সৌন্দর্যের পরম আধার জলপ্রপাত ‘সহস্রধারা’
প্রকাশিত : ১২:৪৬, ৯ অক্টোবর ২০২১
সবুজের মাঝে স্নিগ্ধধারা। নিরুপাধি সৌন্দর্যের পরম আধার সীতাকুণ্ডের জলপ্রপাত। অতি মনোহর এ ঝর্ণার পরিচয় সহস্রধারা নামে। পাহাড়বেষ্টিত রূপসী এ ঝর্ণা বর্ষাকালে উছলে ওঠে এ ঝর্ণার রূপসুধা। বৃষ্টিবহুল শরতে এবার সহস্রধারা প্রকাশ করলো তার নিরুপাধি সৌন্দর্য।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড ইকোপার্ক, চিরসবুজের অনন্য এক বনাঞ্চল। খাড়া-ঋজু পাকা রাস্তা বেয়ে উৎরাই পথের শেষ নিভৃত পাহাড়ে। দু’পাশে নানান জাতের গাছগাছালি। সুনসান নিরব ভেঙে হেঁটে চলেন ভ্রমণপিয়াসির দল। মেঘের কোলে হেলান দিয়ে কথা বলেন বনপাহাড়ের সঙ্গে।
সহস্রধারা-১ এ পৌঁছাতে বাইতে হয় ৪শ’ ৮৩ সিঁড়ি। বন্ধুর পথশেষে ঝিরির দেখা পেতেই বুঝে যান অতি সন্নিকটে সহস্রধারা। সবুজে ঘেঁড়া পাহাড়ের অনেকটা উঁচু থেকে নেমেআসা স্বচ্ছ জলের সহস্রধারা। পানির নীচে সৃষ্টি হয়েছে প্রাকৃতিক লেক। প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে থেকে অসংখ্য পর্যটক আসেন এই সহস্রধারা সৌন্দর্য উপভোগ করতে।
দর্শনার্থীরা বলছেন, এ সৌন্দর্য বড়ই মনোরম। নিমিষেই দূর হয় শ্রান্তি, মনে আনে প্রশান্তি।
পর্যটকরা জানান, অনেক ভাল লেগেছে, মনে হয়েছে পৃথিবীর সব সৌন্দর্য আমি উপভোগ করে ফেলেছি। ঝর্ণার কাছাকাছি এসে যখন শুনলাম যে সিঁড়ি বেয়ে আমাদেরকে নীচে নামতে হবে তখন একটু ভয় পেয়েছিলাম। তবে কষ্ট করে আসার পর ঝর্ণা দেখে এখন খুব ভাল লাগতাছে।
আরেক দর্শনার্থী জানান, রাস্তাটা এবং সিঁড়িটা খুব ভালো করেছে। এ অবকাঠামোগুলো না হলে হয়তোবা আরও কষ্টসাধ্য হতো।
সহস্রধারা-১ ছাড়াও ইকোপার্কের ভেতরে আছে আরেকটি জলপ্রপাত- সুপ্তধারা। তিন প্রবাহের বুনো মুর্চ্ছনা সারাক্ষণ ডাক দেয় সহস্র সুরে।
ভিডিও-
এএইচ/
আরও পড়ুন