ঢাকা, শুক্রবার   ০৮ নভেম্বর ২০২৪

স্কুলশিক্ষককে বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে মারধর, থানায় মামলা

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১১:৩২, ১৫ এপ্রিল ২০২৪

লক্ষ্মীপুরে চুরির অপবাদ দিয়ে আক্তার হোসেন বাবু নামে এক স্কুলশিক্ষককে বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে বর্বর নির্যাতন চালিয়েছে বখাটেরা। নির্যাতনের ওই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর সমালোচনার ঝড় উঠে জেলাজুড়ে।

রোববার (১৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় এ ঘটনায় ওই এলাকার পেঁচা সুমনসহ ৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও ৮ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন নির্যাতিতের ভাই মাসুদুর রহমান।

এর আগে শুক্রবার (১২ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টার দিকে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার আইয়ুব আলী পোলের গোড়া নামক এলাকায় এ ঘটনায় ঘটে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ওই শিক্ষককে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

বর্তমানে শিক্ষক আক্তার হোসেন বাবু সদর হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। গুরুতর আহত ওই শিক্ষক সদর উপজেলার পৌর শহরের লাহারকান্দির এলাকার মৃত লকিয়ত উল্যাহর ছেলে ও ঢাকার ক্যামব্রিজ স্কলারর্স স্কুলের শিক্ষক।

নির্যাতনের শিকার শিক্ষকের পরিবার জানায়, ঈদের ছুটিতে বাড়িতে বেড়াতে আসেন ওই স্কুলশিক্ষক। শুক্রবার (১২ এপ্রিল) রাতে শহরের আইয়ুব আলী পোলের গোড়া এলাকায় ছোটভাই মাসুদুর রহমানের বাসায় বেড়াতে যান তিনি। ডায়বেটিস থাকায় রাতে হাঁটতে বের হন তিনি। এ সময় পেঁচা সুমন, সাইমন হোসেন,অটোরিকসা চালক আলাউদ্দিন আলো, মমিন উল্যাহ ও সুমনসহ ১০-১২ জনের একদল বখাটে ওই শিক্ষককে চোর অপবাধ দিয়ে বিদ্যুৎতের খুঁটিঁর সঙ্গে হাত-পা বেধেঁ ফেলে।

এক পর্যায়ে তার কাছে থাকা নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায় তারা। পরে হাত-পা বেধে বর্বর নির্যাতন চালানো হয়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

১৬ সেকেন্ডের একটি ভিডিওতে দেখা যায়, শিক্ষক আক্তার হোসেন বাবুকে খুঁটির সঙ্গে হাত-পা বেধেঁ বর্বর নির্যাতন করছে পেচা সুমন। এসময় পাশে বেশ কয়েকজন যুবক বিষয়টি দাঁড়িয়ে দেখছে। নির্যাতনের ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর বখাটেদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান এলাকাবাসী।

সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. একে আজাদ বলেন, আক্তার হোসেন বাবুকে বেদম মারধর করা হয়েছে। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তার শারীরিক অবস্থায় সর্ম্পকে বলা যাবে।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সাইফুদ্দিন আনোয়ার বলেন, এ ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করা হচ্ছে। জড়িতদের ধরতে অভিযান চলছে।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি