স্কুলের সামনে যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং বাড়াচ্ছে যানজট (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১৩:২০, ২ জুন ২০২২ | আপডেট: ১৩:৫৭, ২ জুন ২০২২
রাজধানীর স্কুলগুলোর সামনে ব্যক্তিগত গাড়ি রাখায় বাড়ছে যানজট। স্কুল শুরু ও ছুটির সময় এই চিত্র হয় আরও ভয়াবহ। সড়কে প্রায় বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। এতে ভোগান্তিতে পড়েন নগরবাসী। এসব অবৈধ পার্কিং রোধে পুলিশের পক্ষ থেকে নেই পর্যাপ্ত ব্যবস্থা। কোনো উদ্যোগ নেই স্কুল কর্তৃপক্ষের।
রাজধানীর কাকরাইল ইউলস লিটলফ্লাওয়ার স্কুলের সামনের চার লেনের রাস্তা স্কুল শুরু আর ছুটির সময়ে পুরোটাই চলে যায় ব্যক্তিগত গাড়ির দখলে। এর রেশ ছড়িয়ে পড়ে আশেপাশের সব রাস্তায়।
আর এই চিত্র মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলের সামনে সড়কের। শিক্ষার্থীদের উঠানো-নামনো আর ব্যক্তিগত গাড়ি রাখায় এই সড়ক দিয়ে যান চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। তবুও চালকদের যুক্তিরও শেষ নেই।
ড্রাইভাররা জানান, “জায়গা নেই, তাই স্কুল ছুটির সময়ে একটু জ্যাম হবেই।”
ঢাকার শাহীন স্কুল, ভিকারুননিসা নূন-সহ অধিকাংশ স্কুলের সামনের রাস্তার চিত্র একই রকম। এসব রাস্তায় অবৈধ পার্কিংয়ের কারণে ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষ, চান দ্রুত সমাধান।
সাধারণ মানুষরা জানান, “রাস্তার এক মাথা থেকে আরেক মাথা পর্যন্ত গাড়ি রেখে ভরে রেখেছে, একজন স্টুডেন্টের জন্য বড় একটি গাড়ি নিয়ে আসে। গার্জিয়ান তার বাচ্চাকে স্কুলে দিয়ে আসে তখন ড্রাইভারকে অপেক্ষা করতে হয়। এরকম করতে করতেই পুরো রাস্তায়ই জ্যাম লেগে যায়।”
স্কুলগুলোর সামনে অবৈধ পার্কিং থাকলেও নেই ট্রাফিক পুলিশ। তবে, পুলিশ এলেই পাল্টে যায় চিত্র, ফাঁকা হয়ে যায় রাস্তা। স্কুলের সামনে যত্রতত্র গাড়ি রাখায় সড়কে যানজট তীব্র হচ্ছে বলে স্বীকার করেন এই পুলিশ সদস্য।
সার্জেন্ট মিজানুর রহমান রাসেল বলেন, “এই রাস্তাটি মোটামুটি অনেক চওড়া, এটা যানজট লাগার মতো রাস্তা নয়। এখানে স্কুলের গাড়ি প্রায় তিন-চার লেনে পার্কিং করে। সকাল থেকে রাত অবধি যত সময় স্কুল খোলা থাকে ততো সময়ে আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত থাকে।”
রমনা জোনের পুলিশের এ কর্মকর্তার দাবি, লোকবল না থাকায় সব স্কুলের সমনে ট্রাফিক দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। তবে, অবৈধ পার্কিং পেলেই ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান তিনি।
রমনা জোনের টিআই সরদার মোহাম্মদ তারিকুল আলম বলেন, “আপনি যেখানেই হাত দিবেন এখানেই যাত্রী উঠতাছে, যেখানে যাবেন সেখানেই পার্কিং। একহাত পর পর কি পুলিশ দেওয়া যাবে।”
প্রতিটি স্কুলের নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থাই এ সমস্যার যৌক্তিক সমাধান বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
এএইচ
আরও পড়ুন