সৌদির সঙ্গে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ঈদ উদযাপন
প্রকাশিত : ১১:০৫, ১৬ জুন ২০২৪ | আপডেট: ১২:১১, ১৬ জুন ২০২৪
জাতীয়ভাবে বাংলাদেশে ঈদুল আজহা আগামীকাল সোমবার (১৭ জুন) নির্ধারিত হলেও দেশের কিছু জায়গায় আজ উদযাপিত হচ্ছে ঈদ। পৃথিবীর কোনো প্রান্তে চাঁদ দেখা গেলে তার সঙ্গে মিল রেখে তারা রোজা, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহাসহ ধর্মীয় আচার পালন করে থাকেন।
আজ রোববার সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে দেশের মুসলিম সম্প্রদায়ের একটি অংশ ঈদ জামাতে অংশ নিয়েছেন।
বরিশাল নগরীসহ জেলার প্রায় অর্ধশত মসজিদে চন্দনাইশ দরবারের অনুসারীরা আগাম ঈদ পালন করেছেন। রোববার সকালে জেলার প্রায় অর্ধশত মসজিদে জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ধর্মপ্রাণ মুসুল্লিরা পশু কোরবানি দেন।
নগরীর সাগরদীর তাজকাঠী মিয়াবাড়ী এলাকার জাহাগীরিয়া শাহ্সুফি মমতাজিয়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদের জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়। এতে মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়ার ইমামতিতে অনুষ্ঠিত নামাজে কয়েকশ মুসল্লি অংশ নেন। বরিশাল নগরীর ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব হরিনাফুলিয়ার চৌধুরীবাড়ি শাহসুফী মমতাজিয়া জামে মসজিদে সহস্রাধিক পরিবার ঈদের নামাজ আদায় করেছে।
বরিশাল নগরীর ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের তাজকাঠীর হাজী বাড়ীর জাহাগিরিয়া শাহসুফি মমতাজিয়া জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি আমীর হোসেন জানান, আশপাশের প্রায় ৫০০ পরিবার রোববার ঈদ পালন করছে। এছাড়া বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার খানপুরা, কেদারপুর, মাধবপাশাসহ ৫-৬টি গ্রামের সহস্রাধিক পরিবারে আগাম ঈদ উদযাপিত হচ্ছে।
জেলার মুলাদী, হিজলা, মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলায় এবং বরিশাল সদর উপজেলার চন্দ্রমোহন, পতাং, লাহারহাট গ্রামে আড়াই ২ হাজার অনুসারী রয়েছেন। আগাম ঈদ পালনকারীরা চট্টগ্রামের চন্দনাইশের জাহাগীরিয়া শাহ্সুফি মমতাজিয়া দরবার শরীফের অনুসারী। প্রায় ১০০ বছর ধরে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে আগাম ঈদ পালন করে আসছেন তারা।
এদিকে, পটুয়াখালীতে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে চানটুপির অনুসারী ২১ গ্রামের ২৫ হাজার মানুষ উদযাপন করছেন মুসলমানদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আযহা। রোববার সকাল সাতটায় কলাপাড়ার ধানখালী ইউনিয়নের উত্তর নিশানবাড়িয়া জাহাগিরিয়া শাহ্সূফি মমতাজিয়া দরবার শরীফ প্রাঙ্গনে ঈদুল আযহার প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
জেলার ২৫ গ্রামের মধ্যে রয়েছে গলাচিপার সেনের হাওলা, পশুরী বুনিয়া, নিজ হাওলা, কানকুনি পারা, মৌডুবি, বাউফলের মদনপুরা, রাজনগর, বগা, ধাউরাভাঙ্গা, সুরদি, চন্দ্রপাড়া, দ্বিপাশা, শাপলা খালী, কনকদিয়া, আমিরাবাদ, কলাপাড়ার নিশানবাড়িয়া, ইটবাড়ীয়া, শহরের নাঈয়া পট্টি, টিয়াখালী, তেগাছিয়া, দক্ষিন দেবপুর।
এরা সবাই হানাফি মাজহাবের কাদেরিয়া তরিকার অনুসারী। এদের বর্তমান পীর চট্রগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার হযরত শাহসুফি মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ মমতাজ আলী। ঈদ উপলক্ষে এসব গ্রামে সকাল থেকে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ।
মাদারীপুরে ঈদুল আযহা উদযাপন করেছেন ২৫ গ্রামের ৩০ হাজার মানুষ। জেলার সবচেয়ে বড় জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে সদর উপজেলার কালিকাপুর ইউনিনের তাল্লুক গ্রামের ১৬নং চরকালিকাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে। সেখানে রোববার সকাল ৯টায় ঈদের প্রধান জামাত পড়ান তাল্লুক গ্রামের মৌলভী বাড়ির মসজিদের ইমাম মাওলানা সিদ্দিকুর রহমান।
সদর উপজেলার চরকালিকাপুর, মহিষেরচর, পূর্ব পাঁচখোলা, জাজিরা, কাতলা বাহেরচর, তাল্লুক, চরগোবিন্দপুর, পখিরা, খোয়াজপুর, দৌলতপুর, কালিকাপুর, হোসনাবাদ, রঘুরামপুর, আংগুলকাটা, হাজামবাড়ি, বাহেরচর, কেরানীরবাট, রমজানপুর, কয়ারিয়া, রামারপুল, সাহেবরামপুর, আন্ডারচর, খাসেরহাটসহ জেলার ২৫টি গ্রামের মানুষ ঈদ উৎসব পালন করছেন।
প্রতিবারের মত এ বছরও মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ উদযাপন করছে চাঁদপুরের ৫০টি গ্রামের মানুষ। রোববার (১৬ জুন) সকালে পবিত্র ঈদুল আজহার জামাত আদায়ের মাধ্যমে এ উদযাপন করছেন।
এদিন সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে হাজীগঞ্জে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় সাদ্রা দরবার শরীফের পীরজাদা আরিফ চৌধুরী সাদ্রাভী নামাজ ও দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন।
এছাড়াও দিনাজপুর, মৌলভীবাজার, চট্টগ্রাম ও ঝিনাইদহের বেশ কয়েকটি স্থানে মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের একটি অংশের মুসল্লিরা ঈদের নামাজ আদায় করেছেন।
এএইচ
আরও পড়ুন