৫:২০, ৫ জুলাই ২০১৭ | আপডেট: ১৬:০৪, ৫ জুলাই ২০১৭
সম্পর্ক পুন:স্থাপনে কাতারকে দেওয়া সৌদি আরবসহ ছয় দেশের ১৩ শর্ত মানা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুল রহমান আল থানি। মঙ্গলবার দোহায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, সৌদি জোটের দেওয়া শর্তগুলো খুবই অবাস্তব ও মানা অসম্ভব।
কাতার জঙ্গি কার্যক্রমে ইন্ধন দিচ্ছে এবং কতিপয় ইসলামী জঙ্গিকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছে এমন অভিযোগ এনে গত ৫ জুন বাহরাইন, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিশর, লিবিয়া ও ইয়েমেন কাতারের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করে। একইসঙ্গে জল, স্থল ও আকাশপথে কঠোর অবরোধ আরোপ করে।
সৌদি জোটের অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন’ উল্লেখ করে তা নাকচ করে দেয় দোহা। কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার দুই সপ্তাহ পর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য আল জাজিরা বন্ধ করে দেওয়াসহ কাতারকে ১৩ দফা শর্ত বেঁধে দেয় সৌদি জোট। শর্ত পূরণে ১০ দিনের সময়সীমা দেওয়া হয়। সে সময়সীমা শেষ হওয়ার পর ২ জুলাই রবিবার সেই সময়সীমা দুই দিন বাড়ানোর কথা জানায় সৌদি সূত্র।
মঙ্গলবার শেষ হয় সেই বর্ধিত দুই দিন। কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আল-থানি জানান, ‘এটা আসলে সন্ত্রাসবাদের বিষয় না। এটা বাকস্বাধীনতার উপর হস্তক্ষেপ।’ মধ্যস্থতাকারী দেশ কুয়েতকে জবাব দিয়েছেন শেখ মোহাম্মদ। তবে সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।
তিনি বলেন, এই শর্ত মানা সম্ভব না হলেও সংলাপের মাধ্যমে এই সংকট সমাধান করতে চায় কাতার। সংকটের শুরু থেকেই কাতার এর সমাধানের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
কুয়েতের আমির শেখ সাবাহ আল-আহমদ আল-জাবের আল-সাবাহ দোহার সঙ্গে সৌদি জোটের বিরোধ নিরসনে অন্যতম মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ভূমিকা পালন করছেন।
গত সোমবার ১৩ দফা শর্তের ব্যাপারে নিজেদের অবস্থান জানাতে কুয়েত যান কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। দেশটির আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানির লেখা চিঠিটি কুয়েতের আমিরের কাছে হস্তান্তর করেন তিনি। তবে কাতারের আমিরের পক্ষ থেকে উপস্থাপনকৃত চিঠিতে কী লেখা আছে তা এখনও জানানো হয়নি। সূত্র : আল-জাজিরা।
আরও পড়ুন