স্কুলছাত্র শুভকে অপহরণের পর হত্যা, একজনের মৃত্যুদণ্ড
প্রকাশিত : ১৪:৪৪, ২১ আগস্ট ২০২৪
জয়পুরহাটের কালাই উপজেলায় দ্বিতীয় শ্রেণীর স্কুল ছাত্র শুভ (৭)কে অপহরণ করে হত্যা মামলায় রেজাউল করিম ফকির নামে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
আজ বুধবার ( ২১ আগস্ট ) বেলা সোয়া ১২টায় জয়পুরহাট অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মোঃ নুরুল ইসলাম এ রায় প্রদান করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত রেজাউল করিম ফকিরকে পুলিশ পাহারায় জয়পুরহাট জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (এপিপি) গকুল চন্দ্র মণ্ড৩ল জানান, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত রেজাউল করিম ফকির (৪৫) কালাই উপজেলার মুন্সিপাড়া গ্রামের সাত্তার ফকিরের ছেলে। সে এ মামলায় আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। আদালত আসামির মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত গলায় ফাঁসি দিয়ে ঝুলিয়ে রেখে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার নির্দেশনা প্রদান করেন।
আদালত ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ৩ মার্চ কালাই উপজেলার মুন্সিপাড়া গ্রামের আব্দুল গফুর তোতার শিশুপুত্র স্থানীয় কালাই কাকলী শিশু নিকেতনের দ্বিতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী শুভ (৭) বাড়ির পাশে খলায় অন্যান্য শিশুদের সঙ্গে খেলাধুলা করছিল। শিশু শুভকে না পেয়ে অনেক খোঁজাখুজি করে না পাওয়া গেলে মা আলেয়া খাতুনকে বিকাল ৩টায় ফোনে অপহরণের কথা জানায় আসামি রেজাউল করিম ফকির।
খবর পেয়ে পিতা আব্দুল গফুর তোতা বাড়িতে এসে স্ত্রী আলেয়া খাতুনের দেওয়া তথ্য মোতাবেক আসামির ফোন করা মোবাইল নম্বরসহ কালাই থানাকে অবহিত করে।
পরের দিন ৪ মার্চ বিকালে বাড়ির পাশে খড়ের পালার ভেতরে শিশু শুভর মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। খবর পেয়ে পুলিশ শুভর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করে।
এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ওই দিনই পিতা আব্দুল গফুর বাদী হয়ে কালাই থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ কল লিস্টের সূত্র ধরে আসামি রেজাউল করিম ফকিরকে গ্রেফতার করে।
কালাই থানার উপপরিদর্শক সাইদুর রহমান ২০১৭ সালের ২৭ এপ্রিল রেজাউল করিম ফকিরের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আদালত মামলায় ১৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। রেজাউল করিম ফকিরের ১৬৪ ধারায় প্রদানকৃত স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি পর্যালোচনা শেষে বুধবার দণ্ডবিধির ৩০২/২০১ ধারার অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন আদালত।
এএইচ
আরও পড়ুন