ঢাকা, সোমবার   ২১ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

স্ট্রোক কী ও কেনো হয়, ঝুঁকি এড়াতে করণীয়

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:০৭, ২৯ অক্টোবর ২০২২

Ekushey Television Ltd.

একটি স্ট্রোক হল মস্তিষ্ক উপর আক্রমণ। এটা ঘটে যখন আপনার মস্তিষ্ক একটি অংশে রক্ত সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। একটি ব্লকেজের দ্বারা (ইসকেমিক স্ট্রোক) অথবা রক্তপাতের দ্বারা (হিমোরেজিক স্ট্রোক) এটি সংঘটিত হয়। এমন ঘটলে, মস্তিষ্ক তার প্রয়োজনীয় অক্সিজেন পায় না এবং মস্তিষ্কের কোষগুলো নষ্ট হতে শুরু করবে এবং মরে যায়। একজন ব্যাক্তি যা করেন, অনুভব করেন, ভাবেন ও মনে রাখেন যেহেতু মস্তিষ্ক নিয়ন্ত্রণ করে। তাই মস্তিষ্কের ক্ষতি হলে এই যোগ্যতাগুলোর ক্ষতি হয়। এতে ব্যক্তির শারীরিক অক্ষমতা থেকে শুরু করে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

স্ট্রোকের প্রধান কারণ
- অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপ শতকরা ৫০ ভাগ স্ট্রোকের কারণ। যারা নিয়মিত উচ্চ রক্তচাপ এর চিকিৎসা করেন না তাদের স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা ৫ গুণ বেশি।
- অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস।
-ধূমপানের বদ অভ্যাস।
- নিয়মিত মদ্যপানের বদ অভ্যাস।
- হার্টের অসুখ- রিউমেটিক ভাল্লুলার ডিজিস, অ্যারিদমিয়া।
- স্ট্রেস ও ডিপ্রেশনসহ অন্যান্য মানসিক সমস্যা।
- দিনভর বসে কাজ করা এবং কায়িক শ্রম না করা।
- ফাস্ট ফুড বেশি খাওয়া (বাচ্চাদের ও তরুণদের স্ট্রোক এর জন্য)।
- রক্তে কোলেস্টেরল চর্বি স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি হলে।

স্ট্রোকের ঝুঁকি এড়াতে করণীয়
- ওজন কমাতে হবে। এক্ষেত্রে সুষম খাবারের উপর ভরসা রাখতে হবে। দামি নয়, দেশি ও সহজলভ্য খাবার দিয়ে থালা সাজান।
- ডায়েটে রাখুন পর্যাপ্ত পরিমাণে সবজি ও দেশি ফল।
- সপ্তাহে অন্তত পাঁচ দিন আধা-ঘণ্টা করে দ্রুত হাঁটতে হবে বা ২ দিন ১৫০ মিনিট জগিং করা।
- ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করা।
- প্রতিদিন অন্তত ৬ ঘণ্টা ঘুম নিশ্চিত করা।
- ব্লাড প্রেসার আর সুগার বেশি থাকলে তা নিয়ন্ত্রণে রেখে চলতে হবে।
- নিয়মিত শরীরচর্চা করা। তবে খেয়াল রাখতে হবে তা যেন অত্যাধিক পরিশ্রমসাধ্য বা ক্লান্তিকর না হয়।
এসএ/
 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি