ঢাকা, শুক্রবার   ২৮ জুন ২০২৪

‘স্টুপিড নারী থেরেসা মে’

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:২৭, ২০ ডিসেম্বর ২০১৮ | আপডেট: ০৯:৩১, ২০ ডিসেম্বর ২০১৮

ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে’র প্রশ্নোত্তর পর্ব চলার সময় লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন তাকে ‘স্টুপিড মহিলা’ বলেছেন। এ কথা বলার জন্য কনজারভেটিব এমপিরা তাকে ক্ষমা চাওয়ার দাবি তুলেছেন।

তবে করবিন বলছেন, তিনি এরকম কোন শব্দ বলেননি। বরং তিনি বলেছেন, `স্টুপিড পিপল।`

এই অভিযোগ ওঠার পর হাউজ অফ কমন্সের স্পিকার জন বারকো বলছেন, ঘটনাটি তিনি দেখতে পাননি এবং সব এমপিকে বক্তব্যের ভিত্তিতে গ্রহণ করা উচিত।

তবে কনজারভেটিভ এমপিরা বলছেন, তারা করবিনের ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট নন এবং তার ক্ষমা চাওয়ার দাবি তুলেছেন।

কমন্সে দেওয়া বক্তব্যে করবিন বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তর পর্ব চলার সময় আমি তাদের কথাই বলছিলাম, যারা দেশের এই সংকট নিয়ে চলা একটি বিতর্ককে কৌতুকে পরিণত করতে চাইছে, তাদেরকেই আমি `স্টুপিড পিপল` বলেছি।’

করবিন বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রী বা অন্য কাউকে উদ্দেশ্য করে `স্টুপিড উইমেনের` মতো শব্দ ব্যবহার করিনি।’

তবে তার এই বক্তব্যের জবাবে কনজারভেটিভ এমপি র‍্যাচেল ম্যাকলিন বলছেন, ``ঠোঁটের ভাষা পড়ে দেখুন, আমি তাকে (করবিনকে) বিশ্বাস করি না।’

অভিযোগটি ওঠার পর হাউজ অব কমন্সের স্পিকার জন বারকো বলেছেন, করবিনের বিরুদ্ধে যে আচরণের অভিযোগ তোলা হয়েছে, তিনি সেই ভিডিও পরীক্ষা করে দেখেছেন, যেখানে মাইক্রোফোনে কোনো শব্দ আসেনি এবং সেটা দেখে সহজেই বুঝতে পারা যায় যে, কেন বিরোধী নেতার শব্দকে `স্টুপিড ওম্যান` হিসাবেও বর্ণনা করা যায়।’

আদালতে যারা ঠোঁটের ভাষা অনুবাদের কাজ করেন, এমন একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়েছেন স্পিকার। তাকে ওই ভিডিওটি দেখানো হয়েছে, তবে এখনো কোন উপসংহারে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি।

‘কারো পক্ষেই শতভাগ নিশ্চিত হওয়া সম্ভব না, এমনকি পেশাদার ঠোঁটের ভাষা বিশেষজ্ঞদের পক্ষেও নয়। কিন্তু স্বাভাবিকভাবেই আমি একজন সম্মানিত সদস্যের বক্তব্যকেই গ্রহণ করবো, যা আসলে করা উচিত।’

তথ্যসূত্র: বিবিসি

এমএইচ/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted







© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি