স্কুল কর্তৃপক্ষের বাড়তি ফি আদায়ে শিক্ষার্থীদের শাস্তি ভোগ
প্রকাশিত : ১৯:৪৩, ২০ এপ্রিল ২০১৭
স্কুল কর্তৃপক্ষের বাড়তি ফি আদায়ের শাস্তি ভোগ করতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। একাডেমিক স্বীকৃতি থাকবে কী থাকবে না- এ’নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছে চট্টগ্রামের ৬ স্কুলের প্রায় ১০ হাজার শিক্ষার্থী। ৬ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একাডেমিক স্বীকৃতি বাতিলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালত স্থগিতাদেশ দিলেও মামলা এখনো নিষ্পত্তি হয়নি। তবে, শিক্ষার্থীরা যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় এ ব্যাপারে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যান।
নীতিমালা উপেক্ষা করে অতিরিক্ত ভর্তি ফি আদায়ের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় গেল ৬ এপ্রিল চট্টগ্রামের ৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একাডেমিক সনদ বাতিল করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এছাড়া একাডেমিক স্বীকৃতি কেন বাতিল হবে না ব্যাখা চেয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে আরো ৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে।
একাডেমিক সনদ বাতিল হওয়া ৬ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান:
#মেরন সান স্কুল এন্ড কলেজ
#মেরিট বাংলাদেশ স্কুল এন্ড কলেজ
#চিটাগাং আইডিয়াল হাইস্কুল (জামাল খান)
# ন্যাশনাল ইংলিশ স্কুল
#বাংলাদেশ এলিমেন্টারি স্কুল
# মির্জা আহমেদ ইস্পাহানি উচ্চ বিদ্যালয়।
কারণ দর্শানো ৫ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান :
#চট্টগ্রাম ক্যান্টমেন্ট পাবলিক কলেজ
#বাংলাদেশ নৌ বাহিনী স্কুল এন্ড কলেজ
#বিএএফ শাহীন কলেজ
# চিটাগাং ক্যান্টনমেন্ট ইংলিশ স্কুল এন্ড কলেজ
#হালিশহর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ )
মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা স্থগিত করতে আদালতের শরনাপন্ন হয় স্কুলগুলো। তবে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যত নিয়ে উদ্বেগে রয়েছেন অভিভাবকরা।
চলতি বছরের শুরুতে বাড়তি ভর্তি ফি আদায়ের অভিযোগে নগরীর ৪৬ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অনিয়মের সত্যতা পাওয়া যায়। ৩৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বাড়তি ফি ফেরত দিলেও ১১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নানা অজুহাতে বিষয়টি এড়িয়ে যায়।
তবে অভিভাবকদের উদ্বিগ্ন না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যান বলেন, প্রয়োজনে শিক্ষার্থীদের অন্য স্কুলে ভর্তির ব্যাপারে সহায়তা করা হবে।
মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ শেষ হচ্ছে ৭ মে। ঐদিনই রিটের শুনানি হবার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন